আলোকচিত্র

আলোকচিত্রের ব্যাকগ্রাউন্ড (পাঁচ)

আলোকচিত্রীদের কাছে রবার্ট কাপা দেবতাতূল্য। যুগ যুগ ধরে তার তোলা ছবি আলোকচিত্রীদের অনুপ্রেরণা যুগিয়ে আসছে। রণক্ষেত্রে ছবি তোলার ব্যাপারে তিনি ছিলেন দুঃসাহসিক ও সিদ্ধহস্ত। তাই তো তিনি বিশ্বের অন্যতম প্রধান যুদ্ধ ও অভিযানের আলোচিত্রী হিসেবে গণ্য। তার জীবন অবলম্বনে সিনেমা ও বই হয়েছে। তার নামে করা হয়েছে কনটেম্পোরারি ফটোগ্রাফি সেন্টার, প্রবর্তিত হয়েছে পুরস্কার। তিনি মার্কিন….

আলোকচিত্রের ব্যাকগ্রাউন্ড (চার)

হেনরিক রস ছিলেন একজন ইহুদি আলোকচিত্রী। তার জন্ম পোল্যান্ডে—১৯১০ সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রস পরিসংখ্যান বিভাগের আলোকচিত্রী ছিলেন। পরিসংখ্যান বিভাগটি ছিল নাৎসি বাহিনীর নির্দেশে গঠিত জিউস কাউন্সিলের আওতাধীন। পরিচয় নথিভুক্ত এবং বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করতে রসকে স্টুডিওতে মানুষের ছবি তুলতে হতো। যদিও যুদ্ধের আগে তিনি স্থানীয় একটি পত্রিকার খেলাধুলার আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ করতেন। পোল্যান্ড দখলের পর….

আলোকচিত্রের ব্যাকগ্রাউন্ড (তিন)

কোনো আলোকচিত্রকেই আপনি নাকচ করে দিতে পারেন না। অত্যন্ত দুর্বল ছবিও ইতিহাস লিখতে, কোনো এক সময়ের সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনীতিকে বুঝতে কাজে লেগে যেতে পারে। বিশ্ব-ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছবিরগুলোর মধ্যে ‘সোন্ডারকমান্ডো ফটোগ্রাফস’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের নাৎসি বাহিনী বন্দিদের গণহারে হত্যা করতে যে গ্যাস চেম্বারের ব্যবহার করতো তা প্রথম প্রমাণিত হয় গোপনে তোলা ৪টি আলোকচিত্রের….

আলোকচিত্রের ব্যাকগ্রাউন্ড (দুই)

মানব-ইতিহাসের বর্বরোচিত ঘটনার দিন ২০১১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। বিশ্ব-ইতিহাসে এই ঘটনার তুলনা হয় না। ঘটনাটি ১১ সেপ্টেম্বরের হামলা বা ৯/১১ নামে পরিচিত। এই দিন সকালে জঙ্গিরা যুক্তরাষ্ট্রের উপর সিরিজ হামলা চালায়। যাত্রীবাহী চারটি বিমান উড়িয়ে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিধ্বস্ত করা হয়। বড় অাঘাতটি হানা হয় নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ারে। সিরিজ আক্রমণে ২ হাজার ৯৯৭ জন নিহত….

আলোকচিত্রের ব্যাকগ্রাউন্ড (এক)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ইও জিমা যুদ্ধটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। জাপানের ইও জিমা দ্বীপে জাপানি ও মার্কিন সেনাদের মধ্যে যুদ্ধটি চলে ১৯৪৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত। এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে মার্কিন বাহিনীর প্রায় ৭ সাত হাজার এবং জাপানি বাহিনীর ১৮ হাজারেও বেশি সেনা নিহত হয়। যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগেই ২৩ ফেব্রুয়ারি, দ্বীপের সুরিবাচি….

নিখোঁজ কিশোর পারেখের ‘বাংলাদেশ’

‘আমার মনে আছে, আমরা তখন হংকংয়ে থাকি; আমার বয়স পাঁচ। ছুটির দিনে আমরা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যেতাম। সমুদ্রের পাড়ে বাবা মাঝে মাঝে ছবি আঁকতেন। সেদিন তিনি বেশ অস্থির ছিলেন। বললেন, “আমার দেশ পুড়ছে আর আমি বসে ছবি আঁকছি।” বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ছবি তুলতে কিংবদন্তি ফটোসাংবাদিক কিশোর পারেখের আকুতি দেখতে পাই তাঁর ছেলে স্বপন পারেখের এই স্মৃতিচারণে।….

কিরণের অদম্য বারো

শিল্পীর শিল্পকর্মকে বুঝতে হলে শিল্পীকেও বুঝা চাই। শিল্পীর দর্শন, চরিত্র ও শিক্ষার প্রতিফলন পড়ে তার কর্মে। যদি প্রতিফলিত না হয় তাহলে সে শিল্পকর্ম মেকি ও ক্ষণস্থায়ী। অবনীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘আয়নাতে যেমন নিজের চেহারা তেমনি মনের দর্পণেও আমরা প্রত্যেকে নিজের মনোমতোকে সুন্দর দেখি। কারু কাছ থেকে ধার-করা আয়না এনে যে আমরা সুন্দরকে দেখতে পাব তার উপায় নেই।’….

গেইলের আলোকচিত্রিক সহমর্মিতা

‘দ্য ওয়াল এন্ড দ্য ফিয়ার’ (Le mur et la peur) বেলজিয়ামের আলোকচিত্রী গেইল তুরিনের ৬ষ্ঠ ফটোবুক। বইটিতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের সংকট ও জীবন নিয়ে গেইলের তোলা ৬২টি আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে, যেগুলো ২০১২ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে তোলা। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের দুদিক থেকেই গেইল ছবি তুলেছেন। আলোকচিত্রীর প্রত্যেকটি বই-প্রকল্প একটি আরেকটি থেকে ভিন্ন। কখনো তিনি কাবুলের যুবাদের নিয়ে….

আব্বাসের ক্যামেরায় আমাদের মুক্তিযুদ্ধ

১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১। নয় মাসের রক্তয়ী যুদ্ধের পর বাংলাদেশ পেলো কাঙ্ক্ষিত বিজয়। সেসময়ের একটি ছবি চোখে ভাসে, বিজয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন দুই মুক্তিযোদ্ধা। একজন আরেক জনকে জড়িয়ে ধরেছেন বিপুল আবেগে। একজনের হাতে একটি স্টেনগান। যার হাতে স্টেনগান সে দৃঢ়, তার শরীরী ভাষা অভিভাবক সুলভ। অন্যজনের বাঁধভাঙা আনন্দ, সেই প্রবল আনন্দ কান্না হয়ে ঝরছে। তাঁর….

error: Content is protected !!