Author Picture

গেইলের আলোকচিত্রিক সহমর্মিতা

সুদীপ্ত সালাম

‘দ্য ওয়াল এন্ড দ্য ফিয়ার’ (Le mur et la peur) বেলজিয়ামের আলোকচিত্রী গেইল তুরিনের ৬ষ্ঠ ফটোবুক। বইটিতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের সংকট ও জীবন নিয়ে গেইলের তোলা ৬২টি আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে, যেগুলো ২০১২ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে তোলা। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের দুদিক থেকেই গেইল ছবি তুলেছেন।

আলোকচিত্রীর প্রত্যেকটি বই-প্রকল্প একটি আরেকটি থেকে ভিন্ন। কখনো তিনি কাবুলের যুবাদের নিয়ে কাজ করেছেন, কখনো ছুটে গেছেন আফ্রিকার ভুদু সম্প্রদায়ের সন্ধানে। বিষয়, দর্শন ও উদ্দেশ্যের দিক থেকে ভিন্ন হলেও তাঁর প্রতিটি ফটোবুককে এক সুতোয় গেঁথেছে মানুষ। মানুষের জীবনযাপন, তাদের ভাবনা, তাদের ইতিহাস গেইলের ছবির উপজীব্য। ‘দ্য ওয়াল এন্ড দ্য ফিয়ার’ (ভয়ের দেয়াল)-এর কেন্দ্রবিন্দুও মানুষ। ৬২টি ছবিই সাদাকালো। আনন্দহীন, বিবর্ণ ও আতঙ্কে ঘেরা জীবন আর জীবনযাপনকে চিত্রায়িত করতে এই পন্থাকে যথার্থ বলেই মনে করি। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায়, এই বইয়ে কোনো হাসিমুখ নেই। যতগুলো মুখের মুখোমুখি আমরা হই সবগুলো বিষাদে নিমজ্জিত।

রিকসাভ্যানে করে চলে যাচ্ছেন এক বাংলাদেশি দম্পতি, তাঁদের বিদায় জানাচ্ছেন ভারতীয় স্বজনেরা। মন ছুঁয়ে যায় ছবিটি।

বইটি এক-দুইবার নেড়েচেড়ে দেখার পর, কিছু ছবি স্মৃতিতে জায়গা করে নেয়। চোরাপথে ভারতে আসা একদল নারীকে দেখি। যারা ঝুঁকি নিয়ে গায়ে অবৈধ পণ্য বেঁধে দ্রুতপায়ে হেঁটে যাচ্ছেন। এই যাত্রার গন্তব্য কোথায়? দেখি ভয়ের দেয়াল বাইছে এক শিশু, যার পরিণতি হতে পারে ফেলানীর মতোই। মকবুল বিএসএফ-এর বর্বরতার সাক্ষী হয়ে সীমান্ত-পোস্টে ভিক্ষা করছেন। যারা তাঁর হাতের আঙুলগুলো কেটে নিয়েছিল। নারীরা সীমান্ত দেয়াল টপকে ভারতে ঢুকছে। কেন তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন- এই ছবি আমাদেরকে এই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়। অমানবিক রাজনীতির কারণে তাঁদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে বলেই তারা এই ভয়ের দেয়াল অতিক্রম করছেন। বিধবা তরুণী ইসমত আরার কথা শুনি। ভারতীয় গুলিতে প্রাণ হারান তাঁর স্বামী মিজানুর। ইসমত তাকিয়ে আছেন ঘরের দেয়ালে টাঙানো স্বামীর সঙ্গে তাঁর একমাত্র ছবিটির দিকে। যেন সীমান্তের দেয়ালে ঝুলছে তাঁদের স্বপ্নের শব। পেছন দিক থেকে তোলা মইনুদ্দিনের ছবি। লাঠির ভরে খুঁড়িয়ে হাঁটছেন তিনি। জীবনের জন্য তাঁকে পঙ্গু করে দিয়েছে বিএসএফ জওয়ানেরা। তাঁর দরিদ্র সংসার চলছে তাঁর মতোই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।

নারীরা সীমান্ত দেয়াল টপকে ভারতে ঢুকছে। কেন তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন- এই ছবি আমাদেরকে এই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়।

যুবক হাবিবেরও একই গল্প। সেও পঙ্গু। তাঁর মুখে পড়া আলো-ছায়াই বয়ান করছে তাঁর করুণ গল্প। দুটি বন্ধ দরজার মাঝখানে পাথরের মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকা বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত আজহারুলের মা ফজিলাতুন্নেসার ছবি আমাদেরকেও পাথর করে দেয়। আমাদেরকে তিনি যেন উপেক্ষা করছেন, তাঁর যেন কোনো কথা নেই, কোনো অভিযোগ নেই। তাই তো! কার কাছে তিনি অভিযোগ করবেন? কার কাছে বিচার চাইবেন? কে করবে বিচার? ট্রেনের অন্ধকার কক্ষে বসে আছেন কলকাতা নিবাসী এক নারী। জানালা দিয়ে আসা আলোর কিরণ সোনালি দিনের স্মৃতিতে ডুবে থাকা নারীকে অনেকটা স্পষ্ট করেছে। ১৯৭১-এ তারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাড়ি জমাতে বাধ্য হন। তিনি যাচ্ছেন সীমান্তের কাছে, বাংলাদেশে রয়ে যাওয়া স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে।

ট্রেনের ভাঙা জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছেন একজন। মুখ দেখেই পড়া যায়- সে একই সঙ্গে ভীত ও সতর্ক। সে আসলে ভারতীয় দালালের অপেক্ষা করছে।

আরেকটি ছবিতে দেখি, ১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় ভাগ হয়ে যাওয়া একটি পরিবারের সদস্যদের। রিকসাভ্যানে করে চলে যাচ্ছেন এক বাংলাদেশি দম্পতি, পুরোভাগে (ফোরগ্রাউন্ড) তাঁদের বিদায় জানাচ্ছেন ভারতীয় স্বজনেরা। মন ছুঁয়ে যায় ছবিটি। এই ছবিগুলো আমাদেরকে দেখায়- মানুষে-মানুষে যে বন্ধন তাকে কীভাবে পিষ্ট করে দাঁড়িয়ে গেছে একটি দীর্ঘ ধ্রুব দেয়াল। শুধু তাই নয়, এই দেয়াল যেন‘৪৭ ও ‘৭১-এর তিক্ত স্মৃতির স্মারক। ভারতের কৃষ্ণগঞ্জ অঞ্চলে কাঁটাতারের বেড়া লাগোয়া বসতি, কাঁটাতারে শুকানো হচ্ছে পুরো সংসারে কাপড়। বেড়ার পাশেই রিকসাভ্যানে বসে এক গৃহবধু তাঁর দিদিমার চুল আঁচড়ে দিচ্ছেন। সীমান্তবেড়া যেন তাঁদের সংসারেরই অংশ। কাঁটাতারের বেড়া যেন তাঁদের জীবনের নিয়তি। আরেকটি ছবিতে পুরো শরীর গামছায় মুড়ে খালি ময়দানে বসে আছেন একজন। পেছন দিক থেকে তোলা। তাঁর সামনে সীমান্ত বেড়ার খুঁটি আছে, কাঁটাতারের বেড়া নেই। বন্যায় ক্ষয়ে গেছে (প্রকৃতি মানে না কোনো সীমারেখা!)। তারপরও কেউ ভয়ে এই অদৃশ্য সীমান্ত অতিক্রম করে না। সীমান্ত ভয় হয়ে মানুষের বুক দখল করে নিয়েছে যে!

ইসমত তাকিয়ে আছেন ঘরের দেয়ালে টাঙানো স্বামীর সঙ্গে তাঁর একমাত্র ছবিটির দিকে। যেন সীমান্তের দেয়ালে ঝুলছে তাঁদের স্বপ্নের শব।

মানুষের মুখের অভিব্যক্তি বা এক্সপ্রেশন ক্যামেরাবন্দী করার ক্ষেত্রে গেইল তুরিন মুনশিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। অনেক ছবি বাঁকা, হরিজন্টাল লাইন একদিকে হেলে থাকতে দেখা যায়। বুঝতে বাকি থাকে না মানুষের স্বাভাবিক অভিব্যক্তি পেতে এবং‘জীবন যেখানে যেমন’ তা দেখাতেই গেইল অনেক সময় ক্যামেরায় চোখ না রেখে শাটার রিলিজ বোতাম চেপেছেন। সাবজেক্ট যেন টের না পায় যে তার ছবি তোলা হচ্ছে। ট্রেনের ভাঙা জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছেন একজন। মুখ দেখেই পড়া যায়- সে একই সঙ্গে ভীত ও সতর্ক। সে আসলে ভারতীয় দালালের অপেক্ষা করছে, যে তাঁকে দেবে চোরাচালানের পণ্য। নৌকার মাঝির আতঙ্কিত চোখ দুটিও স্মরণীয়। তাঁর আতঙ্কিত ও সতর্ক দৃষ্টি ডাঙার দিকে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা না এসে যায়! কারণ সে জানে, তাঁর নৌকার কেউ কেউ চোরাচালানকারী।

বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত আজহারুলের মা ফজিলাতুন্নেসার ছবি আমাদেরকেও পাথর করে দেয়। আমাদেরকে তিনি যেন উপেক্ষা করছেন।

সীমান্ত-সংকটের কারণে বাংলাদেশের রাজধানীতে চলে আসা মানুষগুলো কেমন আছে- তাও জানতে আগ্রহী গেইল। সাতক্ষীরার ৬৫ বছরের খতনার ছেলে থাকেন ঢাকার রেললাইনের পাশের একটি বস্তিতে। সেখানেই উঠেছেন তিনি। তাঁর বাকি দুই ছেলে সীমান্তে চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত। খতনা শূন্যদৃষ্টিতে ছেলের খুপরির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর চোখ ছলছল। সীমান্তের ভয় যেন তাকে এখানেও তাড়া করে বেড়াচ্ছে। রেললাইনের বস্তির আরো একটি ছবি, ভাঙা পুতুলের মতো রেললাইনে নিথর পড়ে আছে সুবন্যা, তার আশপাশে শিশুরা হেঁটে বেড়াচ্ছে। অন্য শিশুদের চলাফেরাই আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে সুবন্যার দুর্ভাগ্যকে। উন্নত জীবনের আশায় বাবা-মার সঙ্গে ঢাকার বস্তিতে ঠাঁই নিয়েছিল সুবন্যা। ট্রেনে কাটা পড়ে তার দুই পা। উন্নত জীবন তো দূরের কথা, একটি হুইল চেয়ারও পায়নি সে। অন্য ছবিতেÑ ধোঁয়া ও আগুনের মধ্যে দেখি এক নারী শ্রমিককে। তাঁর মাথায় পাথরের টুকরোভর্তি টুকরি। তিনি ঢাকার সড়ক নির্মাণ কাজে নিয়োজিত। লালমনিরহাটে সীমান্ত-সংঘাতের কারণে তাঁকে ঘরছাড়া হয়ে ঢাকায় পাড়ি জমাতে হয়। এমন আগুনে ঘেরা এবং ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন এই ভিটেমাটিহীন মানুষগুলোর ভবিষ্যৎ।

ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ছাপা হওয়া ফেলানীর ছবি ও খবর হাঁতড়ে বেড়াচ্ছেন।

বিএসএফ-এর হত্যাযজ্ঞের ইতিহাস অসম্পূর্ণ ফেলানীর ঘটনা ছাড়া। সীমান্তরক্ষীদের গুলিবিদ্ধ কিশোরী ফেলানীর নিথর দেহ ঝুলে ছিল কাঁটাতারের বেড়ায়। এই বইয়ে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলামের দুটি ছবি আছে। মেয়ের হত্যার বিচার চাইতে চাইতে ক্লান্ত এক বাবার পোরট্রেট। ছবিতে আলো-আঁধারের বিবর্ণ নকশা আছে। অন্য ছবিতে নুরুল ইসলামকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ছাপা হওয়া ফেলানীর ছবি ও খবর হাঁতড়ে বেড়াতে দেখা যায়। ক্যাপশনে দাবি করা হয়েছে, বাঁশে হাত-পা বেঁধে ফেলানীর মৃতদেহ নিয়ে যাচ্ছেন বিএসএফ সদস্যরা। তবে এমন আদৌ ঘটেছিল কিনা এবং এই ঘটনা-সম্পর্কিত প্রকাশিত ছবি সত্য কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

বইটি শেষ হয়েছে সদ্য করা আতাউরের কবরের ছবি দিয়ে। গরু পাচার করতে গিয়ে বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত হন তিনি। ঝোঁপের মধ্যে সাদামাটা একটি কবর। কিছুদিন পর এই কবরের কথা বিস্মৃত হয়ে যাবে, কবরের উপর কবর হবে।  যেমন করে হারিয়ে যায় একের পর এক হত্যার বিচারের প্রসঙ্গ।

ঝুঁকি নিয়ে গায়ে অবৈধ পণ্য বেঁধে দ্রুতপায়ে হেঁটে যাচ্ছেন একদল নারী। এই যাত্রার গন্তব্য কোথায়?

পুরো বইয়ে আলোচিত বিএসএফ-এর বর্বরতার সরাসরি কোনো চিত্র নেই, হয়তো সে ছবি পাওয়া সম্ভব ছিল না। লাশের ছবি পাওয়া যেতো, কিন্তু নেই। হয়তো সরাসরি লাশের ছবি আলোকচিত্রী দেখাতে চাননি। সীমান্ত এলাকার রাতের চিত্রও অনুপস্থিত। তবে আলোকচিত্রের দর্শক ও পাঠক হিসেবে আমার আগ্রহ ছিল গরু পাচারের ছবি দেখার। সম্ভবত সীমান্তে গরু পাচারের সময়ই সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সেই সবচেয়ে আলোচিত গরু পাচারের কোনো ঘটনা নেই এই বইয়ে। যাইহোক, এমন প্রত্যাশা হয়তো আলোকচিত্রীর ওপর অবিচারের নামান্তর।

সবশেষে বলতে চাই, এই ছবিগুলোর দালিলিক মূল্য অপরিসীম। আলো-ছায়ার নৈপুন্য এবং সঠিক টাইমিং ছবিগুলোকে করেছে অদ্বিতীয় ও শিল্পমান সম্পন্ন। বাংলাদেশ-ভারতের মাঝখানের ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটারের ওই দানব দেয়াল আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয়, আমরা উন্নত হচ্ছি ঠিকই- মানবিক হচ্ছি না। অন্যদিকে গেইলের ছবিগুলো আমাদেরকে চিৎকার করে বলতে থাকবে- আমাদের মানবিক হওয়া কতটা জরুরি। বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চলের সুবিধা-বঞ্চিত ও ভুক্তভোগী মানুষগুলোর প্রতি গেইল যে আলোকচিত্রিক সহমর্মিতা দেখিয়েছেন, তারজন্য তাঁকে অভিবাদন জানাই।

মকবুল বিএসএফ-এর বর্বরতার সাক্ষী হয়ে সীমান্ত-পোস্টে ভিক্ষা করছেন। যাারা তাঁর হাতের আঙুলগুলো কেটে নিয়েছিল।

 

সাতক্ষীরার ৬৫ বছরের খতনার ছেলে থাকেন ঢাকার রেললাইনের পাশের একটি বস্তিতে। সেখানেই উঠেছেন তিনি।

 

গরু পাচার করতে গিয়ে বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত হন আতাউর। ঝোঁপের মধ্যে তাঁর সাদামাটা কবর।

আরো পড়তে পারেন

মৃত্যুতেও থামেনি সমালোচনা

জাতিসংঘের একটি ফুড ক্যাম্পের পাশে একটি অসুস্থ শিশু পড়েছিল। শিশুটির ঠিক পেছনেই একটি শকুন অপেক্ষা করছে, কখন শিশুটি মরবে, কখন সে পাবে মাংসের স্বাদ! কি নিদারুণ দৃশ্য! এই ছবির সমমানের কোনো ছবি পৃথিবীতে আছে কিনা সন্দেহ। ১৯৯৩ সনে ছবিটি তুলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান ফটোসাংবাদিক কেভিন কার্টার। একই বছরের ২৬ মার্চ ছবিটি দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে ছাপা হয়।….

আজও শরণার্থী ‘আফগান গার্ল’

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের আলোকচিত্রী স্টিভ ম্যাককারি ১৯৮৪ সনে পাকিস্তানের পেশোয়ারের কাছাকাছি এক শরণার্থী শিবির থেকে কিশোরী শরবত গুলার ছবি তোলেন। পরের বছর ছবিটি ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ হওয়ার পরপরই আলোচনার শীর্ষে উঠে আসে এই কিশোরী। আর ছবিটি ওয়ে ওঠে বিশ্বের সবচেয়ে পরিচিত পোরট্রেটগুলোর একটি। গুলার পাথরের মতো চোখ দুটি ছিল বিস্ময়কর। সবুজ চোখে একই সঙ্গে ভয় ও….

টেসলার অপছন্দের ছবি

তার নামে যুক্তরাষ্ট্রে ১১২টি এবং অন্য ২৬টি দেশে আরো ১৯৬টি প্যাটেন্ট নিবন্ধিত আছে, এর মধ্যে ৩০টি শুধু ফ্রান্সেই নিবন্ধিত—এ থেকে অনুমান করা যায় নিকোলা টেসলা কত বড় মাপের বিজ্ঞানী ছিলেন। ঊনবিংশ শতাব্দীর আশির দশক থেকে এই সার্বীয়-মার্কিন ইলেক্ট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার একের পর এক যুগান্তকারী আবিষ্কার দিয়ে মানবসভ্যতাকে সমৃদ্ধ করা শুরু করেন। বিদ্যুৎ ছাড়াও মোটর,….

error: Content is protected !!