উপন্যাস

ওসিডি (পর্ব-১০)

পড়ুন— ওসিডি (পর্ব-০৯) উনিশ আমরা সিঁড়ি বেয়ে বারন্দাতে নামি। ড্যাব করে একটা আওয়াজ হয়। একটা ফুলের টব উল্টে গেছে। প্লাস্টিকের হালকা টব। মাটি আছে ওটার ভেতরে। সোনিয়া বসে গাছটার গোড়া ধরে ওটাকে টেনে তোলে। বারান্দার ছাদের বাইরের দিকের দুই কোনায় দুটি বাল্ব আছে। তাদের ঢাকনাগুলি বেশ পুরনো আর ওদের ওপর অনেক ধুলাও জমেছে। আবছা আলো।….

ওসিডি (পর্ব-০৯)

পড়ুন— ওসিডি (পর্ব-০৮) এরপর আমার আসল পরীক্ষা শুরু হয়। পাগল এক বালতি পানি আর একটা নতুন তোয়ালে নিয়ে এসে দরজার সামনে বসে যায়। পাগল পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে ফ্লোর মোছে। পাঁচ মিনিটের মধ্যে দরজার সামনে আর যাওয়ার উপায় থাকে না। প্রথম ঝগড়াটা হয় আমার চপ্পল-জোড়া নিয়ে। আমার চপ্পল পাগলের মোছা ফ্লোর ময়লা করে। সেই চপ্পল যেই….

ওসিডি (পর্ব-০৮)

পড়ুন— ওসিডি (পর্ব-০৭) আঠারো শপাত! শপাত! .            কীইইই? আমি লাফ দিয়ে উঠি। সত্যিই কি চেয়ারম্যান স্যারের পিঠে জুতার বাড়ি? আমি এতক্ষণে চিত হয়ে পড়ে যেতাম, যদি আমি এক যুগ আগের শিশিরকণা হতাম। সেই পতনে আমার মাথা ফাটত। কিন্তু আমি এক যুগ আগের শিশিরকণা নই। শপাত! শপাত! চেয়ারম্যান স্যারের পিঠে আবার জুতার….

ওসিডি (পর্ব-০৭)

পড়ুন— ওসিডি (পর্ব-০৬) সতেরো স্যার আজ ভোর ছয়টায় এসে হাজির। আমি তখন ঘুমাচ্ছিলাম। সোনিয়া এসে বলে, “খালাম্মা খালাম্মা, কেডা জানি আইছে।” আমি ইন্টারকম টেলিফোনের শব্দ শুনি: কিরকিরকির কিরকিরকির। বাধ্য হয়ে উঠে গিয়ে রিসিভারটা কানে লাগাই। আমাদের ম্যানেজার মাজহার বলেন, “ম্যাডাম, গেরামের স্যার আইছে।” ম্যানেজার কানে কম শুনেন। আমি বলি, “আসতে দেন।” আমি দরজা খুলি আর….

ওসিডি (পর্ব-০৬)

পড়ুন— ওসিডি (পর্ব-০৫) তেরো আমার সামনে কলের নলের উপর দেয়ালে লাগানো সোনালি রঙের অষ্টভুজ ফ্রেমে বাঁধানো মুরানো দ্বীপপুঞ্জের আদি-কারিগরদের তৈরি ভেনিশিয়ান কাচ। আমি আর পাগল মুরানোর একত্রিশটা দোকান আর আটটা কাচের কারখানা ঘুরে এই আয়না কিনেছিলাম। এই বাড়িতে সকল ধাতব জিনিসে কিছু না কিছু মরিচা পড়ে গেছে। এই আয়না এখনও অনাক্রান্ত আছে। পাগল সোনিয়াকে শিখিয়েছে….

ওসিডি (পর্ব-০৫)

পড়ুন— ওসিডি (পর্ব-০৪) নয় .            উপদেবী এজিনাকে সুনিও গিরির নিচে সাদা বালুতটে স্নান করতে দেখে দেবরাজ জিউসের কামনার উত্থান ঘটে। সেই উত্থানের ঝড়ে দেবরাজের ক্লামিস খুলে যায় আর উপদেবীর কাইতেন উড়ে গিয়ে মাঝ সমুদ্রে পড়ে। কয়েক দিন সাগর জলে ডুবে থেকেও দেবরাজের ঘাম ঝরা বন্ধ হয় না। দেবরাজ এজিনাকে উত্ত্যক্ত করতে….

ওসিডি (পর্ব-০৪)

পড়ুন— ওসিডি (পর্ব-০৩) সাত ছাব্বিশ দিন এক টানা দাঁড়িয়ে থেকে কারও পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব কি না কে জানে। আমি বেঁচে ছিলাম। তবে তখন আমার মর-মর অবস্থা। পানি এসে পা দু’টি ফুলে গেছে। কোমর অবশ। ঘাড় দু’টি কাঠের মতো শক্ত। আমি আমার মাথার খুলি অনুভব করতে পারি, ভারী একটা খুলি, অথচ তার ভেতর নরম কিছু….

ওসিডি (পর্ব-০৩)

পড়ুন— ওসিডি (পর্ব-০২) ছয় আর যদি খুন না করতাম! .            কিছুই হত না। মানে এখন কিছু হত না। তখন অবশ্যই হত। আঙ্কুরা, হৃদয়া, আয়শা, তন্বী, তাম্বুরি, মোহিনী, শারিকা। এদের লাইভ দেখতাম। তাতেও আমার অসুবিধা ছিল না। আমিইতো সিনেমাগুলির পরিচালক ছিলাম। অসুবিধা ছিল আমার চাহিদা পূরণ না হওয়াতে। আমার চাহিদা ছিল আলাদা….

ওসিডি (পর্ব-০২)

পড়ুন— ওসিডি (পর্ব-০১) চার হামিদের ভূত এমন সময়ে এল যখন আমি ভূতে না করি বিশ্বাস, না পাই ভয়। অথচ হামিদকে খুন করার পর আমি ভূতের ভয়ই পাচ্ছিলাম। বিপর্যয়ের প্রথম ধাক্কা কাটতে আমার এগারো দিন সময় লেগেছিল। ওই এগারো দিন আমি বার বার আশঙ্কা করছিলাম এই বুঝি হামিদ ভূত হয়ে আমার সামনে হাজির হবে। রাতে আমার….

ওসিডি (পর্ব-০১)

ওসিডি (obsessive-compulsive disorder) একটা মানসিক অবস্থা। এ অবস্থায় মানুষ চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। চিন্তা মানে দুশ্চিন্তা। ওসিডি তীব্র হলে মানুষ কোনও কাজ বার বার করে, উদ্বেগ থেকে মনোযোগ সরানোর জন্য। যেমন বারবার গোসল করা। ধারণা করা হয় শতকরা ৯৪ ভাগ মানুষের এ ব্যাধি আছে। তবে সবার ব্যাধি সমান নয়। সাধারণত শতকরা ৪ জন মানুষের….

error: Content is protected !!