তারপর কত দিন কেটে গেছে। দুই দুইটি বিশ্বযুদ্ধ পেরিয়ে আরেকটি বিশ্বযুদ্ধের উত্তাপ নিয়ে জেগে সময় পারের বাসিন্দারা। তবু গোটা চার-পাঁচ প্রজন্মের প্রেমিকা হয়ে সমর্থকদের একই স্বপ্নের বৃত্তে বেঁধে রাখতে পেরেছে রাইন নদীর তীরের ক্লাব বায়ার লেভারকুজেন।
যার জন্য মানুষ তীর্থের কাক হয়ে বসে থাকে। এমন দিন কদাচিৎ আসে কিংবা আসেই না। আসবে নিশ্চয়ই? বেশির ভাগ সময়ই আসে না। এমন একটা মুহূর্তের আনন্দ কেমন হতে পারে, তা বেশির ভাগ মানুষ জানতেই পারে না। তবে কোনো একদিন ভাগ্যদেবী উপহারের ডালা নিয়ে আসেন ভাগ্যবানদের জন্য। সেই সব মানুষের জন্য, যারা জানে না উৎসবের আনন্দ কেমন হতে পারে! রাইন নদীর তীরে বেস্টফালিয়ার মানুষের কাছে এমন উন্মাতাল উদযাপনের অনুসঙ্গ আগে আসেনি। ‘নেবারকুজেনে’র তকমা গায়ে লেগে আছে যাদের, যারা পরাজিত ভূত গায়ে চাপিয়ে ঘুরে বেড়ায়, অন্যরা যাদের নিয়ে উপহাস করে সেই তারাই ১২০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মাইস্টার সালের অধিকারী। এই অর্জনে তারা ভেঙে দিয়েছে বুন্দেজলীগায় বায়ার্ন মিউনিখের এগার বছর ধরে চলা ‘রেইন অফ টেরর’।
ইতিহাসে প্রথমবার বুন্দেশলিগা (Bundesliga) ট্রফি জিততে বায়ার লেভারকুজেনের লেগে গেল এক শতাব্দীরও বেশি সময়। তাই তাদের আবেগ হয় বাঁধনহারা, তাদের উদ্যাপন হয় পাগলপারা। যে কারণে ম্যাচ শেষ হওয়ার অপেক্ষা তারা আর করতে পারে না। আগেই নেমে আসে মাঠে। তাদের উদ্যাপনে বাধা না দিতে রেফারিকেও ৯০ মিনিটের কিছুক্ষণ আগেই বাজিয়ে দিতে হয় শেষ বাঁশি। দিনের পর দিন হারতে হারতে ‘নেভারকুজেন’ হয়ে যাওয়া মানুষগুলোকে একটু আগেই সুযোগ করে দিতে হয় উদ্যাপনের।
১৮৯১ সালে ফ্রেইড্রিক বায়ার তার ঔষধ আর রঙের কারখানাটা সরিয়ে এনেছিলেন রাইন নদীর তীরে, সেখানে আগে থেকেই ছিল তার ব্যবসায়িক পার্টনার কার লেবারকুজেনের আরো কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। ১৯০৪ সালে কেমিক্যাল ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা মনে করলেন তাদের একটা ফুটবল টিম থাকা দরকার এবং যে দলটাকে ডাকা হবে কর্মীদের দল নামে। তাদের দলের পেছনে ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানির প্রভাব ছিল বলে প্রতিপক্ষের সমর্থকরা তাদেরকে বলতে ‘প্লাস্টিক টিম’ আর তাদের সমর্থকদের ডাকা হতো ‘প্লাস্টিক সমর্থক’ বলে। মূলত ফুটবলীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যহীনতার কারণে এটি ডাকা হয়।
জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। অপেক্ষার অবসান হবে ক্লাবের ১২০ বছরের ইতিহাসের। প্রথম জার্মান লিগ বুন্দেসলিগার শিরোপা জেতা হবে তাদের। এমন ম্যাচে নিজ মাঠে ওয়ার্ডার ব্রেমেনকে ৫-০ গোলের বড় ব্যাবধানে হারায় লেভারকুজেন। পয়েন্ট টেবিলে বায়ার্ন মিউনিখের চেয়ে ১৬ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে শিরোপা জয়ের স্বাধ পায় লেভারকুজেন। ম্যাচ জয়ের পর গ্যালারীতে থাকা লেভারকুসের দর্শকদের চোখ থেকে ঝরে খুশির অশ্রু। অনেকে প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেড়ে পড়েন। মুহূর্তেই গ্যালারির বেড়া টপকিয়ে সবাই ঢুকে যায় স্টেডিয়ামের মধ্যে। মাঠে ঘাসে হাটু ঘেড়ে বসে পড়ে অনেক খেলোয়াড়দের ঘিরে শুরু করে শুরু করে শিরোপা উল্লাস। দর্শকের এমন বাধঁভাঙা উল্লাস করাটাই প্রত্যাশিত ছিল।
‘নেবারকুজেনে’র তকমা গায়ে লেগে আছে যাদের, যারা পরাজিত ভূত গায়ে চাপিয়ে ঘুরে বেড়ায়, অন্যরা যাদের নিয়ে উপহাস করে সেই তারাই ১২০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মাইস্টার সালের অধিকারী। এই অর্জনে তারা ভেঙে দিয়েছে বুন্দেজলীগায় বায়ার্ন মিউনিখের এগার বছর ধরে চলা ‘রেইন অফ টেরর’
বুন্দেসলিগায় চ্যাম্পিয়নদের তালিকায় নিজেদের নাম লেখাতে লেভারকুজেনকে ভাঙতে হয়েছে জার্মানের র্শীষ ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের দুর্গ। কেননা ২০১২-২৩ মৌসুম থেকে ২০২২-২৩ মৌসুম পর্যন্ত বুন্দেসলিগায় একচেটিয়া দাপট দেখিয়েছে বায়ার্ন। টানা ১১ মৌসুম শিরোপা জিতে অপ্রতিরুদ্ধ হয়ে উঠে জার্মানির র্শীষ ক্লাবটি। সেই বাভারিয়ানদের হারিয়ে বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়নদের অভিজাত ক্লাবে নাম লেখায় লেভারকুজেন। অথচ ১৮ মাস আগেও ছবিটা ছিল অন্যরকম। গত মরশুমের আগে প্রায় অবনমনের আওতায় চলে গিয়েছিল জার্মানির ক্লাব। সেখান থেকে এক রূপকথার প্রত্যাবর্তন ঘটল জাবি আলোনসোর অধীনে। তার আগে প্রাক্তন স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের সেভাবে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু তাঁর জাদুকাঠির স্পর্শেই ঘুরে দাঁড়াল লেভারকুজেন। পাঁচ ম্যাচ বাকি থাকতেই জার্মানি সেরা হলেন বনিফেস, জাকারা।
কোচ হিসেবে জাভি আলনসো দায়িত্ব নেয়ার পর তো হারতেই ভুলে গিয়েছে লেভারকুজেন। যার জন্য এখন সমর্থকরা লেভারকুজেনকে এখন ভালোবেসে নাম দিয়েছে ‘নেভারলুজেন’। প্রথম দল হিসেবে বুন্দেসলিগার এক মৌসুমে প্রথম ২৯ ম্যাচে অপরাজিত লেভারকুজেন (২৫ জয়, ৪ ড্র)। ব্রেমেনকে হারিয়ে বায়ার্নের রেকর্ড ভেঙেছে দলটি। ২০১৩-১৪ মৌসুমে প্রথম ২৮ ম্যাচে অপরাজিত ছিল পেপ গার্দিওলার বায়ার্ন। লেভারকুজেন সর্বশেষ হেরেছে ২০২৩ সালের ২৭ মে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৪৩ ম্যাচে অপরাজিত লেভারকুজেন (৩৮ জয়, ৫ ড্র)। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে যা যৌথভাবে রেকর্ড। সিরি ‘আ’ ক্লাব জুভেন্টাস ২০১১ সালের মে মাস থেকে ২০১২ সালের মে মাস পর্যন্ত টানা ৪৩ ম্যাচে অপরাজিত। ইউরোপের সব লিগের রেকর্ড ভাঙতে পরের ছয়টি ম্যাচ অপরাজিত থাকতে হবে লেভারকুজেনকে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৪৮ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার (১৯৬৩-৬৫)।
জাভি আলনসো দায়িত্ব নেয়ার মাত্র দুই মৌসুমে রূপকথার মতো বদলে যাওয়া লেভারকুজেনের সামনে এখন ট্রেবল জয়ের হাতছানি। ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ওয়েস্ট হামকে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে একধাপ এগিয়ে রয়েছে আলনসোর শিষ্যরা। এবং ডিএফবি পোকাল কাপের ফাইনালে আগামী ২৬ মে কাইজারস্লটার্নের বিপক্ষে মাঠে নামবে লেভারকুজেন।
লেভারকুজেনকে এমন সাফল্যে এনে দেওয়া জাবি আলোনসো বর্তমান ফুটবল বিশ্বের মোষ্ট ওয়ান্টেড ম্যান। কারণ সে এনম কিছু করেছে যেটা দশকেরও বেশি সময় ধরে কেউ করে দেখাতে পারেনি। বুন্দেশলিগায় বায়ার্ন মিউনিখের বাহিরে অন্য কেউ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন বারাক ওবামা এবং আইফোন-৫ ছিলো লেটেষ্ট প্রযুক্তি।
জোসে মরিনহো একসময় জাভি আলোনসেকে নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন যে, তার ভেতরে আদর্শ ম্যানেজার হয়ে ওঠার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। সে কোচিং পেয়েছে জোজে মরিনহো, গার্দিওলা, আনচেলত্তি, রাফায়েল বেনিতেজ এর মত বিখ্যাত কোচদের কাছে। জাভি আলোনসো বায়ার লেভারকুজেনকে নিয়ে যেটা করে চলছেন সেটা শুধু ইউরোপে নয়—পুরো ফুটবল বিশ্বে হইচইয়ের জন্ম দিয়েছে।
ইয়ুর্গেন ক্লপের— গেগেনপ্রেসিং (এমন একটি প্রেসিং ট্যাক্টিক্স, যেখানে কোন টিম বল পজেশন লস করার পর ডিফেন্সে ড্রপব্যাক করে অর্গানাইজড হওয়ার পরিবর্তে ইমিডিয়েটলি বল পজেশন নিজেদের দখলে নেওয়ার জন্য এটেম্পট নেয়), পেপ গার্দিওলার— পজিশনাল প্লে এবং ফার্নান্দো দিনিজের— রিলেশনিজমকে জাভি আলোনসোকে একত্রিত করেছেন নিজের কোচিং দর্শণে। সেইসাথে মর্ডান ফুটবলের দর্শনের মধ্যকার গ্যাপগুলোকে দুর করে নির্মাণ করেছেন ফুটবলের নতুন ধারা। বিল্ড-আপ থেকে কাউন্টার অ্যাটাক, কাউন্টারপ্রেস— সবভাবেই অবিশ্বাস্যরকম গোল করে যাচ্ছে বায়ার লেভারকুজেন। আর জাভি তার নিজস্ব স্টাইল দিয়ে ফুটবল বিশ্বের মনজোগ আকর্ষণ করে যাচ্ছেন। তার হাত ধরেই লেভারকুজেন ইউরোপের সবচেয়ে বিনোদন দানকারী দলে পরিনত হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠার ১২০ বছর পরে যে পাগল পারা আনন্দের উপলক্ষ এসেছে সেটা ঠিক ২২ বছর আগেই হতে পারতো, অন্তত বেস্টফালিয়া অঞ্চলের মানুষরা সেরকমটাই স্বপ্ন দেখেছিল। আর তাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ২০০১-০২ সালের ম্যানেজার ক্লাউস টপমোলার এবং স্কোয়াডে থাকা মাইকেল বালাক, লুসিও, জি রোবের্তো, টমাস ব্রদারিচদের মতো উঠতি তারকা খেলোয়াররা
লিভারপুল, রিয়াল বা বায়ার্ন তাকে কোচ সিহেবে অথবা আরও সম্মানজনকভাবে বললে নিজেদের ম্যনেজার হিসেবে চায়। যখন থেকে পেশাদার ক্লাবগুলো ব্যবসায়ে পরিনত হয়েছে তখন থেকে টপ ক্লাস কোচরা টপ ম্যানেজার হয়ে উঠেছেন। আর সেই সমস্ত ম্যানেজাররা ক্লাবের ভ্যালু বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছেন। জাভির কাছ থেকে সেই সব ম্যানেজাররা শিক্ষতে পাড়েন কিভাবে অন্যকে মোটিভেট করতে হয়, কিভাবে চাপ নিতে হয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাব্য সেরা উপায়ে নিজেকে বিক্রি করতে হয়।
আলোনসোর সফলতার পিছনে অনেক কারণে মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ, সে তার সিশ্যদের শুধু বলে দেয় না কিভাবে ফুটবলটা খেলতে হয় বরং দেখিয়ে দেয় সেটা কিভাবে করতে হয়। আলোনসোর কাছে অনেক বড় ক্লাবের প্রস্তাব থাকলেও সে ‘রিয়াল সোসিয়েদাদ বি’ দলকেই বেছে নিয়েছিল কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য। তিন বছর সেখানে কাটিয়ে জাভি নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি কেরেছে। তার থিওরি হলো আগে নিজেকে প্রস্তুত করে পরে সেই কাজে নামলে সফলতার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এই জন্যই তার সমসাময়িক কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করা ফাঙ্ক ল্যাম্পার্ড বা জন টেরিরা বড় ক্লাবের ডাগআউটে দাড়াঁলেও সফলতায় জাভি তাদেরকে ছাড়িয়ে গেছেন।
প্রতিষ্ঠার ১২০ বছর পরে যে পাগল পারা আনন্দের উপলক্ষ এসেছে সেটা ঠিক ২২ বছর আগেই হতে পারতো, অন্তত বেস্টফালিয়া অঞ্চলের মানুষরা সেরকমটাই স্বপ্ন দেখেছিল। আর তাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ২০০১-০২ সালের ম্যানেজার ক্লাউস টপমোলার এবং স্কোয়াডে থাকা মাইকেল বালাক, লুসিও, জি রোবের্তো, টমাস ব্রদারিচদের মতো উঠতি তারকা খেলোয়াররা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল, বুন্দেশলিগার টেবিল টপ, ডিএফবি পোকালের ফাইনালে উঠে ট্রেবল জয়ের মঞ্চটা প্রস্তুত করেই ফেলেছিল। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হার, বুন্দেসলিগায় একদম শেষদিনে মাইস্টার সালাটা হারায় বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে এবং এরপর পোকালে লেভারকুজেন হারে শালকার কাছে। আর এভাবেই ১৯৯৬ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত টানা পাঁচ মৌসুমে বুন্দেসলিগায় খুব কাছাকাছি গিয়েও শিরোপা ছুয়ে দেখা হয়নি লেভারকুজেনের।
আলোনসোর এখনকার লেভারকুজেন ভিন্ন ধাতুতে গড়া। ভিক্তর বোনিফেইস, গ্রানিত শাকা, ফ্লেরিয়ান রিটজ, প্যাট্রিক শিকরা যেন অন্য এক জগতের মানুষ! অথচ কয়েক মাস আগেও তাঁরা ছিলেন বড্ড সাদামাটা, সাধারণ। দলটির সামনে এখন আছে ঐতিহাসিক ট্রেবল জয়ের সুযোগও। জার্মান কাপের ফাইনালে ওঠার পাশাপাশি ইউরোপা লিগের সেমিতেও এক পা দিয়ে রেখেছে তারা।
গত এক দশকে ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগের রোল অব অনারের দিকে তাকালে যে চিত্রটা স্পষ্ট তা হলো, এখানে বড়দের সাথে ছোটদের পার্থক্য শুধু অর্থনৈতিক নয়, সাংস্কৃতিক ও মনস্তাত্ত্বিক ব্যবধানটাও প্রকট। ছোট দলগুলোর অনেকের হয়তো অর্থ আছে, কিন্তু জয়ের সংস্কৃতি বা সাফল্যের মানসিকতাটুকুই গড়ে উঠেনি। এখানে তথাকথিত ছোটরা বড়দের হুটহাট হারায় বটে, তবে শুধুই আরেকটি বড় ক্লাবকে সুবিধা করে দিতে। এ সময়ে প্রিমিয়ার লিগে লেস্টারের রূপকথা এবং সিরি ‘আ’তে নাপোলির ফিরে আসা এবং লিগ ‘আঁ’তে লিলের একটি শিরোপা জয় ছাড়া তথাকথিত ছোট দলগুলোর বিশেষ কোনো চমকই ছিল না। তবে এর মধ্যে আলাদাভাবে বলা যায় কেবল লেস্টারের কথা। আর এবার সেই একই চিত্র ফিরিয়ে এনেছে লেভারকুজেন। আলোনসোর এই দলটি ফুটবলকে যেন বড়লোকের ড্রয়িংরুম থেকে ধুলামাটির রাজ্যে ফিরিয়ে এনেছে।