Author Picture

বিশ্বকাপের পনেরো

মেজবাহ উদদীন

‘দ্য আম্পায়ার…ইজ লাইক দ্য গিজার ইন দ্য বাথরুম; উই ক্যাননট ডু উইদাউট ইট, ইয়েট উই নোটিস ইট ওনলি হোয়েন ইট ইজ আউট অফ অর্ডার।’ ক্রিকেট-সাহিত্যিক স্যার নেভিল কার্ডাসের এ পঙক্তির বাংলা তরজমা করলে দাড়ায়—  আম্পায়ার সেই নিঃস্ব প্রজাতি, ক্রিকেটারের দৈনন্দিন জীবনে যা একান্ত কাম্য। প্রয়োজনীয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও চরম অবহেলিত। স্বল্পেই বর্জনীয়! অনেকটা বাথরুমের গিজারের মতো। প্রাত্যহিক যা দরকার পড়ে। কিন্তু বিকল না হওয়া পর্যন্ত কেউ লক্ষই করে না! তেমনি এদেশের অগনিত ভক্তসমর্থকদের কথা শুধু ক্রিকেট বাণিজ্যে দর কষাকষির সময় মনে পরে নীতিনির্ধারকদের। এর বাহিরে বোর্ড বা ক্রিকেটার কারও কাছেই কল্কে পায় না এই বাংলার বিশাল ভক্তকূল।

ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট। ক্রিড়া জগতের বহুল চর্চিত এই বাক্যের কোথাও নেই বাংলাদেশ। আমাদের খেলোয়ারদের ফর্ম এবং ক্লাস দুটোই টেম্পোরারি, শুধু অফ ফর্ম ইজ পার্মানেন্ট! তাই তো ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলা অফ-ফর্ম যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের বিপক্ষেও দেখতে পাচ্ছি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বৃহস্পতিবার সন্ধা) যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হেরে সিরিজ হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ। ২৪ বছর ধরে টেষ্ট খেলা বাংলাদেশের সমর্থকদের জন্য এটা ভীষণ লাজ্জার।

প্রতিটা টুর্নামেন্টের আগেই প্রেস কনফারেন্স করে দল ঘোষণা করা হয়। এবং এরপরের কয়েকদিন ধরে সেই দল নিয়ে চলে আলোচনা সমালোচনা। তবে এবারের দল নিয়ে খুব বেশি সমালোচনা না থাকলেও দেশের ক্রিকেটের পাইপ লাইন যে কতটা নড়বড়ে সেই কথাই যেনো জোরালোভাবে ঘোষনা করা হলো। লিটন দাসের কোনো রিপ্লেসমেন্ট নেই, সাকিব আল হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত আর তাসকিন আহমেদদের কোনো বিকল্প নেই। দল পরিচালানার জন্য কাউকে তৈরি করা হয়নি। আর সেজন্যই হুটহাট লিটন, মিরাজ বা তাসকিনকে বানিয়ে দেওয়া হয় সহ-অধিনায়ক!

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর আগামী ২ জুন থেকে মাঠে গড়াবে। আর এই বিশ্বকাপের জন্য ১৯ তম দল হিসেবে নিজেদের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। নতুন করে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেছেন, খুব বড় কোনো আশা তারা করছেন না। লিপুর এই কথা সমর্থক হিসেবে আপনাকে আঘাত করলেও এটাই হল রূঢ় বাস্তবতা।

নাজমুল হোসেন শান্ত এবং তাসকিন আহমেদকে সহ-অধিনায়ক করে ঘোষণা করা স্কোয়াডে বড় ঘটনা বলতে দু-তিনটি। চোট শঙ্কায় থাকা তাসকিন আহমেদকে সহ-অধিনায়কের পদে রাখা, ধারাবাহিকভাবে বাজে পারফর্মের পরেও লিটনকে দলে রাখা এবং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন আহমেদের বাদ পড়া।

দল ঘোষণায় ধারাবাহিকভাবে বিতর্কের জন্ম দেওয়া আগের তিন নির্বচক প্যানেল থেকে প্রধান নির্বাচকসহ দু’জনকে বাদ দিয়ে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব দেওয়ার পর যেটা মনে করা হয়েছিল যে, দল নির্বচনে তিনি সম্পূর্ণ স্বাধীনতা পাবেন। তবে সংবাদ সম্মেলনে লিপুর কথা শুনে মনে হয়েছে দল ঘোষণা তিনি করলেও পূর্ণ স্বাধীনতা তাকে দেওয়া হয়নি।

ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট। ক্রিড়া জগতের বহুল চর্চিত এই বাক্যের কোথাও নেই বাংলাদেশ। আমাদের খেলোয়ারদের ফর্ম এবং ক্লাস দুটোই টেম্পোরারি, শুধু অফ ফর্ম ইজ পার্মানেন্ট! তাই তো ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলা অফ-ফর্ম যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের বিপক্ষেও দেখতে পাচ্ছি

অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনকে বাদ দিয়ে তানজিম সাকিবকে নেওয়ার যে ব্যাখ্যা লিপু দিয়েছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকদের তা মনঃপূত হয়নি। প্রধান নির্বাচকের মতে, সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজের ফলাফল বিচারে সাইফউদ্দিনের চেয়ে তানজিম সাকিব এগিয়ে। কিন্তু পরিসংখানে চোখ বুলিয়ে এই কথার যথার্থতা পাওয়া যায় না।

অন্যদিকে চলতি বছর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি লিটন। ৬ ম্যাচ খেলে করেছেন ৭৯ রান, গড় ১৩! তিন সংস্করণে শেষ ৪ ইনিংসে লিটনের রান- টেস্ট (২৫, ০, ৪ ও ৩৮), ওয়ানডে (৬, ১*, ০ ও ০) এবং টি-টোয়েন্টি (৭, ১, ২৩ ও ১২)। বোঝাই যাচ্ছে, কোনো ফরম্যাটেই হাসছে না লিটনের ব্যাট। সবশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজেও রঙ ছড়াতে পারেননি তিনি। তবুও লিটন কেন বিশ্বকাপ দলে তার ব্যাখ্যায় প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘লিটন কেবল ওপেনারই নয়, তার বিষয়টা তুললে উইকেটকিপিং সামর্থ্যের কথাও চলে আসে। আমাদের দুটো উইকেটকিপার নিয়ে যেতেই হবে। …ফর্মহীন থাকার পরও আমাদের লিটনের ওপর আস্থা রাখতে হয়েছে।’  লিপুর এই কথায় বিতর্কের চেয়ে দেশের ক্রিকেট দুর্গতির চিত্র প্রবলভাবে ফুটে ওঠে!

এর বাহিরে যে দুজন ক্রিকেটারকে ট্রাবেলিং রিজার্ব বা অতিরিক্ত হিসেবে দলের সাথে নেওয়া হয়েছে বিতর্ক আছে তাদের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও। তাদের মধ্যে আফিফ হোসেন ধ্রুব, সদ্য সমাপ্ত জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের স্কোয়াডে থাকলেও কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। আর হাসান মাহমুদ তো সেই সিরিজে ছিলেনই না। খেলার মধ্যে না থাকা এই দুই ক্রিকেটার অতিরিক্ত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লাইটে উঠতে পারলেও জিম্বাবুয়ে সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়া সাইফউদ্দিন এমন কি ট্রাবেলিং রিজার্ভ হিসেবেও জায়গা পান না। দেশের ক্রিকেট-ভবিষ্যতের  জন্য এটা একটা খারাপ উদাহরণ।

ইনজুরি আক্রান্ত তাসকিনকে সহ-অধিনায়ক করার যুক্তিটা হজম করা কষ্টের। কারণ যে তাসকিনের বিশ্বকাপের প্রথম দিকের ম্যাচগুলো মিস করার সম্ভাবনা যথেষ্ট। বলা হয়েছে শেষদিকের ম্যাচগুলো, যেগুলো আসলে নেপাল এবং নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে সেখানে তাকে পাওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ, টুর্নামেন্টের প্রথম দিকে আমাদের কোনো পেসার যদি কোনো কারণে ইনজুরি আক্রান্ত হন তবে আমাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের মতো পেস বোলিং কণ্ডিশনেও মাত্র দুই পেসার এবং তিন স্পিনার নিয়েই খেলতে হবে। সেক্ষেত্রে অবধারিতভাবেই বাংলাদেশ ব্যাকফুটে থাকবে। আর এমনটা হলে প্রতিযোগিতা থেকে বাংলাদেশ প্রথমেই ছিটকে যাবে। শেষের দিকের ম্যাচগুলো তখন হয়ে পরবে নিয়ম রক্ষার মাত্র।

এবারের বিশ্বকাপের জন্য বেশ তারুণ্য নির্ভর দলই নিয়ে গেছে বাংলাদেশ। তারুণ্যের এই মিছিলের ৬ জন তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, তানভীর ইসলাম, রিশাদ হোসেন এবং তানজিম হাসান সাকিব প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে গেলেন।

টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসরে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের পারফরম্যান্স চরম হতাশাজনক। কোনো আসরেই দুটির বেশি ম্যাচ জেতা হয়নি। গত বিশ্বকাপের আগে তো মূল পর্বে কোনো ম্যাচ জয়ের স্বাদই ছিল না। অধিনায়ক শান্ত তো কিছুদিন আগে সরাসরিই বলেছেন, বিশ্বকাপ নিয়ে যেন বড় আশা কেউ না করেন

এদের মধ্যে বাংলাদেশের উদীয়মান তারকাদের একজন তানজিদ হাসান তামিম । ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতা যে দলটা এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের তারুণ্যের প্রতিচ্ছবি হয়ে আছে, সেই দলের ওপেনার ছিলেন জুনিয়র তামিম। ইমার্জিং এশিয়া কাপ দিয়ে জাতীয় দলে এসেছিলেন তামিম।

তানজিম সাকিবের শুরুটাও প্রায় সমসাময়িক। এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ে ভূমিকা রেখেছিলেন এই পেসার। এরপর বিতর্কের ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন।

ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিনিশার রোলে উত্থান হয়েছে রিশাদ এবং জাকেরের। একজন ছিলেন টি-টোয়েন্টিতে, আরেকজন ওয়ানডেতে। রিশাদ জাতীয় দলের রাডারে ছিলেন লেগস্পিনার হয়ে। এরপর ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে চার-ছক্কার ঝড় তুলে নির্বাচকদের মন জয় করেন। চলতি বছরের বিপিএল দিয়ে উত্থান হয় জাকেরের। এরপর জাকেরের সুযোগ মিলেছে বাংলাদেশ দলে। নিজেকেও প্রমাণ করেছেন তিনি।

বিপিএলে জাকেরের সতীর্থ হিসেবে ছিলেন তানভীর আহমেদ। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৬১ ইনিংসে বল করে পেয়েছেন ৭৪ উইকেট। ক্যারিবিয়ান পিচে সাকিব আল হাসান এবং শেখ মেহেদীর সঙ্গে তার ওপরই আস্থা রাখতে পেরেছেন নির্বাচকরা। নতুনদের মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ নাম তাওহীদ হৃদয়। ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতা বাংলাদেশ দলের মেরুদণ্ড ছিলেন হৃদয়। ২০২২ সালে অভিষেকের পর থেকেই বাংলাদেশের মিডল অর্ডারের দায়িত্ব সামলে চলছেন তিনি।

টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসরে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের পারফরম্যান্স চরম হতাশাজনক। কোনো আসরেই দুটির বেশি ম্যাচ জেতা হয়নি। গত বিশ্বকাপের আগে তো মূল পর্বে কোনো ম্যাচ জয়ের স্বাদই ছিল না। অধিনায়ক শান্ত তো কিছুদিন আগে সরাসরিই বলেছেন, বিশ্বকাপ নিয়ে যেন বড় আশা কেউ না করেন। দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেনও বলেছেন, খুব বড় কোনো আশা তারা করছেন না।

ঘোষিত সূচি অনুসারে আগামী ১ জুন পর্দা উঠবে ২০ ওভারের বিশ্বকাপের। টুর্নামেন্টের যৌথ আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র। ২৯ দিন ব্যাপী এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে ৮ জুন থেকে। যেখানে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন, ভেন্যু যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস। এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ জুন বাংলাদেশ লড়বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ১৩ জুন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা। এরপর ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গ্রুপপর্ব শেষ করবে বাংলাদেশ। ২৬ ও ২৭ জুন সেমিফাইনাল। ২৯ জুন ফাইনাল। তিনটি ম্যাচেই থাকছে রিজার্ভ ডে।

মোট ৯টি ভেন্যুতে বিশ্বকাপের ৫৫টি ম্যাচ হবে। ভেন্যু হিসেবে রয়েছে বার্বাডোজের কেনিংটন ওভাল, ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা ক্রিকেট অ্যাকাডেমি, ত্রিনিদাদের প্রোভিডেন্স স্টেডিয়াম, গায়ানার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম, অ্যান্টিগার ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট গ্রাউন্ড ও সেন্ট লুসিয়ার অ্যারন্স ভ্যালি স্টেডিয়াম।

আরো পড়তে পারেন

বিদায় রূপকথার দেবদূত

যে পরিবেশে জলছবি আর রংমশালের গল্প ছিল না। না ছিল রূপকথার পরীদের গল্পও। কেবল ছিল অভাবের গল্প, আর একটা বল ছিল। যতবার সেই বলকে দূরে ছুড়ে দিত রোগা পা, ততবার, একবেলা খেতে না পাওয়ার কথা ভুলে যেতেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। ভুলে যেতেন, তাঁদের জীবনটা অভাব অন্ধকার আর না-পাওয়ার সবটুকু রংহীনতা মেখে নিচ্ছে রোজ। ফুটবলের সঙ্গে….

বিশ্বকাপের মার্কশিট

‘পরের জন্মে আমি এর প্রতিশোধ নেব। নেবই। মোহনবাগানের ফুটবলার হয়ে জন্ম নিয়ে…।’ অনেক বছর আগে এক ভারতিয় পত্রিকায় পড়া এক চিঠি। যে চিঠি হয়তো লেখা হয়েছিল কোনও এক অনির্বাণ দহনের রাতে। লিখে আর ভাবেনি, লেখক চলে গিয়েছিল সব ছেড়েছুড়ে। প্রতিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে। প্রায় পাঁচ দশক আগে পঁচাত্তরে ইস্টবেঙ্গলের কাছে পাঁচ গোলের অনলে দগ্ধ এক মোহনবাগান….

বাংলাদেশে আবারো শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প

বাঙালির স্বপ্নিল বাসনা আর স্বপ্নের সীমাবদ্ধতা যেখানে ধাক্কা খায়, যে-দারিদ্র্য নায়কনির্ভর চিত্রনাট্য, স্পেক্টাকলের বিনোদন বহু কষ্টে পাঁজরে গোপন করে রাখে। ফুটবল সেখানে যেনো এক মুক্ত বাতাস হয়ে জড়িয়ে থাকে পুরোটা পথ। তবু বাঙালির ফুটবলার হওয়ার রাস্তায় জেগে থাকে অগণিত লাল বাতি। এবার ফুটবলার হওয়ার সেই বাধা দূর করতে ঢাকায় আয়োজিত হতে যাচ্ছে বার্সা একাডেমির নির্ধারিত….

error: Content is protected !!