বন্ধুত্ব একটি সর্ম্পক। একটি শক্তিশালী সর্ম্পক। কখনো পুরুষে পুরুষে, কখনো নারীতে নারীতে এবং কখনো পুরুষ নারী।
নারী পুরুষের বন্ধুত্বের ক্ষেত্র দুটি: হয় সেক্সচুয়াল, নয় ইন্টেলেকচুয়াল। পুরুষ তার জীববিজ্ঞানের কারণে সেক্সচুয়াল সর্ম্পকে স্বাভাবকিভাবে আগ্রহী থাকে বেশি। নারীর প্রবণতা থাকে ইন্টেলেকচুয়াল সর্ম্পকে বেশি। নারীর যৌন আকাঙ্ক্ষা পুরুষের তুলনায় মোটেও কম নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রে উল্টো অনেক বেশি, কিন্তু নারীর সেই চাওয়ার ধরণ এবং বাস্তবায়ন চট করে আসে না এবং পুরুষের তুলনায় তা ভিন্ন রকম।
পুরুষ নারীকে বোঝার আগেই তার শরীর চেয়ে বসে, পুরুষটিকে না বুঝলে নারীর সে চাওয়া খুব কমই জাগে, আর এই বুঝটি বেশিরভাগ পুরুষের একেবারেই থাকে না।
শারীরিক আনন্দ লিঙ্গের রাসায়নিক মাধ্যাকর্ষণ। মনের ভালোলাগার কোনো লিঙ্গ নেই।
সম্পর্কের গোড়াতেই সেক্সচুয়ালিটিকে প্রাধান্য দিলে সে সর্ম্পক বেশিদিন টিকে না।
যৌন আকাঙ্ক্ষা শরীরের স্বাভাবিক চাহিদা এবং প্রবৃত্তি। এটাকে বুঝতে শিখলে সম্পর্ক এবং যৌন আনন্দ– দুটোকেই উপভোগ করা যায়।
শরীরকে বুঝতে শেখা মানে নিজেকেই বোঝা।
কিন্তু এটার জলদি নিবৃত্তি অন্য আরেকটি প্রবৃত্তিকে তাড়াহুড়ো নষ্ট করে দেয়। আর সেই নির্মল সম্পর্কটি হলো ইন্টেলেকচুয়াল রিলেশনশিপ। এটার মানে জ্ঞানর্গভ কথা বলা নয়, এটার মানে হলো পরস্পরের চিন্তাকে ছোঁয়া, হৃদয়কে র্স্পশ করা, নিজেদের ভালোলাগার একটা কমন গ্রাউন্ড তৈরি করা।
মন এবং শরীর তখন আপন ছন্দে নৃত্য করবে।
মন যখন শরীর চালায়, শরীর চলে ছন্দে; শরীর যখন মনকে চালায়, দুটোই পড়ে দ্বন্দ্বে।