বহ্ন্যুৎসব
কত কিছু পুড়ল!
গাড়ি পুড়ল বাড়ি পুড়ল
দম্ভের দালান পুড়ে ক্ষার
জলপাই সবুজ ট্যাংক নামল
পুড়ল বই গল্প রূপকথার
বেলুন হাতে পুড়তে পুড়তে
ফানুস হয়ে উড়ে গেল বালক
মায়ের আঁচল পুড়ল
পুড়ল বুকের কাছের লোক
যুবকের বুক পোড়াতে পোড়াতে
পুড়ে গেল বন্দুক, থানার সেপাই
কারো কারো স্বপ্ন পুড়ল
আমিও পোড়ার গন্ধ পাই-
আমার পুড়ল মানুষ পরিচয়!
প্রতিশোধ
তোমাকে ঘৃণা করি
তবু এড়িয়ে যাই না
তোমার মুখোমুখি দাড়াই
আসলে আমি ঘৃণা বাড়াই,
ঘৃণা জিয়য়ে রাখতে রাখতে
একদিন সুযোগ পেলে
সুযোগ নেব-
তোমার গায়ে ঘৃণার বমি
উগরে দেব হারামজাদা!
রাজপথ
রাজপথ
তুমি জ্বললেই
উড়ে যায়
রাজার সেপাই
পুড়ে যায় রাজা!
অন্যায়ে ভরে যাওয়া
প্রাসাদ ছাই!
রাজপথ জ্বলছে
ঐ তো প্রাসাদ
পুড়ছে, গলছে।
নিরাশ্রয়
চেরির স্বাদ
এখনো অটুট
পাখিরা জানে-
শিশুরা অবাক হয়ে
তুলে নেয়
মাটির পুতুল
প্রেম আমাদের কাছে
শরীরের ভুল
কলঙ্কে কাতর
রূপালী চাঁদ
জিহ্বায় পাপ
সবকিছু বিস্বাদ
আমাদের হাতে
লেগে থাকা বোধ
অপরাধ ভীষণ প্রেমেও
ঢেকে ফেলি মুখ
অন্ধকার আমাকে
আশ্রয় দিয়েও
ছুড়ে দেয়
আলোর দোযখে
বিভ্রম
জয়পুরহাটের কথা উঠলেই
চলে আসে আক্কেলপুর
তার নিভৃতে বালিকা উচ্চবিদ্যালয়,
আমি কখনো সেখানে যাইনি
আক্কেলপুরও আমার কাছে আসেনি
তুমিও পড়োনি সেখানে
তবুও জয়পুরহাটের কথা আসলেই
চলে আসে আক্কেলপুর
তার নিভৃতে বালিকা উচ্চবিদ্যালয়
সেখানে এক পুকুর ঘাটে
এক কিশোরী
পা ডুবিয়ে কাঁদছে
পুরুষ ও মেয়ে
পুরুষগুলো হাপিত্যেশ করতে থাকে
একেকটা মেয়ের জন্য
একেকটা মেয়ে হাপিত্যেশ করে
মুক্তি চায়
পুরুষগুলো কারাগারের দেয়ালে
লিখে রাখে মুক্তির গান
মেয়েগুলো গানের টানে
কারাগারে যায়
পুরুষগুলো মেয়ে চায়
মেয়েগুলো মুক্তি
আহা, কেউ কাউকে পায় না!