সবুজ স্তন
প্রচুর নেশা হলে দেখবেন—
গাছগুলো বৃষ্টি,
পাতার বদলে বব চুল,
কী ফর্সা! তার বাহু,
উরু ব্যাঞ্জনা,
জলভারে নুয়ে আছে সবুজ স্তন।
নেশা এমনই এক সদগুন যে,
মাঝরাতে উড়ে উঠবে রাস্তাগুলো
আকাশে মুখ দিয়ে আপনি বলছেন—
আমাদের একটা পৃথিবী ছিল,
ঠিক চাঁদের মত গোল।
চুর পরিমাণ নেশা হলে,
আপনার পা থেকে
অহংকারী পাথর খসে যাবে;
শত্রুর দরজায় কড়া নেড়ে
আপনি বলবেন-চা’য়ের কথা।
প্রেমের বদলে ভালবাসা চাইবেন,
নারীকে বলবেন, বন্ধু।
মুখস্ত বিদ্যা
তুমি যাকে টেনে বেড়াচ্ছ
সেটা তুমি না,
তোমাকে না জানিয়েই
শরীর সরে গেছে,
পা চলে গেছে
অন্য কারও পায়ে,
মনের মধ্যে
তুমি মন খুঁজে পাচ্ছ না।
পথের পাশেই বন্ধু ছিল
নদীর পাড়ে ছিল চিলে মোকাম
আরও দূরে হারাবার হাতছানি,
সে সব ফেলে
ভয়ে ভয়ে মুখ বুজে
বুনে গেছ শুধু
সম্পর্কের জাল,
মুখস্ত বিদ্যার ফ্যাড়ে পড়ে
এখন তোমার আর কোন বন্ধু নেই
তুমি খালি হচ্ছো
সম্পুর্ণ একা হচ্ছো
একমাত্র একা
বর্জখ
সাধু হতে চাইলে তোমাকে
বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
দুপুরের খড়তাপে না চাইলেও
সাধনা ভেংগে ভেংগে পড়বে।
যত তাপ কমবে তত সাধনা গাঢ় হবে
সব ইচ্ছে মরে গেলে
ধীর পায়ে গুরু এসে
তোমার ভিতরে একা
আসন পাতবে।
অন্যরা যা বলে বিশ্বাস করো না।
নিশানা করে এক মনে অপেক্ষা করো।
সহজাত
মানুষ তোমাকে অবহেলা করবে
যে কোন দিন
যে কোন সন্ধ্যায়
তুমি কল্পনাও করতে পারবে না
এমন ঘোরতর বর্ষার দূপুরে
মানুষ তোমাকে অবহেলা করবে।
পথের পাশে ওত পেতে থাকা
শিকারির মত সন্তর্পনে উঠে আসা মানুষ
পায়ে পা ঘষে তোমাকে অবহেলা করবে।
কোথাও না কোথাও কোন এক বয়সে
কোনও না কোনও ভাবে মানুষ
তোমাকে অবহেলা করবে।