Author Picture

পাঠকের চাওয়া পাওয়া 

অপূর্ব চৌধুরী

ভালো সিনেমার গুণ হলো দেখতে দেখতে মনে হয় যেন বাস্তবকেই দেখছে। যখন শেষ হলো, ভাবনায় এলো এতক্ষণ কি দেখছে তাহলে। মোহবিষ্টতাই আকর্ষণের লক্ষণ ৷ দুর্ঘটনার অন্তরালে দেখতে থাকে বিস্ময়ের পরম্পরা। একটি যায়, ঘোর না কাটতেই আরেকটি চলে আসে। আলো, শব্দ আর দৃশ্যের আলেয়ায় চলে ভানুমতীর খেলা।

তেমনি ভালো বই পড়া শেষে মনে হয়— এ যেন নিজের সাথে কথা বলা৷

ভালো লেখা পাঠকের ভেতর কথা বলে; মন্দ লেখা মন শুধু শোনে।

একটি ভালো লেখাও এমনি মন্ত্রমুগ্ধ রাখে অনেকক্ষণ৷ ভালো লেখা যখন ভালোবাসার কথা বলে, পাঠক কিংবা পাঠিকারা ভাবে এ যেন তাকেই বলা ৷ অল্প সুখে পাঠক বাসা বাঁধে কল্পের ঠিকানায় । দিনেদিনে শুরু করে লেখাকে ঘিরে এক ধরণের আত্ম নিপীড়ন৷ এ নিপীড়ন যদিও সুখের, এ নিপীড়ন বিনিময়ের। আপাতদৃশ্যে লেখাকে ঘিরে যেন গড়ে তোলেন অদৃশ্য হারেমখানা।

লেখকের কাজ লেখায় লেখায় নন্দিতায় নিয়ে যাওয়া, শব্দের প্রলোভনে স্বপ্নের বাগদান ঘটানো।

নির্মাণক্ষম একজন লেখক যদি লেখা দিয়ে পাঠককে এমন সুখকর স্বপ্নে প্রলুব্ধ করেন, সেটা লেখকের প্রবলতা, লেখার অনুবল এবং পাঠকের ভালো লাগা৷

পাঠকের আনন্দ সব সময়ের, লেখকের আনন্দ সময় সময়। পাঠকের আনন্দ তৃপ্তির; লেখকের আনন্দটা মুক্তির।

আরো পড়তে পারেন

প্রতিটি শূন্যতা যেন নতুন শোকের জন্ম দেয়

শূন্যতার আকাশে স্মৃতির মেঘ জমে। জীবন সরে সরে আসে মৃত্যুর দিকে। ফুরিয়ে আসা সময়ের দাপট এড়াতে পারে না কেউ। একজীবনে বহু জীবনাবসানের দেখা পাওয়া যায়, হয়তো দুর্ভাগ্যক্রমেই। ব্যক্তির মৃত্যুর পরিসমাপ্তি একবারই হয়, তবে সেই ব্যক্তি যদি বহুপ্রাণের সাথে জুড়ে থাকেন, তাঁর অনুপস্থিতি বারংবার অনুভূত হয়। প্রতিটি শূন্যতা যেন এক নতুন শোকের জন্ম দেয়। ২০২৪ সালে….

অর্বিটাল’র স্রষ্টা সামান্থা হার্ভে জিতলেন বুকার প্রাইজ

আঘাতপ্রাপ্ত পৃথিবীর গল্পে আমি থাকেত চাই শুধু মানবতা আর প্রকৃতির কাছে ঋণী। ব্রিটিশ লেখিকা সামান্থা হার্ভে এমন কথা বলেছেন কি না জানা হয়নি। তবে বুকার পুরস্কারের বিচারক প্যানেল হার্ভের মানবতা আর প্রকৃতির কাছে ঋণী থাকার মনোভাবের পরিচয় পেয়েছেন তাঁর অসাধারণ উপন্যাস অর্বিটাল’র মধ্যে। যার জন্য ২০২৪ সালে বুকার পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে সামান্থা হার্ভেকেই বেছে নিয়েছেন….

মোজাম্বিকের মুক্তিযোদ্ধাদের নজর কেড়েছিলেন মিয়া কাউতো

ভালোবাসায় অন্তরের টান আবশ্যিক উপকরণ। যার অভাবে পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে অসংখ্য মানুষের হাহাকার শুনেও কি নিঃশব্দে নীরব থেকে যাচ্ছি আমরা। নির্যাতিতের জন্য ন্যায়বিচারের পথ চেয়ে বসে আছি; যখন আমাদের সরব হওয়ার কথা। তবু কবিতার ভ্রুণ জন্ম নেয় মৃত্যুর জরায়ু থেকে। আফ্রিকান কবি মিয়া কাউতোর কবিতার ভিতর সেই অভিজ্ঞতার একটা পায়ে চলা পথের সন্ধান পেয়ে ব্রিটিশ….

error: Content is protected !!