Tuesday, December 23, 2025
spot_img
More

    সর্বশেষ

    শব্দ যেখানে ওষুধ: বিশ্বাস, যত্ন ও নিরাময়ের ভিত্তি হিসেবে যোগাযোগ

    চিকিৎসায় যোগাযোগ: অধ্যায়—১

    চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যোগাযোগকে কি আপনি কেবলই একটি সহায়ক দক্ষতা হিসেবে দেখেন? যদি তাই হয়, তবে এই অধ্যায় আপনার ভুল ভেঙে দেবে। লেখক বৈজ্ঞানিক তথ্য ও গভীর মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রমাণ করেছেন যে, সহানুভূতিপূর্ণ ও কার্যকরী যোগাযোগ হলো স্বয়ং একটি শক্তিশালী থেরাপিউটিক পদ্ধতি। কিন্তু কেন? আজকের বাংলাদেশে যখন রোগীরা সামান্য চিকিৎসার জন্য হাজার হাজার টাকা খরচ করে বিদেশে যাচ্ছেন, তখন মূল সমস্যাটি কোথায়? লেখক দেখিয়েছেন যে এই প্রবণতার মূলে রয়েছে আস্থার সংকট। যার সরাসরি কারণ হলো দুর্বল যোগাযোগ সক্ষমতা।

    তাহলে কার্যকর যোগাযোগ মানে কি শুধু কথা বলা? না! এই অধ্যায়টি আপনাকে দেখাবে, কেনো বাংলাদেশের মানুষ অল্পতেই চিকিৎসার জন্য বিদেশে ছোটেন। আসল কারণ হলো ভরসার অভাব। আর এই ভরসা তৈরি হয় কথা বলার ধরণে। এখানে লেখক যুক্তি দেখিয়েছেন যে ডাক্তারের মুখ থেকে বেরোনো প্রতিটি সহানুভূতিপূর্ণ শব্দ বা শান্ত একটি স্পর্শও সার্জারি বা ওষুধের মতোই শক্তিশালী! ডাক্তার যদি মনোযোগ দিয়ে রোগীর কথা শোনেন, তবে রোগীর মানসিক চাপ কমে। শুধু রোগ সারানো নয়, রোগীর মাঝে সাহস ও বেঁচে থাকার ইচ্ছা জাগিয়ে তোলার জন্য দরকার ‘থেরাপিউটিক যোগাযোগ’। এই যোগাযোগ কেবল তথ্য আদান-প্রদান নয়। এটি হলো রোগীর ভয়, চিন্তা ও কষ্টকে গুরুত্ব দেওয়া।

    চিকিৎসায় যোগাযোগ: আস্থা, যত্ন, আরোগ্য । মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম
    প্রকাশক: সৃজন
    বইটি প্রি-অর্ডার করতে হোয়াটসঅ্যাপ করুন— 01914696658

    এই অধ্যায়টি দেখায়, ডাক্তার-রোগীর কথোপকথন মৌখিক (যেমন সঠিক চিকিৎসা তথ্য, ইতিবাচক আশ্বাস প্রদান) এবং অবাচনিক (যেমন মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ, স্নেহপূর্ণ স্পর্শ, চোখের যোগাযোগ) উভয় দিক দিয়েই নিরাময়ে অনুঘটকের কাজ করে। রোগীর শারীরিক ও মানসিক আরোগ্যে ঔষধ, সার্জারি বা খাদ্যাভ্যাসের মতোই কার্যকর হলো সহানুভূতিপূর্ণ মিথস্ক্রিয়া। থেরাপিউটিক যোগাযোগকে এখানে একটি উদ্দেশ্যমূলক, ‘রোগী-কেন্দ্রিক প্রক্রিয়া’ হিসেবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এখানে চিকিৎসকের কাজ শুধু রোগ নির্ণয় করা নয়, রোগীর উদ্বেগ, ভয় ও অনুভূতিকে বৈধতা দিয়ে তাদের মানসিক চাপ কমানো। এই নিরাময়ী সংযোগ সরাসরিভাবে মানসিক সুস্থতা এবং পরোক্ষভাবে চিকিৎসা পরামর্শ মেনে চলা ও সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি রোগীর অঙ্গীকার বাড়াতে সাহায্য করে।

    যোগাযোগ কীভাবে তথ্য বিনিময়, আবেগ ব্যবস্থাপনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে রোগীর বেঁচে থাকা, উপশম এবং প্রাণশক্তি বৃদ্ধি করে, তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পথের বিস্তারিত বিশ্লেষণ পাবেন এই অধ্যায়ে। বিশ্বাস, যত্ন ও নিরাময়ের যে ভিত্তি দুর্বল হয়ে আছে, শব্দকে ওষধ হিসেবে ব্যবহার করে তা পুনরুদ্ধার করার কৌশল জানতে বইটি পড়ুন। এই একটি অধ্যায়ই প্রমাণ করে, কেন চিকিৎসকের প্রতিটি শব্দ রোগীর সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই বইয়ের প্রথম অধ্যায়ই আপনাকে শেখাবে, কীভাবে আপনার কথা বলার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে দুর্বল হয়ে যাওয়া ডাক্তার-রোগীর সম্পর্ককে আবার জোড়া লাগানো যায়। কথা বলাকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করার কৌশল জানতে এই অধ্যায়টি পড়ুন।

    বইটি প্রি-অর্ডার করতে হোয়াটসঅ্যাপ করুন— 01914696658

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    সর্বাধিক পঠিত

    Stay in touch

    To be updated with all the latest news, offers and special announcements.