কমলালেবু
এই এক বিকল্প রোদের সমান হয়ে যাচ্ছে কমলালেবু;
এই এক প্রযোজিত দুপুর বসে আছে শিল্পকলা হয়ে।
ওঁ মধু ! ওঁ মধু!
অমৃত সমান এই আনন্দ-ধ্বনি ।
এই ইহলৌকিক রক্তজবা ।
পুবে ও পশ্চিমে অশ্রুকণা ;
উত্তরে— দক্ষিণে হাহাকার ।
ডানে— বামে যুদ্ধ, রক্তপাত ।
উপরে ও নিচে নিষাদ, বিষাদ ।
এইখানে আরও কমলালেবু ;
এইখানে সুগভীর রোদ ।
এইখানে সান্ত্বনা , শুশ্রৃষা ।
এইখানে বহমান বোধ ।
এই এক বিকল্প রোদের সমান হয়ে যাচ্ছে কমলালেবু ;
এই এক অসুখের পাশে বর্ণমালা ।
এই এক মানুষের আস্থার দুপুর ।
এই এক অনিবার্য রূপকথা ।
রঙে রঙে পৃথিবীর প্রেম , শিল্পকলা।
ওঁ মধু ! ওঁ মধু !
হে ইভের প্রেমকণা ,
তুমি আরও প্রকৃত কমলালেবু হও ।
উদ্বাস্তু
পথের মোড়ে একাকি পড়ে রয়েছিলো একটি পাথরকণা।
স্বজনবিহীন ছিলো, হারিয়ে গিয়েছিলো বিবাহিত একশো সহজ সকাল।
উদ্বাস্তু পাথরকণা দেখেনি চারুকলা সমন্বিত অগ্রহায়ণ।
শোনেনি পাহাড়মুখরিত নৈঃশব্দ্য,দূরদৃষ্ট নম্র গুনগুন।
কে করে উজ্জ্বল উদ্ধার?
পৃথিবীতে নিঃস্ব হবে জীবন-প্রসবা উপাখ্যান!
পাখি
দুটো পালক নিয়ে এলো একটা প্রেম;আমার ঘরে।
পাখি নয় সে;তবু আছে পাখি পাখি ঠোঁট,খড়কুটো-ভরা মুগ্ধ নীড়ের ভাষাকাল।
চোখে আছে দৃশ্যমান ভোর;
সমুদ্রসংলগ্ন বন্দর।
পাখিটা কুড়োয় ঘরের ছাউনির মতো মহাকাল।
বোঝে বিশ্রাম,অবকাশ।
আমি তার কবরীবাঁধা আহবান
একটা পূর্ণ জীবন ভেবে শোকেসে
সাজিয়ে রেখেছি।
ও পাখি, নীড় হারালে প্রতিটি মানুষই রোহিঙ্গা হয়।



