Sunday, October 26, 2025
spot_img
More

    সর্বশেষ

    এয়া ও তাঁর কবি

    ময়ুখ চৌধুরী


    ‘আমার ব্যথ্যতাগুলো সীমানায় আতঙ্ক এঁকে দেয়। এবং সেটা শুধু সে আমাকেই দেখায়। আমাকে কাঁটাতারের সত্যতা শেখায়।’

    ‘আমি সন্ত্রাসে বিশ্বাসী নই যেমনটি নই ক্রসফায়ারেও’, ফেলানী, তনু সাতখুন, বিশ্বজিৎ, সাগর-রুনি, হযর আলী, আয়েশা, হলি আর্টিজানকেও আমি মানি না। অথচ আমি এড়াতে পারছি কিনা তা নিয়েই আমার ঘুমের সঙ্গে যুদ্ধ।’

    … এভাবেই সমালোচক মনের আর্তনাদে ফালা ফালা হয়েছে ‘এয়া’র কবি জুননু রাইন। ফলে, বাস্তবের উদ্ভট আধিপত্যের বিপরীতে তিনি দাঁড় করাতে চেয়েছেন প্রতিবাস্তবতা। তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন তাঁর অন্তর্লোক, যার অধিষ্ঠার্তী ‘দেবী’ এয়া; যদিও তিনি জানেন যে, মোসোপটেমীয় পুরাণের এয়া একজন দেবতা- বিশুদ্ধ জল আর জ্ঞানের দেবতা।

    এভাবেই সমালোচক মনের আর্তনাদে ফালা ফালা হয়েছে ‘এয়া’র কবি জুননু রাইন। ফলে, বাস্তবের উদ্ভট আধিপত্যের বিপরীতে তিনি দাঁড় করাতে চেয়েছেন প্রতিবাস্তবতা। তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন তাঁর অন্তর্লোক, যার অধিষ্ঠার্তী ‘দেবী’ এয়া; যদিও তিনি জানেন যে, মোসোপটেমীয় পুরাণের এয়া একজন দেবতা- বিশুদ্ধ জল আর জ্ঞানের দেবতা।

    জলের যে জীবনার্থ, প্রজ্ঞার যে প্রতিশ্রুতি, তা তিনি খুঁজে পেয়েছেন নিবৃত এক নারীর কাছ থেকে। এ সুবাধেই মর্ত্যমানবী এয়ার সঙ্গে পৌরাণিক এয়ার সমানতা। মহাপ্লাবনের পরিপ্রেক্ষিতে দেবতা এয়া বিশাল জলজান-প্রকল্পের মন্ত্রণা দিয়েছিলেন। আর, এ কালের এয়া সাদামাটা একজন তরুণের ঘুম কেড়ে নিয়ে তার ভেতরে একজন কবিকে জাগিয়ে তুলছেন। এয়া গড়ে তুলছেন একজন কবিকে, কবিও রচনা করে চলেছেন তাঁর দেবীকে। কখনো কখনো মনে হতে পারে, দু’জনে মিলে আসলে একজন; একই সত্তার দুই রকম অভিব্যক্তি মাত্র।

    ”তোমার আকাশ খুলে দাও, আমি একবার আমাকে ছুঁই।”

    – এই কবি এয়াকে ছুঁতে পেরেছিলেন কিনা জানি না; তবে পাঠক হিসেবে আমার বিশ্বাস, এয়াকে ছুঁতে গিয়ে জুননু রাইন কবিতার ভাষাকে ছুঁয়ে ফেলেছেন, যা আরও বেশি দরকারি।

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    সর্বাধিক পঠিত

    Stay in touch

    To be updated with all the latest news, offers and special announcements.