Monday, October 27, 2025
spot_img
More

    সর্বশেষ

    এবার আমার কোনো বই আসবে না (পর্ব-৩)

    সারা ছিল উনিশ বছরের উচ্ছ্বল এক তরুণী। এই বয়সেই সে তার যৌন জীবনটাকে একটা গোপন নিয়ন্ত্রণ রেখায় নিয়ে এসেছিল। প্রথম বয়সের বাধ ভাঙা যৌন সম্ভোগগুলো থেকে সে অনেক কিছুই শিখে নিয়েছিল। যেগুলো সৃষ্টি হয়েছিল এক ধরনের মর্ষকামি আনন্দের ভেতর। মূলত সারার যৌনচিন্তার কেন্দ্রে পৌঁছুতে গেলে প্রথমে তার পারিবারিক অবস্থাটাকে স্পষ্ট করে তুলতে হবে। একটা যৌথ পরিবার ছিল সেটা। ওরা বাড়ির পুকুর খনন করতে গিয়ে পেয়ে গিয়েছিল মূলত ওদের ভাগ্যদেবীকে। ওরা পেয়েছিল বড়সড় একটা সোনার ডেক্সী। সেটায় অনায়াসে একটা গরু রান্না করা যায়। আর ডেক্সির ভেতর অজস্র সোনার চিংড়ি মাছ। ওদের হঠাৎ বড়লোক হয়ে উঠার পেছনে এই কারণটা অনেক অনেক দিন পর্যন্ত গোপন থাকবে। পরে আপনি জেনে গিয়েছিলেন। সারা পেয়েছিল তার মায়ের সফল উত্তরাধিকার। সারা পেয়েছিল সেই মোটাসোটা ফর্সা ভদ্রমহিলার আচরণ ও দেহ কাঠামো। সারার বাবারা ছিল পাঁচ ভাই। সারার বাবা সবার বড় বয়সে আর ক্ষমতায়। ওদের পাঁচ ভাইকে বড় হতে হয়েছিল প্রচন্ড দারিদ্র্যের ভেতর। যেন একটা প্রাগৈতিহাসিক পরিবার ছিল সেটা। জীবনের সাথে যুদ্ধ করতে হতো ওদের নিয়ত। জীবনযুদ্ধে সারার বাবা বুঝেছিল পৃথিবীটা শিকারীদের অভয়ারণ্য মাত্র। সারার মাকে যখন তিনি জোর করে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে বিয়ে করেন তখনো ওরা সোনার চিংড়ি ভরা ডেক্সি পায়নি।

    এই ভদ্রমহিলাকে বিয়ে করে প্রথম রাতেই সম্ভবত এই প্রথম পরাজিত হয় হায়দার। উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছে সে মূলত এক অদ্ভুত যৌনশক্তিসম্পন্ন মহিলাকেই বিয়ে করেছে এবং সে ভয় পেয়ে গেছে বিয়ের প্রথম রাতেই। এরপর এক মাসের মধ্যেই হায়দার সোনার অলৌকিক ডেক্সিপ্রাপ্ত হয়। আর সে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে যে, জানতেও পারেনি তাকে আড়াল করে শাহানা তার বাকি চার ভাইকে পর্যায়ক্রমে পরিণত করেছিল তার নিত্য যৌনভৃত্যে। হায়দার ভাইদের ভালোবাসতো, ভয় করতো স্ত্রীকে। শাহানা তার সামনে সেজে থাকত সতীসাধ্বী, যা সে চাইতো। আনন্দিত করতো সর্বপ্রকার সম্ভোগ ইচ্ছা দিয়ে। তবু নানা ধরনের পুংযৌনাঙ্গের প্রতি তার যে একটা তীব্র আকর্ষণ রয়েছে তা গোপনে সংগ্রহ করতেন অন্য চার ভাইয়ের কাছে এবং তা পর্যায়ক্রমে বেড়ে গিয়েছিল আর শাহানা ডিঙ্গেছিল অজস্র সীমানা সবার অজান্তে আর হায়দারের সামনে সে সেজে থাকতো এক ইসলামি স্বর্গীয় সতী। আপনি যা আবিষ্কার করেন সারার আচরণে।

    আপনি প্রেমের মানে কি, খুঁজতে চেয়েছিলেন সারার সাথে প্রেমে, বিশ্বস্ততায়। প্রথম পরিচয়ে সারা জেনেছিল আপনার মানস। আর সে সম্পূর্ণ চেপে গিয়েছিল তার গোপনীয় একান্ত যৌন জীবন। যা সে নিয়ে এসেছিল তার ক্ষমতার আওতায় একটা নিরাপদ নিয়ন্ত্রণ রেখায়। আপনি বিভিন্ন প্রশ্ন করেও তার কাছে ব্যর্থ হয়েছিলেন জানতে তার অন্তলোক সম্পর্কে। মানুষ যদি আপনাকে না জানাতে চায় তাহলে তার সম্পর্কে কিছুই জানতে পারবেন না। সারা ভালোবাসতো অর্থ, ভোগ বিলাস আর লালসাপূর্ণ জীবন। সব মানুষই হয়তো তাই চায়। সারার প্রথম যৌন অভিজ্ঞতা হয় গ্রামের বাড়িতে চাচাদের হাতে। প্রথম দিকে এক চাচার হাতে ও ধর্ষিত হয়। এই মর্ষ আনন্দের ভেতর জেগে উঠে ওর ভোগলিপ্সা। ক্রমান্বয়ে এক দূরসম্পর্কীয় চাচার সাথে গড়ে উঠে তার যৌনসম্পর্ক যা এখনোব্দি নিয়মিত চলছে। ওই চাচা পড়াশুনার জন্য রংপুর চলে গেলে। সারা বেছে নেয় তার সমবয়সী আরেক চাচাকে। এভাবে প্রায় জনা পাঁচেকের সাথে গ্রামে সে গভীর যৌনসম্পর্ক গড়ে তোলে। অনেক ব্যস্ততার মাঝেও হায়দার এটা উপলব্ধি করতে পারে আর তাই সারাকে সে নিয়ে আসে কক্সবাজার। এখানে সারাকে সে মহিলা কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয়। অবারিত যৌন সম্ভোগে অভ্যস্ত সারা অস্থির হয়ে উঠে এই বন্দীত্বে, মহিলা কলেজের আবদ্ধ হোস্টেলে। এই সময়ে সে লেসবিয়ান হয়ে উঠে। মহিলা কলেজে তার রুমমেট মেয়েরা যদিও প্রথম দিকে সাড়া দিত তার ডাকে। কিন্তু অচিরেই ওরা আবিষ্কার করল সারার ভিতরে এক যৌনদানবীকে। সারার তীক্ষ্ন জিহ্বা অচিরেই তাদেরকে আতংকিত করে তোলে। ওরা সকলেই সারার সাথে এক ঘরে থাকতে অপারগতা প্রকাশ করায় শেষ পর্যন্ত সারাকে হায়দার তার এক বন্ধুর বাসায় নিয়ে আসে। যেখানে সারার সমবয়সী এবং তার চাইতে বড় মেয়েরা আছে। কিন্তু অচিরে সারা জড়িয়ে পড়ে হায়দারের বন্ধু রাহমানের সাথে। যদিও ঠিকাদার রাহমান সারার বাবার বয়সী তবু সারা ক্ষান্ত দেয় না। বয়স্ক পুরুষদের প্রতি সারার এক দুর্দমনীয় টান তৈরি হয়। সারা মূলত এই ধরনের তীর্যক সম্পর্কের প্রতি তীব্র আকর্ষণ বোধ করত। রাহমানের বউ এবং মেয়েরা সারাকে ভয় পেল এবং হায়দারকে ডেকে কোন অনুযোগ ছাড়াই সারাকে তার হাতে তুলে দেয় এবং বাসা ছেড়ে চলে যেতে বলে।

    কেননা সারা নতুন সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল রাহমানের লন্ডনগামী ছেলের সাথে সবেমাত্র। এরপর হায়দার শাহানাকেসহ নিয়ে আসে ভাড়া করা বাসায়। সারা স্বস্তি পায় এবং নিজেকে অনেকখানি গোপনীয় করে তোলে। সারার কোনো দুঃখবোধ নাই, পাপবোধ নাই, সে আতংকিত নয়। তার নামে অনেক বদনাম ছড়িয়েছে সে জানে কিন্তু এসবকে সে পাত্তা দেয় না। একটার পর একটা যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলছে ভেঙে দিচ্ছে এতে সে বিন্দুমাত্র ব্যথিত নয়

    সারা ভেঙে পড়েছিল, কেননা সারা নতুন সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল রাহমানের লন্ডনগামী ছেলের সাথে সবেমাত্র। এরপর হায়দার শাহানাকেসহ নিয়ে আসে ভাড়া করা বাসায়। সারা স্বস্তি পায় এবং নিজেকে অনেকখানি গোপনীয় করে তোলে। সারার কোনো দুঃখবোধ নাই, পাপবোধ নাই, সে আতংকিত নয়। তার নামে অনেক বদনাম ছড়িয়েছে সে জানে কিন্তু এসবকে সে পাত্তা দেয় না। একটার পর একটা যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলছে ভেঙে দিচ্ছে এতে সে বিন্দুমাত্র ব্যথিত নয়। তিন তলার এই ফ্ল্যাটে সারা স্বচ্ছন্দে বিচরণ করতে থাকে। এখানেও তার চাচারা আসতে থাকে। সারার যে চাচাটা রংপুর মেডিকেলে লেখাপড়া করে সে আসলেও এই ফ্ল্যাটে থাকত। সে থাকাকালীন সারা একটা অদ্ভূত জিনিস আবিষ্কার করে। এই চাচা আসলেই সারা লক্ষ্য করে তার মায়ের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠে। অচিরেই সারা আবিষ্কার করে তার মায়ের সাথেও এই চাচার যৌনসম্পর্ক। সারা তখন আরো এক তীর্যক অনুভূতি উপলব্ধি করে তার এই চাচার প্রতি। সারা এই সম্পর্ক স্রেফ একটা যান্ত্রিক আনন্দ হিসাবেই গ্রহণ করে।

    পুরুষ পুরুষ আর পুরুষ এই হচ্ছে সারা। যে কোনো পুরুষেই সই কেবল তার একটা যৌনাঙ্গ থাকতে হবে এই হচ্ছে সারা। সারা কাউকেই ছেড়ে দেয়নি আত্মীয়দের ভেতর তার দুলাভাইয়েরা, তার চাচারা, তার বাবার বন্ধুরা, তার চাচাত ভাইয়েরা, তার মামারা। সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে সারা। হায়দার সারা আর তার মাকে সম্পূর্ণ ভুলে থাকে। সে বুঝে গেছে সে এদের দু’জনকে বাধা দিয়ে রুখতে পারবে না। কেননা হায়দারের কাছে আসলে সারা ও তার মা স্বর্গীয় সতীতে রূপান্তরিত হয়। সারা নিজেকে গোপনীয় রাখে প্রচুর মিথ্যের ভেতরে। এই কথাগুলো একটু আধটু ছড়াচ্ছিল দেখে সারা নিজেকে টেনে আনে নিরাপদে। আর সে ব্যবহার করে বাসার কাজের ছেলেদের। সারাদিন কাজ করিয়ে কাজের ছেলেদের সারা ও তার মা তুলে নিতেন বিছানায়। সারা যখন খুব বেশি যৌনতাড়িত হত তখন গ্রামে চলে যেত। এভাবেই চলছিল সব।

    কিন্তু সারার সাথে যখন আপনার পরিচয় হয়। দেখেছিলেন সাক্ষাৎ প্রেমদেবীকে, সমস্ত ছলাকলায় যে ছিল নিপুণা। আর তার নৈতিকতার বহর। সে প্রথম দর্শনে আপনাকে কি বলেছিল মনে আছে! সে অনৈতিকতা আর বহুগামীতা দু’চোখে দেখতে পারে না। প্রথম সাক্ষাতেই একটা রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়েছিলেন দুজনে। আর ধীরে ধীরে ভালোবাসেন সারাকে, তলিয়ে যেতে থাকেন প্রেমে তার হাতও স্পর্শ করতে পারেন না। কারণ সে তার সতীত্ব বিষয়ে ছিল সচেতন। ভয় পেতে থাকেন নিজের মনোভাবকে। ভাবছেন সারাকে প্রেম দিয়ে জয় করার যে চিন্তা করেছেন তাতে আরেকটা বিষয় যোগ করেছেন তা হচ্ছে নৈতিকতা। সারার হাত ধরতে চাইলে সে আপনাকে ধর্মের বাণী শোনায়। সারা মত্ত থাকে রূপচর্চায়। বিউটি পার্লারে। পাগল হয়ে যান সারার রূপে। সারার রুচিতে, সারার নৈতিকতায়। ভাবতে থাকেন সারা যেন এখানকার কোন মেয়ে নয়। সে যেন মধ্যযুগীয় কোনো আরব বিদুষী। গন্ডা গন্ডা য়ুরোপিয়ান নভেল পড়ে হারানো নৈতিকতার জন্য আপনার দুঃখ হতে থাকে। আপনি শ্রদ্ধা করেন প্রচন্ডভাবে আপনার নৈতিকতার দেবীকে এবং আপনার মনে হয় এই সে যাকে আমি ভরিয়ে তুলব আমার সকল বিশ্বস্ততা আর প্রেমে।

    চলবে…

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    সর্বাধিক পঠিত

    Stay in touch

    To be updated with all the latest news, offers and special announcements.