অনুবাদ

পাবলো নেরুদা’র কবিতা

৫০তম মৃত্যুবর্ষিকীতে পাবলো নেরুদাকে স্মরণ নেরুদার মিউজ মাতিলদে উরুটিয়া উঠে আসেন তার কবিতায়: সারারাত আমি তোমার সঙ্গে ঘুমাব এই দ্বীপে সমুদ্রের কাছে আনন্দ ও ঘুমের মাঝখানে তুমি বুনো ও মিষ্টি আগুন ও পানির মাঝখানে। ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩ জেনারেল অগাস্তো পিনোশে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সালভাদর আয়েন্দের সরকারকে উৎখাত করলেন। প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে আগুন জ্বলল,….

ত্বহা হুসাইনের দিনগুলি

বারো কিন্তু আলফিয়া!.. আলফিয়া সম্পর্কে কী জানো তুমি? মনে কর আমাদের শিক্ষক এই কিতাবের একটি শব্দও মুখস্থ করেননি। এও মনে কর, আরিফ এই পুস্তকের প্রথম স্তবকটিও ভালোভাবে পড়তে পারবে না। আলফিয়া হচ্ছে কাব্য। আর কোরানে তো কাব্য নেই।   যদিও মাস অতিক্রান্ত হয়। আযহার থেকে ভাইও ফিরে আসে। কিন্ত তার অবস্থা যেমন ছিল তেমনই রয়।….

ত্বহা হুসাইনের দিনগুলি

.এগারো. কিন্তু তার এই খুশি ও আনন্দোচ্ছ্বাস শীঘ্রই তিক্ত মোহভঙ্গের সাথে শেষ হয়। আর তা এ কারণে যে, আমাদের শিক্ষক ধৈর্য ধরে এই বিচ্ছেদ, বিভাজন সহ্য করতে পারেননি অথবা কোনোভাবেই তার ওপর শায়খ আব্দুল-গাওয়াদের এ প্রতিশোধ মেনে নিতে সক্ষম হননি। ফলে ইনিয়ে বিনিয়ে যে করেই হোক পুনরায় তিনি শায়খের আনুকুল্য অর্জন করেন। এবং এর পরদিন….

ত্বহা হুসাইনের দিনগুলি

                                                                          আট. জবাবে আমাদের শিক্ষক বলেন, ‘তাহলে তোমার হাত দাও।’ বলেই তিনি তার হাত ধরেন। তখন আমাদের বন্ধুটি অদ্ভুৎ কিছু তার হাতে অনুভব করে এবং সে ভীত হয়। যেন ইতিপূর্বে কখনও তার এমন অনুভব হয়নি। এমনকিছু যা তার হাতের তালুতে অস্থির দুলছিল এবং তার আঙ্গুলগুলো যার মাঝে দেবে গিয়েছিল   পরদিন আমাদের শিক্ষক আনন্দিত ও….

ত্বহা হুসাইনের দিনগুলি

পাঁচ সে জানে না কীভাবে কোরআন মুখস্ত করেছিল। কীভাবেই বা তা শুরু করে আর কীভাবেই বা তার পুনরাবৃত্তি করেছিল। যদিও গ্রামের মকতবে তার এমন অসংখ্য ঘটনার কথা মনে পড়ে; যার কিছু তাকে এখনও হাসায়, কিছু ব্যথিত করে। তবে মকতবে যাওয়ার স্মৃতিটা মোটামুটি মনে করতে পারে ঠিকই। যেমন তার কোনো এক ভাইয়ের কাঁধে চড়ে মকতবে যেত….

ত্বহা হুসাইন এর দিনগুলি

তিন সে ছিল তার পিতার তের সন্তানের সপ্তম জন। অন্যভাবে বললে, পিতার দ্বিতীয় স্ত্রীর এগারো সন্তানের পঞ্চম জন। তার মনে হত, এই বিপুল সংখ্যক যুবা ও শিশুদের মাঝে, অন্যান্য ভাইবোনদের থেকে নিজের বিশেষ একটি স্থান আছে তার। এই অবস্থান ও স্বাতন্ত্র্যবোধ কি তাকে আনন্দ দিত না বিরক্ত করত? এ ব্যাপারে সত্য হলো: এ সম্বন্ধে না….

মহোত্তম কবিতা সম্পর্কে সিদ্ধান্তে আসার প্রতিযোগিতা

যখন ছোট্ট শিশু ছিলাম, মনে হয়, পাঁচ কি ছয় বছরের, আমার ভাবনার ভিতর একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলাম, বিশ্বের মহোত্তম কবিতা সম্পর্কে সিদ্ধান্তে আসার প্রতিযোগিতা। চূড়ান্তে নির্বাচিত হয়েছিলো দু’টি: ব্লেইকের ‘‘দ্য লিটল ব্ল্যাক বয়’’ এবং স্টিফেন ফস্টারের ‘’সোয়ানি রিভার’’। গুটিগুটি পদক্ষেপে এগিয়ে গিয়েছিলাম আর দ্বিতীয় শোবার ঘর পেয়েছিলাম লং আইল্যান্ডের সাউথ শোরের ছোট্ট এক গ্রাম সিডারহার্স্টে,….

প্ল্যাঙ্ক এর সুত্র এবং আলো-কোয়ান্টাম প্রস্তাবনা

সত্যেন্দ্রনাথ বসু ও আইনস্টাইনের চিঠির আদান প্রদান ও ফলশ্রুতিতে বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান নামে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের একটি নতুন ধারণার সূচনা কাহিনি এখন বাংলাভাষীদের কাছে কিংবদন্তীতে পরিণত হয়েছে। সত্যেন বসু সে সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। বাংলা ইউকিপিডিয়া ও অন্যান্য কিছু অনলাইন প্লাটফর্মের সুবাদে জানা যাচ্ছে যে তিনি গবেষণা প্রবন্ধটি প্রথমে একটি বিখ্যাত জার্নালে প্রকাশের জন্য পাঠিয়েছিলেন। সেখান….

যাত্রা শুভ হোক, মাননীয় রাষ্ট্রপতি

কারিবীয় অঞ্চলের এক নির্বাসিত রাষ্ট্রপতির চিকিৎসার্থে ছদ্দবেশে জেনেভায় আগমন এবং সেখানে তাঁর দারিদ্র্য জর্জরিত জীবনে স্বদেশী অভিবাসী অ্যাম্বুলেন্স চালকের সাথে পরিচয় এক জটিল সম্পর্কে রূপ নেয়…। মার্কেসের জাদুবাস্তবতার বাইরে ভিন্নধর্মী গল্পটি মনে করিয়ে দেয়, লেখালেখির বাইরে দীর্ঘ সময় তাঁর সাংবাদিকতায় কেটেছে, লিখেছেন রাজনৈতিক অনুসন্ধানমূলক বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন প্রতিবেদন। পাঠকদের জন্য ‘যাত্রা শুভ হোক, মাননীয় রাষ্ট্রপতি’….

হারানো দিনের সমুদ্র

মার্কেস এই বঙ্গদেশে কখনো এসেছিলেন কিনা জানা নেই, তবে কারিবীয় সাগর পাড়ে বসে তিনি বঙ্গোপসাগরের কথা ভেবেছেন। ‘হারানো দিনের সমুদ্র’ উপাখ্যানে কারিবীয় সাগরের পরিবেশ বিপর্যয়কালে আলো ঝলমল বঙ্গোপসাগরের রোদেলা দুপুরের কথা স্মরণ করেছেন তিনি। গল্পের শেষে খানিকটা যাদু বাস্তবতারও দেখা মেলে। জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে, সাগরটা কেমন ফুঁসে উঠল। সাগরের ঢেউ শহরে ভারী আবর্জনা বয়ে….

error: Content is protected !!