অনুবাদ

নিজেকে বাদ দিয়ে অন্য কেউ হয়ে ওঠার সুযোগ খুব বেশি পাওয়া যায় না: হারুকি মুরাকামি

তখনো শহরের ষড়যন্ত্রে পা দেয়নি গ্রাম, মানুষের মনের দখল মানবতার কাছেই ছিল। সেই বিংশ শতাব্দীর প্রতিনিধি হারুকি মুরাকামি আধুনিক জাপানি সাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় লেখক। তার রচনাগুলো শুধু জাপান নয়, বরং সারা বিশ্বের পাঠকদের মন জয় করেছে। তার লেখার অনন্য শৈলী, গভীর চরিত্র বিশ্লেষণ এবং বাস্তবতার সঙ্গে অলৌকিকতার মিশ্রণে গড়ে ওঠা গল্পগুলো তাকে বিশ্ব….

ক্যালিডোনিয়া বুকস নামে একটি দোকানে আমার সমস্ত টাকা খরচ করতাম: স্টুয়ার্ট মারডক

স্টুয়ার্ট মারডকের লেখাগুলো পড়তে পড়তে মনে হয় ঠিক যেন পাশে বসে কেউ কথাগুলো বলছেন। বিদ্যায়তনিক গাম্ভীর্য সরিয়ে রেখে পাঠকের সঙ্গে এই লেখক যেন একেবারে ব্যক্তিগত আলাপন রচনা করেছেন। স্মৃতি, অভিজ্ঞতা, পর্যবেক্ষণ, উপলব্ধি, মন্তব্য সব মিলিয়ে লেখা মারডকের বইগুলো বহু সংখ্যক পাঠকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে তাকে। তাঁর শৈলীর জাদুতেই তিনি কথার স্থাপত্যের ভার কমিয়ে দিয়েছেন। অসম্ভবের….

আমার লেখালেখি এবং আমার প্রশ্নগুলো একে অপরের সাথে জড়িত: হান ক্যাং

স্বার্থপরতার গল্পে মোড়ানো জীবনের পাতায় পাতায় অসুখ। তবু জীবনের কাছে বাড়তে থাকা দায় শোধে মনোযোগী যারা, হান ক্যাং তাদেরই দলে। দক্ষিণ কোরিয়ান এই ঔপন্যাসিক, শিশু সাহিত্যিক, কবি জিতে নিয়েছেন ২০২৪ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার। মানব জীবনের দুঃখ-কষ্ট কাব্যিকভাবে রূপায়ন করার স্বীকৃতি হিসেবে হান ক্যাংকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম সাহিত্যিক হিসেবে হান ক্যাং….

মাহমুদ দারবিশের ডায়েরি ‘নদী মরে যায় পিপাসায়’— (পর্ব: ৪)

উপমার চতুরতা উপমার মাধ্যমে আমি বলি: ‘আমি জিতেছি’ উপমার মাধ্যমে আমি বলি: ‘আমি হেরেছি’ আমার সামনে বিস্তৃত দুর্গম উপত্যকা আমি শুয়ে আছি চির সবুজ ওকের পড়ে থাকা অংশে সেখানে দুটি জলপাই গাছ তিন দিক থেকে আমাকে ঘিরে আছে দুটি পাখি আমাকে বহন করে নিয়ে যায় শিখর আর অতল গহ্বরের শূন্যতার পাশে। যেকারণে আমি বলি না:….

মাহমুদ দারবিশের ডায়েরি ‘নদী মরে যায় পিপাসায়’— (পর্ব: ৩)

শত্রু এক মাস আগে আমি সেখানে ছিলাম। এক বছর আগেও আমি সেখানে ছিলাম। সবসময় আমি সেখানে ছিলাম যেন আমি অন্য কোথাও ছিলাম না। এখন যা ঘটছে তা ১৯৮২ সালেও আমাদের সাথে ঘটেছিল। যে নরকের মুখোমুখি হয়েছিলাম তার বিরুদ্ধে আমরা অবরুদ্ধ হয়ে খুন হয়েছিলাম আর যুদ্ধ করেছিলাম। হতাহতরা বা শহীদরা একজন আরেকজনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নয়। তাদের….

চোখ মানুষের জীবনের গল্প ধারণ করে: বেরিশা আলিসদোত্তি

দক্ষ ছায়াপুতুল নাচিয়ের জন্য অন্ধকারই প্রধান প্রেক্ষাপট। আলো সেখানে এক ‘ভাইটাল নেগেটিভ’। আলবেনিয়ান নারীবাদী চিত্রশিল্পী ফিতোরে বেরিশা আলিসদোত্তি তেমনি। নিজে নারী স্বাধীনতা ভোগ করলেও নির্যাতনের অন্ধকারে বন্দি নারীই তার শিল্পের বিষয়বস্তু। যদিও নিঃসঙ্গতার ‘মুদ্রাদোষ’ তার ছিল; তবুও সমাজের চোখরাঙানিকে অগ্রাহ্য করে নির্মাণ করে যাচ্ছেন অন্য এক সাঁকো। যেন প্রতিবাদের ‘এন্টিবডি’ ছড়িয়ে দিচ্ছেন সমাজের শিরায়। আর….

মুখোমুখি: আন্দ্রেজ আল-আসাদি

১৯৯৭ সালে লন্ডনে জন্মগ্রহণ করা আন্দ্রেজ আল-আসাদি বর্তমান সময়ে মেসিডোনিয়ান ভাষায় লেখালেখি করা প্রধানতম তরুণ কবিদের অন্যতম। তার বহুসাংস্কৃতিক পটভূমি এবং তার ও অন্যান্য সমসাময়িক মেসিডোনিয়ান কবিদের কাজকে অনুপ্রাণিত করার প্রভাব নিয়ে কথা বলেছেন ব্রিটিশ-আমেরিকান সাহিত্যিক অনুবাদক পিটার কনস্টানটাইনের সাথে। ওয়ার্ল্ড লিটারেচার টুডে কর্তৃক প্রকাশিত সেই সাক্ষাৎকারটি অনুবাদ করেছেন মেজবাহ উদ্দিন আপনার জন্ম লন্ডনে, আপনার….

মাহমুদ দারবিশের ডায়েরি ‘নদী মরে যায় পিপাসায়’— (পর্ব: ২)

মেয়েটি আর তার চিৎকার সমুদ্রতীরের মেয়েটি, যার একটি পরিবার আছে আর সেই পরিবারটির একটি বাড়িও আছে। বাড়িটির মধ্যে দুটি জানালা আর একটি দরজা আছে। সমুদ্রে একটি যুদ্ধজাহাজ মজার ছলে তীরে হাটাহাটি করতে থাকা লোকদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে: চার, পাঁচ, সাত জন বালির উপর পড়ে যায়। একটি অস্পষ্ট ঐশ্বরিক হাতের সাহায্যে মেয়েটি কিছুক্ষণের জন্য কোন প্রকারে….

আমি অ্যালিস মুনরোর মতো লিখি না, তবে আমি তার মতো বাঁচতে চাই: শীলা হেতি

ক্যানাডিয়ান লেখক এলিস মুনরো ছোটগল্পের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। তার লেখার স্বতন্ত্র শৈলী এবং গভীর মানবিক অর্ন্তদৃষ্টি তাকে সমসাময়িক সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি ২০১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন, যা তার অসাধারণ লেখনীশক্তির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। কানাডার অন্টারিও প্রদেশের উইংহাম শহরে জন্ম নেওয়া মুনরোর তরুণ বয়স থেকেই ছোটগল্প লেখা শুরু করেন। তাঁর….

মাহমুদ দারবিশের ডায়েরি ‘নদী মরে যায় পিপাসায়’— (পর্ব: ১)

একটি রাইফেল আর একটি কাফন ‘কেউ কখনই আমাকে পরাজিত করতে পারবে না, বা আমার কাছে পরাজিত হবে না,’ কিছু গুরুত্বহীন কাজের জন্য অভিযুক্ত এক মুখোশধারী নিরাপত্তাকর্মী বললো। সে ফাঁকা গুলি চালিয়ে বললো: ‘শুধু বুলেটই জানবে কে আমার শত্রু।’ বাতাস সাড়া দিল একটি অনুরূপ বুলেট সহ। বেকার পথচারীরা তাদের কাজের বাইরে একজন মুখোশধারী নিরাপত্তাকর্মীর মনে কী….

error: Content is protected !!