Author Picture

মাসউদুল হক

কথাসাহিত্যিক। সরকারি কর্মমর্ত।
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: বৃক্ষচারী, তৃতীয় নারী, পুবের পূর্বপুরুষেরা, লস্ট কমরেড, দীর্ঘশ্বাসেরা হাওরের জলে ভাসে।

 

দ্যা মাস্ক অব আফ্রিকাঃ আফ্রিকান বিশ্বাসের খন্ডাংশ

প্রথম পর্বঃ কাসুভি’র সৌধ (৯) যাদুবিদ্যা উগান্ডার সমাজে এখনও এমন ভাবে টিকে আছে যে পত্রিকা খুললে প্রতি সপ্তাহে এ সংক্রান্ত দুই-তিনটি খবর নজরে পড়বেই। এইসব খবর আবার কোন সুনির্দিষ্ট অঞ্চলের নয়। সারা উগান্ডা জুড়েই এই ধরনের খবরের সন্ধান মেলে। তেমনি এক গ্রামের কথা পত্রিকা মারফত জানতে পারি, যেখানকার মানুষ অফ্রিকার ভয়ংকর অসুখগুলোর একটি বলে বিবেচিত….

দ্যা মাস্ক অব আফ্রিকাঃ আফ্রিকান বিশ্বাসের খন্ডাংশ

প্রথম পর্বঃ কাসুভি’র সৌধ (৮) যারা আফ্রিকান চিরায়ত ধর্মে বিশ্বাসী তারা এখন পিছিয়ে পড়েছে। পুরনো প্রথার প্রতি অন্ধ বিশ্বাস আর স্থানিক পবিত্রতার ধারনা ছাড়া সেই বিশ্বাস ধরে রাখার মত আর কোন উপাদান তাদের নেই। খ্রিষ্টীয় চতুর্থ এবং পঞ্চম শতকে খ্রিষ্টান ধর্মের সাথে পৌত্তলিকতার যে দ্বন্দ্ব তার সাথেই কেবল এই পরিস্থিতি তুলনীয়। তবে চিরায়ত ধর্মের পশ্চাদপদতার….

দ্যা মাস্ক অব আফ্রিকাঃ আফ্রিকান বিশ্বাসের খন্ডাংশ

প্রথম পর্বঃ কাসুভি’র সৌধ (৭)   ১৮৪০ সালের দিকে আফ্রিকা মহাদেশের পূর্ব দিক থেকে আরব বণিকরা উগান্ডায় আসতে শুরু করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সোনা আর দাস সংগ্রহ। বিনিময়ে তারা দিয়েছিল নিন্ম মানের আগ্নেয়াস্ত্র আর নানারকম উপহার সামগ্রী। তারা তৎকালীন ভয়ংকর শাসক কাবাকা সুন্নাহ’র মন জয় করে নিয়েছিল আয়না উপহার দিয়ে। কাবাকা সুন্নাহ প্রথমবারের মত নিজের….

দ্যা মাস্ক অব আফ্রিকাঃ আফ্রিকান বিশ্বাসের খন্ডাংশ

প্রথম পর্বঃ কাসুভি’র সৌধ (৬) রোমান ঐতিহাসিক টেসিটাস (ইতিহাসে একাধিক টেসিটাস নামের ইতিহাসবিদ পাওয়া যায়। তবে রোমান একজনই) এর মতে, প্রাচীন জার্মানিক লোকেরা বিশ্বাস করতো শ্রষ্টাকে কোন মন্দিরে কিংবা চার-দেয়ালের মধ্যে আটকে রাখা এক ধরনের অবমাননার সামিল। বরং মানুষের উচিত নদী, বন কিংবা মাটিতে যে স্থানগুলো শ্রষ্টারই প্রতিরূপ হয়ে উঠে তেমন উন্মুক্ত স্থানে তার উপাসনা….

দ্যা মাস্ক অব আফ্রিকাঃ আফ্রিকান বিশ্বাসের খন্ডাংশ

প্রথম পর্বঃ কাসুভি’র সৌধ (৫) ১৮৭৫ সালে অভিযাত্রী স্ট্যানলি যখন আফ্রিকা মহাদেশকে পূর্ব থেকে পশ্চিমে অতিক্রম করছিলেন তখন আটত্রিশ বছর বয়সী মিউতসাকে যুদ্ধে লিপ্ত থাকতে দেখেন। তার প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েভুমা গোত্রের মানুষ। উভয়পক্ষ ভিক্টোরিয়া হ্রদের উত্তর উপকূলে মুখোমুখি হয়েছিল। মিউতসার সেনাবাহিনী ছিল বিশাল। স্ট্যানলির উপস্থিত হিসাব মতে (এবং অতিরঞ্জিতও বটে) সম্মুখ সমরে লিপ্ত ছিল প্রায়….

দ্যা মাস্ক অব আফ্রিকাঃ আফ্রিকান বিশ্বাসের খন্ডাংশ

প্রথম পর্বঃ কাসুভি’র সৌধ (৪)   কাবাকার অভিষেকের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নজরে পড়েছিল অভিযাত্রী স্পেকের। মিউতসার জন্মের সময় যে নারী তাঁর নাড়ি কেটেছিল রাজ্যসভায় তিনি অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হতেন। অনেকটা দৈবজ্ঞর মতো ছিল তার সম্মান। রাজ্যাভিষেকের সময় ঐ নাড়ি-কাটা নারীকে একটা বিশেষ দায়িত্ব পালন করতে হয়। তিনি অভিষেকের প্রাক্কালে প্রথা অনুযায়ী মিউতসার পিতা….

দ্যা মাস্ক অব আফ্রিকাঃ আফ্রিকান বিশ্বাসের খন্ডাংশ

প্রথম পর্বঃ কাসুভি’র সৌধ (৩)   নীল নদের উৎস অনুসন্ধানে ব্যস্ত অভিযাত্রী স্পেক ১৮৬১ সালে উগান্ডায় উপস্থিত হয়েছিলেন। আনুষ্ঠানিকভাবে অভিষিক্ত না-হলেও মিউতসা তখন সেই রাজ্যের কাবাকা বা রাজার পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে যাচ্ছেন। অভিষেকের পূর্বেই তিনি পিতার নিষ্ঠুরতাকে অনুসরন করতে শুরু করেন। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর মতে তিনি এতটাই নিষ্ঠুর ছিলেন যে, তার কাছে পাখি মারা আর….

দ্যা মাস্ক অব আফ্রিকাঃ আফ্রিকান বিশ্বাসের খন্ডাংশ

প্রথম পর্বঃ কাসুভি’র সৌধ (২) দ্বিতীয় ভ্রমনের সময় আমি যে বাংলোতে একসময় অবস্থান করতাম তা দেখার ইচ্ছে জাগে। বিয়াল্লিশ বছর আগে আমি ঐ বাংলো প্রাঙ্গণে একটি টিউলিপ গাছ রোপন করেছিলাম। গাছটি রোপনের সময় কেন যেন আমার মনে হয়েছিল, কোন একদিন যে কোন কারণেই হোক আমি  আবার কাম্পালায় ফিরে আসবো এবং সেই সময় গাছটির বেড়ে ওঠা….

দ্যা মাস্ক অব আফ্রিকাঃ আফ্রিকান বিশ্বাসের খন্ডাংশ

ভি এস নাইপল ১৯৩২ সালে ত্রিনিদাদে জন্ম নেয়া ভি এস নাইপল সাহিত্যে তার অবদানের জন্য নোবেল পুরষ্কার পান ২০০১ সালে। ফিকশন এবং নন-ফিকশন দুই বিষয়ে লেখকের সমান আগ্রহ। চৌদ্দাটি ফিকশনের পাশাপাশি তার নন-ফিকশন বইয়ের সংখ্যা পনেরটি। ভিএস নাইপল বিয়াল্লিশ বছরের ব্যবধানে দু’বার আফ্রিকা মহাদেশ ভ্রমণ করেন। তার দুটি ভ্রমনের মধ্যে তিনি যেমন আফ্রিকার সমাজ ব্যবস্থার….

অক্ষরের ভেতরে একটা মাদকতা আছে -শাহাদুজ্জামান

শাহাদুজ্জামান পশ্চিমের মেঘে সোনার সিংহ দেখতে পান, তিনিই কেশের আড়ে পাহাড় আবিষ্কার করেন। কয়েকটি বিহ্বল গল্পে ঘোরগ্রস্ত- করে রাখেন বাংলা ছোট গল্পের পাঠকদের। অন্য এক গল্পকারের গল্প নিয়েও লেখেন তিনি, অনুভব করেন বিসর্গতে দুঃখ, প্রতিটি বর্ণমালাই জীবনের সাথে হয়ে ওঠে প্রাসঙ্গিক, ব্যঞ্জনাময়। কখনো ক্রাচে ভর করা এক কর্নেলের জীবনকে পাঠ করেন নিবিড় আগ্রহে। আবার বাংলা….

error: Content is protected !!