
দেবীর মুখ
শরত কাশফুল দুলে বাতাসে শেষ প্রহর
সূর্যাস্তে নিবিড় সহমরণ সুখের
বুকের নদী স্বচ্ছ গভীর জলধারা হাতছানি
কাগজের নৌকা নির্মাণে জীবন পারাপার
পরিশীলিত কালের কলস
যৌথ যাপন দেবীর মুখ আনন্দে আত্মহারা
শঙ্খধ্বনি বেজে ওঠে দিনশেষে মেঘের পালক
ঝরে পড়ে রাত্রি আঁধার করুণ লোহার গারদে
আকাশে মৃত চাঁদ
কামনার বিশুদ্ধ আঁধারে খুনসুটি
বালিশে মাথা গুঁজে ঠাই;
রাতগুলো ফুরোয় না সহজে
আসন পাতে শয্যাসঙ্গিনী
জোড় আলিঙ্গনে শক্ত মুঠোয়;
রাত হয় পরস্পর ভোর
বিকিরণে চাঁদ সবিনয় নিবেদন।
নির্জনে রাতের অন্তরালে ঝুলে
অসীমের আকাশে মৃত চাঁদ।
তোমার কাছে ফিরছি
তোমার কাছে লিখছি মানে
ফিরছি তোমার কাছে আবার
পরাজিতের দায় নিয়ে নির্বিকার
একান্তে নিজের গন্তব্যের দিকে।
একলা বছরের-পর-বছর
অজস্র ঘুমের প্রহর সেলাই করে;
গোপনে তোমার কাছে ফিরছি আবার
দাঁড়িয়ে আছে সময় একাকী অন্ধকার।
একলা মেঘলা শ্রাবণ
বাঁশির ভাঙনের সুর গভীর
বুকে ঢেউ তোলে অতল;
অনুরূপ বিরহে রাধার
চোখ নির্বিকার যমুনার জল।
ডুবে আছি আকণ্ঠে প্রেম আস্বাদন
ছায়া সুদূরের সাথে;
বসে একলা মেঘলা শ্রাবণ
আকাশ বিরহ জগৎ জুড়ে…
জাগে ঢেউ বিষাদের
রক্তে জাগে ঢেউ বিষাদের
জোয়ার পূর্ণিমা প্রেম পরাগায়ন
বিরহ বিস্তীর্ণ বিরান;
চোখ যায় যতদূর
ছড়ানো ছিটানো শস্যদানা
লাঙল পড়ে আছে পতিত জমি
কাঁধে জোয়াল কৃষকের;
রক্তে জাগে ঢেউ বিষাদের।