
ব্যস্ত জীবন থেকে চোখ তুলে ক্রিকেটের জানালায় উকি দিলেই দেখা মিলবে সত্তর ও আশির দশকের দাপুটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের কঙ্কালতন্ত্রের শেষ যাত্রা। এই যাত্রা যেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের জন্য “পয়েন্ট অফ নো রিটার্ন” না হয় সেটা আমরা সবাই মনেপ্রাণে চাই। আমাদের সেই চাওয়ার মূল্য দিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কতো সময় লাগবে সেটা আগামীর আলোচনা। আজকে জানবো এই পরিণতি কেন হলো―
যার খেলা দেখে ক্রিকেটকে ভালোবাসতে শিখেছি, ক্রিকেটের সেই বরপুত্র ব্রায়ান চার্লস লারা স্কটল্যান্ড এর কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচটা হেরে যাওয়ার পর নিশ্চিতভাবেই ঢুকরে কেঁদেছেন। আজীবন বিনোদন দেয়ার জন্য যারা ক্রিকেট মাঠে নামতেন সেই ক্লাইভ লয়েড, ভিভ রিচার্ডস, মাইকেল হোল্ডিং, জোয়েল গার্নার, গর্ডন গ্রিনিজ, কার্টলি অ্যামব্রোস, কোর্টনি ওয়ালশরা হাপছেড়ে বেঁচেছেন যাক, আর নিচে নামবে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট। কারণ, ইয়ান বিশপ তো বলেই দিয়েছেন যে এর চেয়ে নিচে নামা আর সম্ভব নয়।
দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া দলটার জন্য উপায় ছিল একটাই, সুপার সিক্স-এ জিততে হবে সব ম্যাচ; সেই সাথে নজর রাখতে হবে অন্য দলগুলোর উপর। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের এত সময় কই? তাই তারা খুব বেশি ঝামেলায় না গিয়ে স্কটল্যান্ডের কাছে হেরেই বসলো। এর ফলে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো থাকবে না ক্লাইভ লয়েড, অ্যান্ডি রবার্টস, মাইকেল হোল্ডিং, ব্রায়ান লারাদের কোন প্রতিনিধি।
ক্যারিবিয়ান সাগরের পাড় ধরে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া কতগুলি ছোট ছোট দ্বীপ। একটা সময় যার সিংহভাগ বাসিন্দাদের দিন গুজরান হত মূলত চিনি কলে বা অন্য কারখানায় শ্রমিকের কাজ করে। অর্থনীতি পুরোপুরি আমেরিকা নির্ভর। পিছিয়ে পড়া, বঞ্চিত, অবদমিত কতগুলি দ্বীপ। একসময় যাঁদের প্রতিবাদের ভাষাই ছিল ক্রিকেট। সাদা চামড়ার দমন, পীড়নের জবাব খেলার মাঠেই দেওয়া শিখিয়েছিলেন স্যর ভিভ রিচার্ডস, কোর্টনি ওয়ালস, জোয়েল গার্নাররা।
সত্তর ও আশির দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল ছিল দারুণ শক্তিশালী। দুনিয়ার সেরা সব ক্রিকেটারের সমাবেশ ছিল দলটিতে। ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ সালে প্রথম দুটি বিশ্বকাপ তারা জিতেছে হেসেখেলেই। আশির দশকেও বিশ্ব ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রভাবটা ছিল। ক্যারিবীয় দল শক্তিশালী ছিল নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকেও। কিন্তু এর পর থেকেই পতনটা শুরু হয়।
ওয়ানডে সুপার লিগে প্রথম সাত দলের মধ্যে থাকতে না পারা ক্যারিবীয় দল বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সুপার সিক্স থেকে বিদায় নিচ্ছে। জিম্বাবুয়ে আর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারের পর সুপার সিক্সে তারা স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেও হেরেছে। আর তাতেই নিশ্চিত হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিদায়।
ক্রিকেটপিয়াসীদের জন্য ব্যাপারটা কিছুটা কষ্টেরই। এমন অবস্থায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অধঃপতনের কারণ খুঁজতে বসেছেন অনেকেই। বিশপ পুরো ব্যাপারটির তুলনা করছেন বড় কর্পোরেট গ্রুপের পতনের সঙ্গে। ব্যবসা–বাণিজ্যের ইতিহাসে এমন অনেক ঘটনাই আছে যে নামী একটা ব্র্যান্ড বা ব্যবসা সময়ের সঙ্গে নিজেদের না বদলাতে পেরে অথবা কার্যকর কৌশল গ্রহণ করতে না পেরে ধীরে ধীরে হারিয়ে গেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবস্থাও এমনই। ইএসপিএন–ক্রিকইনফোকে তিনি বলেছেন, সব দোষ এখনকার খেলোয়াড়দের দেওয়াটা অন্যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের পতনটা শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই, ‘এই পতনটা একদিনে হয়নি, অনেক দিন ধরেই ক্যারিবীয় ক্রিকেট ধুঁকছে। আমরা গত এক যুগ ধরেই বিশ্বের শীর্ষ ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর সঙ্গে ভালো ওয়ানডে ক্রিকেট খেলছি না। দুবার টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও টি–টোয়েন্টি দলের অবস্থা ভালো নয়। সবাইকে সঙ্গে নিয়েই আমাদের এই অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে।’
পিছিয়ে পড়া, বঞ্চিত, অবদমিত কতগুলি দ্বীপ। একসময় যাঁদের প্রতিবাদের ভাষাই ছিল ক্রিকেট। সাদা চামড়ার দমন, পীড়নের জবাব খেলার মাঠেই দেওয়া শিখিয়েছিলেন স্যর ভিভ রিচার্ডস, কোর্টনি ওয়ালস, জোয়েল গার্নাররা
বর্তমান সময়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট ক্রিকেটারদের আর্থিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। যদিও সত্তর–আশির দশকের আর্থিক পরিস্থিতি থেকে ক্রিকেট বেরিয়ে এসেছিল অনেক আগেই। কিন্তু সেই অর্থের পরিমাণ অন্য খেলার তুলনায় পিছিয়ে ছিলই। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট ক্রিকেটারদের রোজগার বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকটাই। আইপিএল এখন বিশ্বের সবচেয়ে অর্থকরি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট চালু হয়েছে ক্রিকেট খেলুড়ে প্রায় প্রতিটি দেশই। সারা বছরজুড়েই চলে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের আসর। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ যেহেতু ক্রিকেটারদের আর্থিক দিক দিয়ে লাভবান করে, এটি যেহেতু দ্রুত ও একসঙ্গে অনেক টাকা আয় করার জায়গা, তাই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটকে এখন অনেক ক্রিকেটারই প্রাধান্য দিচ্ছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টানা দুটি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট নিয়ে ক্রিকেটারদের আগ্রহে কোনো সমস্যা দেখেন না। তিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে এনবিএ (ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন) কিংবা এনএফএলে (ন্যাশনাল ফুটবল লীগ) প্রতি মাসে খেলোয়াড়েরা যদি মিলিয়ন ডলার কামাতে পারেন, তাহলে ক্রিকেটাররা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলে টাকা কামালে দোষ কোথায়। তবে লয়েড দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলাকে প্রাধান্য দিতে চান। তিনি চান, ক্রিকেটাররা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেললেও তাঁরা যেন দেশের হয়ে খেলাকেই প্রাধান্য দেন।
তবুও , ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের জন্যই ওয়েস্ট ইন্ডিজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভুগছে। এমনটা ভাবার মানুষের অভাব নেই। নিজেদের দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে টাকা নেই। তাই সুনীল নারিন , আন্দ্রে রাসেলরা আর দেশীয় ক্রিকেটের তোয়াক্কা না করে চলে যান বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলতে। তারকাদের এই দায়বদ্ধতার অভাব ভোগাচ্ছে উইন্ডিজ ক্রিকেটকে। যে অল্পসংখ্যক তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার উঠে আসছেন তাঁরাও নারিন, রাসেলদের দেখাদেখি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলাটাকেই নিজেদের লক্ষ্য বানিয়ে নিচ্ছেন। ফলে মানসিকতা হয়ে যাচ্ছে টি-২০ ক্রিকেট খেলার, অনেক সময় সঠিকভাবে ক্রিকেটের ব্যকরণ শেখা হচ্ছে না তাঁদের।
ব্যাপারটা দুর্ভাগ্যজনকই মনে করেন লয়েড। তবে এটা কেন হচ্ছে, সেটির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, ‘দেখুন ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের জনসংখ্যা খুব কম। আমাদের খুব বেশি খেলোয়াড় নেই। আমরা যদি ২০ জন ভালো ক্রিকেটার তৈরি করি, তাহলে ১০ জনকে হারাই। এটা মোটেও সুখকর কিছু নয় ক্যারিবীয় ক্রিকেটের জন্য। আমরা চাই আমাদের সেরা ক্রিকেটাররাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলুক। কিন্তু এ জন্য পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে, যেন ক্রিকেটাররা দেশের হয়ে খেলতে মুখিয়ে থাকে।’
বর্তমান উইন্ডিজ দল যেন কয়েক দশক আগের দলের ছায়ামাত্র। খাতায়কলমে জিম্বাবোয়েতে পতন ঘটলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের অধঃপতন অনেকদিন আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। ২০১৭ সাল থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের গ্রাফ নিম্নমুখী হতে শুরু করেছিল। সেই বছর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোয়ালিফাই করতে পারেনি। তারপর ২০২২ সালে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের গণ্ডি পেরোতে ব্যর্থ হয়েছিল। তাও প্রথম রাউন্ডে খাতায়কলমে অনেক দুর্বল দলের বিরুদ্ধে খেলতে হয়েছিল। আর হারারেতে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যর্থতার বৃত্ত যেন সম্পূর্ণ হল।
শোনা যাচ্ছে, উইন্ডিজ ক্রিকেট দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক অনটনে ভুগছে। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ মূলত আর্থিকভাবে আমেরিকার উপর নির্ভরশীল। আর আমেরিকায় ক্রিকেটের তেমন চল নেই, টাকা পয়সাও বিশেষ নেই। বরং অ্যাথলেটিক্স, বাস্কেটবলের মতো খেলায় আর্থিক স্বচ্ছলতা বেশি
বিশ্বকাপ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাদ পড়া মানতে পারছেন না সাবেক ক্রিকেটাররা। টুইট করে শেহওয়াগ বলেন, “ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপ খেলবে না, এটা খুবই লজ্জাজনক। এতেই বোঝা যায় শুধু প্রতিভা থাকলেই হয় না, তার সঙ্গে চাই যথাযথ ম্যানেজমেন্ট।” ওয়াসিম জাফরের মতে, “একেবারে শেষ প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট। তবে এবার আর কিছু হারানোর নেই।”
শোনা যাচ্ছে, উইন্ডিজ ক্রিকেট দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক অনটনে ভুগছে। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ মূলত আর্থিকভাবে আমেরিকার উপর নির্ভরশীল। আর আমেরিকায় ক্রিকেটের তেমন চল নেই, টাকা পয়সাও বিশেষ নেই। বরং অ্যাথলেটিক্স, বাস্কেটবলের মতো খেলায় আর্থিক স্বচ্ছলতা বেশি। তাই ক্রিকেট ছেড়ে ক্যারিবিয়ান ছেলেমেয়েরা এখন ঝুঁকছেন এই সব খেলার দিকে। যে কোনও দেশের ক্রিকেটীয় অবক্ষয়ের মূল কারণ ঘরোয়া ক্রিকেটের সঠিক পরিকাঠামো না থাকা। ব্যতিক্রম নয় উইন্ডিজ ক্রিকেটও। অর্থের অভাবে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের অধিকাংশ দেশেই ঘরোয়া ক্রিকেটের উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই।
মানসিকতার পরিবর্তনও ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ক্রিকেট সমর্থক যে নেই, সেটা বলা যাবে না। কিন্তু তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সত্যিই সেভাবে জায়গা করে নিতে পারেনি ক্রিকেট। এদের মধ্যে সেভাবে আবেগও কাজ করে না। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজ একটা দেশ নয়। অনেকগুলি ছোট দেশের সমাহার। মুশকিল হল, একটা দেশ থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি ক্রিকেটার নেওয়া যায় না। ফলে অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার সুযোগ পান না। তাছাড়া এক দেশের পতাকার নিচে না খেলায় এদের মধ্যে আবেগের বাঁধনও তৈরি হয় না।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন পেসার উইনস্টন বেঞ্জামিন এক বছর আগে সচিন টেন্ডুলকারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের তৃণমূল স্তরে উন্নতি চেয়েছিলেন বেঞ্জামিন। নিজের অ্যাকাডেমির জন্য সচিনের কাছে অর্থভিক্ষা করেছিলেন বেঞ্জামিন। ক্রিকেটের সরঞ্জাম চেয়েছিলেন। বলেছিলেন, একটি ব্যাট হলেও চলবে। তরুণ ক্রিকেটারদের হাতে ব্যাট তুলে দেওয়ার জন্য সচিনের কাছে বেঞ্জামিনের এটিই ছিল কাতর আবেদন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের অবস্থা বোঝার জন্য মনে হয় এই ঘটনাটাই যথেষ্ট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ মানেই ছিল সাদা চামড়ার রাজত্বে কালো চামড়ার শাসন। কোর্টনি ওয়ালস, কার্টলি অ্যামব্রোজ, মালকম মার্শালের নাম শুনলে এখনও দুঃস্বপ্ন দেখেন ব্যাটারেরা। কিন্তু এখন কেমার রোচ, জেসন হোল্ডার, আলজারি জোসেফদের নাম কষ্ট করে মনে রাখতে হয়। ব্র্যান্ডন কিং, জনসন চার্লসের মতো ব্যাটারদের আইসিসি-র ক্রমতালিকায় খুঁজে পাওয়া যায় না। সাদা বলের ক্রিকেটে কোনও ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার প্রথম ১০ জনে নেই।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এখন আর দল হিসাবে খেলতে দেখা যায় না। কখনও কোনও ম্যাচে হয়তো এক জন ব্যাটার রান করে গেলেন, কখনও বল হাতে পাঁচ উইকেট নিলেন কোনও বোলার। কিন্তু গোটা দল হিসাবে বিপক্ষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা যায় না ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে খেলছে—এমন কিছু নাকি জীবনে কল্পনাও করেননি কার্ল হুপার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এই ক্রিকেটার এ কথা বলেছিলেন এবারের বাছাইপর্ব শুরুর সময়। হুপার হয়তো কল্পনাও করেননি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবার বিশ্বকাপই খেলতে পারবে না এবং বাছাইপর্বে জিম্বাবুয়ে, নেদারল্যান্ডস আর স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাস ও ঐতিহ্যকেই প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেবে।