ভ্রুকুটি
তার
প্রতিবার ভ্রুকুটিতে আমি প্রায় মরে যাই,
অথচ, নীরব ঘাতক হিসেবে
লোকে কেবল ক্যান্সারকেই চেনে!
ক্যান্ডেল লাইট ডিনার
আমি ওকে চাই, মালিক,
ও নিত্য জপে তোমার নাম!
অসাধ্য সাধন আমার কম্ম নয় ভেবে ফিরছি,
হায় ঈশ্বর, কার ঈর্ষার আগুনে মোমবাতি জ্বালিয়ে
ওরা রাতের খাবার নিচ্ছে?
নিম্ন মধ্যবিত্ত
রোজ দুতিনবেলা জীবন ঘষে উনুনে আগুন জ্বাললেও
লোকে ভাবে বেঁচে-বর্তে আছে ঠিকঠাক,
কিন্তু ক্ষয়ে যাওয়াটা চোখের আড়ালেই রয়ে যায়।
দুর্নিবার
শারদ আকাশ জুড়ে
বরষার স্মৃতি হয়ে
জমছে বর্ষণসম্ভবা মেঘ,
তাই আলো নেই
চারপাশে মন কেমন করা আঁধার।
যেন প্রেমসম্ভবা তুমি
মুখ ঘুরিয়ে আছো
মনো-অন্ধকারে
আমি পেরুচ্ছি অকূল পাথার!
আড়ালে বিকেলটা দ্রুত যাচ্ছে সরে।
আলো আসবে
জানি পৃথিবী তৃপ্ত হবে;
আমার আলোর জন্য তবে
আমি কি আরেকটা পৃথিবীই হয়ে উঠব, প্রিয়?
ভালোবাসার ঘর
দুজনে ভালোবেসে বেঁধেছি ঘর।
তুমি দিয়েছ সবুজে আঁচল পেতে পরম মমতায়
আমি গেয়েছি দুঃখ ভোলানিয়া গান,
তারপর থেকে হেঁটে চলেছে সময়
গুটি গুটি চার পায়ে।
কারিগর
জানালা থেকে জানালায় কথা বলে আসা
হাওয়াদের ভেতর জেগে ওঠে তোমার স্পর্শ,
সাথে জেগে ওঠো তুমি, আমার মনের মহল জুড়ে।
দিন বয়ে যায়, সকাল থেকে দুপুর হয়ে বিকেল;
আমি কেবলই একটা যুতসই সময়ের অপেক্ষায়,
যখন তোমাকে গড়ে তোলা দক্ষ কারিগর হিসেবে
আমার পুনর্জন্ম সুনিশ্চিত!
তারপর মহাকালের পথ আমাদের যুগল পদচিহ্নে
পবিত্র হয়ে উঠবে। নিশ্চয়ই!