
অপেক্ষার অবসান
অপেক্ষা একটি কাঠ চেরাই কল
আমি সেখানে পড়ে থাকা
গোলাই কাঠ
বৃষ্টিতে ভিজছি…
রোদে শুকোচ্ছি…
চিরে ফেড়ে না তুমি ঘর বানালে
না তুমি সাজালে ঘর
উইপোকার দখলে
এখন আমার বাহির-ভেতর।
ব্যাধ
পৃথিবীর সমস্ত পাখি শিকারির
সমষ্টি নাম বলা যেতে পারে তুমি
আমি সাদা বক হতে চাইলে
তোমার মাংসের লোভ বাড়ে
শালিক কিংবা ময়না হতে চাইলে
খাঁচায় পুষে তোমার পছন্দের বুলি শেখাবার
চলে বেহায়া পায়তারা
জলময়ূর হতে চাইলেও
পেছনে পেছনে ছোটে তোমার অনুগত ক্যামেরার চোখ
আমি বরং
তোমার ইচ্ছের উত্তর গোলার্ধে দাঁড়কাক হব
ঠোঁটে তুলে তোমার দিন খাব রাত খাব।
কাঠের পুতুল
তোমরা যা চিরকালীন বলে জানো
হতে পারে তা কবেই হয়ে গেছে কাঠের পুতুল
আর সেইসব দায়হীন দয়াহীন জড়গুলো
এমনভাবে আঁকড়ে ধরে আছো
যেভাবে মৃত স্বামীর নাম ধরে
বেঁচে থাকে কোনো সুন্দরী বিধবা।
রন্ধনশিল্পী
সংসারে হাঁপিয়ে উঠলেই কেবল তুমি
স্মৃতির চাল ডাল নুন-লঙ্কায়
রন্ধনশিল্পে মনযোগী হও;
ওপ্রান্তে সুইচ চাপো
এপ্রান্তে জ্বলে ওঠে আগুন—
আগুনে আগুনে স্মৃতির
রান্নাবান্না শেষে—
তোমার ফেরার কী যে তাড়া
কলেমা ও কাবিনের দেশে!
রসিক রন্ধনশিল্পী তুমি
ঘর বুঝো, বর বুঝো, রসে কষে রান্না বুঝো
শুধু আগুনের কান্না বুঝো না।
অথৈ সমুদ্র
হাঁটতে হাঁটতে
আমরা এমন এক
রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছি
যেখানে
পেছনে বাঘ
সামনে সমুদ্র
আর তার দুইপাশে
দুই ঘন অরণ্য
যা নিন্দের কাঁটায় ভরা!
আমরা বরং—
পরিণতি হিসেবে
বেছে নিই অথৈ সমুদ্র
সামনে একমাত্র সমুদ্রই যেন
বিপদে বুকে নেয়া মায়ের পেটের ভাই।