Author Picture

ত্বহা হুসাইনের দিনগুলি

কাউসার মাহমুদ

বিশ
.
হ্যাঁ প্রিয় মা আমার! আমি তোমার বাবাকে তার জীবনের এই পর্যায়ে ভালোভাবেই জানতাম। আমি নিশ্চিত তোমার হৃদয়ে করুণা ও কোমলতার এক পুষ্পবৃক্ষ আছে। কিন্তু এ ভয়ও পাই যে, তোমার বাবা সম্বন্ধে যা-কিছু জানি আমি, তা তোমাকে বললে তুমি তোমার দরদকে সংযত করত পারবে না। সমবেদনাায় পরাজিত হয়ে বিধুর কান্নায় ভেঙে পড়বে

নিস্পাপ, নিস্কলুষ পবিত্র হৃদয়ের প্রিয় ছোট্ট রাজকন্যা আমার। তোমার বয়স এখন নয়। এ বয়সে শিশুরা পিতামাতাকে বিমুগ্ধ হয়ে দেখে এবং তাদেরকে জীবনের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে। কথা ও কাজ সবক্ষেত্রেই তাদের অনুসরণ এবং সবকিছুতেই তাদের মত হওয়ার চেষ্টা করে। ফলে খেলাধুলা ও আমোদপ্রমোদে যখনই তারা তাদের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে, তারা তাদের পিতামাতাকে নিয়ে গর্ব করে। ভাবে, তাদের মতো তাদের পিতামাতাও এখন এ শৈশবেই আছে। তেমনই অপাপবিদ্ধ, চমৎকার উদাহারন ও উত্তম অনুসরণী।
বিষয়টি কি এমনই নয় যেমন আমি বলেছি? কেন তুমি কি ভাবো না তোমার বাবাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ও মহৎ মানুষ ? এও ভাবো না যে, শৈশবেও তিনি ছিলেন সবার সেরা ও মহৎ? তুমি কি নিশ্চিত নও, তার জীবনধারা ছিল তোমার মতোই অথবা এরচেয়ে ভালো? আট বছর বয়সে তোমার বাবার জীবনের মতোই কি তোমার বাঁচতে ইচ্ছে করে না? এতদসত্বেও তোমার বাবা যখন বালক ছিলেন, তখন জীবনের নিকটে থাকতে তিনি তার সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যয় করেছেন এবং অসহ যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে বহু দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছেন। হে আমার আত্মজা! তার জীবনের এই যুগপৎ সন্ধিক্ষণে আমি তাকে চিনতাম। তাছাড়া আমি যদি তোমাকে তার সেই সময়কার অবস্থার কথা বলি, তাহলে তোমার স্বপ্নগুলো ভেঙে খানখান হয়ে যাবে এবং তুমি তোমার লালিত প্রত্যাশা সমূহের ব্যপারে বিষন্ন ও হতাশ হবে। হতে পারে, ওসব বলে তোমার অপাপবিদ্ধ পবিত্র হৃদয় ও সুস্বর আত্মার মাঝে আমি এক বেদনার প্লাবনদ্বার খুলে দেব; যা খোলা পাপ, যখন তুমি তোমার জীবনের এ আনন্দম পর্যায়ে উপনীত আছো। তাই এখন আর তোমাকে তোমার বাবার সম্পর্কে কিছুই বলবো না; যতদিন না তুমি আরেকটু বড় হচ্ছ, পড়তে বা বুঝতে পারো এবং নিজের ভালোমন্দ বিচার করতে পারো। কারণ তখনই কেবল তুমি অনুধাবন করতে পারবে যে, তোমার বাবা সত্যিই তোমাকে ভীষণ ভালোবাসেন এবং তোমার আনন্দের জন্য সবসময়ই তিনি তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। এমনকি আংশিকভাবে হলেও তিনি তোমার শৈশব ও বাল্যকাল ওসব যন্ত্রণা থেকে রক্ষা করতে সফল হয়েছিলেন। হ্যাঁ প্রিয় মা আমার! আমি তোমার বাবাকে তার জীবনের এই পর্যায়ে ভালোভাবেই জানতাম।

আমি নিশ্চিত তোমার হৃদয়ে করুণা ও কোমলতার এক পুষ্পবৃক্ষ আছে। কিন্তু এ ভয়ও পাই যে, তোমার বাবা সম্বন্ধে যা-কিছু জানি আমি, তা তোমাকে বললে তুমি তোমার দরদকে সংযত করত পারবে না। সমবেদনায় পরাজিত হয়ে বিধুর কান্নায় ভেঙে পড়বে। জানো, একদিন তোমাকে তোমার বাবার কোলে বসে থাকতে দেখেছি আমি। তখন তিনি তোমাকে রাজা ঈডিপাস এর গল্প শোনাচ্ছিলেন যে, কীভাবে সে নিজের চোখ উপড়ে ফেলার পর প্রাসাদ থেকে বেরিয়ে এসেছিল। এবং সে জানে না কীভাবে সামনে এগুতে হবে। তখন তার মেয়ে আ্যন্টিগোন এসে তাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যায়। সেদিন আমি দেখেছিলাম, কী অতুল আনন্দে প্রথমে এই গল্পটি শুনছিলে তুমি। তারপর ধীরেধীরে তোমার রঙ বদলাতে শুরু করলে এবং শীঘ্রই তোমার মসৃণ কোমল কপালটি কুচকে ফেললে। তারপর কয়েক মুহুর্ত কাটলে হঠাৎই তুমি তোমার বাবার কোলে মুখ বুজে কান্না শুরু করলে এবং বাবাকে সস্নেহে চুমু দিয়ে আদর করছিলে। তখন তোমার মা এসে বাবার কোল থেকে তোমাকে একপ্রকার ছিনিয়ে নিয়ে যান এবং শান্ত হওয়া অবধি তুমি তার কাঁধেই মাথা রেখে কাঁদছিলে।
সেদিন তোমার বাবা-মা এবং আমিও অবশ্যই বুঝতে পেরেছিলাম, তুমি কেবল এজন্যই কেঁদেছিলে যে, ঈডিপাসের মাঝে তুমি তোমার অন্ধ বাবাকে দেখেছিলে। যে না পারছিল দেখতে, না পাচ্ছিল তার পথ খুঁজে।
তাছাড়া এও খুব ভালো করেই জানি যে, তোমার মাঝে শিশুশুলভ চপলতা, খেলাধুলা এবং হাস্যরসের প্রতি তাদের মতোই অনমনীয় প্রবণতা আছে। তাই হে আমার প্রিয় কন্যা! আমি এই ভয় পাচ্ছি যে, যদি তোমাকে তোমার বাবার শৈশবের অতিক্রান্ত দিনের কিছু গল্প শোনাই; হতে পারে তুমি তার দিকে নিষ্ঠুর, নির্মমভাবে হাসবে। আর কোনো শিশু তার বাবাকে নিয়ে হাসাহাসি করুক, তার প্রতি উপহাস বা কঠোর হোক; তা আমার পছন্দ নয়।যাহোক, তোমার বাবাকে তার জীবনের এক পর্যায়ে আমি চিনতাম। এবং তোমার হৃদয়কে কোনোরূপ ব্যথিত করা ও উপহাস বা ঠাট্টায় প্রলুব্ধ করা ছাড়াই আমি তোমাকে তার সম্বন্ধে বলতে সক্ষম। আমি তাকে তের বছর বয়স থেকে চিনি। যখন তাকে আল-আযহারে পড়তে পাঠানো হয়। সে ছিল পরিশ্রমী, কর্মতৎপর এক বালক। পাতলা গড়নের, ফ্যাকাশে গাত্রবর্ণের ; যেন তার অবয়বই এমন যে সে হতদরিদ্র, অবহেলিত। প্রকৃতপক্ষে পরিহিত মলিন আলখাল্লায় তার জীর্ণতা ছিল স্পষ্ট। মাথার টুপিটি এমনই পুরনো হত যে, সাদা থেকে কালো হয়ে যেত। আর জামা যেটা আলখাল্লার নীচে পরিধেয় থাকত; তাতে তো এতে বেশি খাবারের দাগ ছিল যে, যেন বিবিধ রঙে রঙিন হয়ে উঠেছিল। তেমনই তার পরিধেয় পাদুকাজোড়াও ছিল অতিশয় হতশ্রী আর অসংখ্য তালিযুক্ত।

এই সমূহ জীর্ণতা ও মলিনতা প্রকটভাবেই তার মাঝে স্পষ্ট ফুটে থাকত। তথাপি যখনই তাকে দেখতাম তা ছিল চোখের আনন্দ। যদিও তেমনই ছিন্ন বসন, নিরুদ্বেগ কপালের সাথে দৃষ্টিহীন শান্ত চোখ ও হাসিমুখে নিয়মানুযায়ী রোজই সে আল-আযহারের দিকে দ্রুত ছুটে যেত। অবিচলিতচিত্তে প্রতিটি পদক্ষেপ দ্বিধাহীন ফেলে হেঁটে যেত সে। সেইসাথে কখনওই তার চেহারায় ওই অন্ধকার ফুটে উঠতো না; যা সাধারণত অন্ধদের চেহারায় সুস্পষ্ট ফুটে থাকে। বেশভূষা যেমনই স্পষ্ট হোক, চোখে তার আনন্দ ছিল। এমনকি দরসে এই দৃষ্টি যখন তার ওপর নিবদ্ধ হয়েছিল, তখন সে কিছু সহানুভূতিও জাগিয়েছিল। কেননা সে তখন অনাবিল প্রশান্ত হয়ে একাগ্রচিত্তে, হাসিমুখে কোনোরূপ বিরক্তি বা অভিযোগ ছাড়াই শায়খ এর বক্তব্য শ্রবণ করছিল। তদুপরি তার চারপাশে যখন অন্য ছেলেরা আমোদ প্রমোদ উচ্ছল বা অস্থির উসখুস করছিল; তখনও এসবের প্রতি তার কোনো আকর্ষণ ছিলো না।

জীবনের এই পর্যায়ে আমি তাকে চিনতাম, লক্ষ্মী মেয়ে আমার। কি করে বোঝাই কি ভালো লাগত আমার, তুমি যদি তাকে চিনতে, যেমন আমি চিনতাম! তাহলে তোমার আর তার মাঝে পার্থক্য বুঝতে পারতে। কিন্তু তা কি করে সম্ভব! যখন তোমার বয়স মাত্র নয় বছর। যখন জীবন তোমার কাছে কেবলই রক্তিমাভ গোলাপি উজ্জল ও আনন্দময়!
আমি তাকে চিনতাম, যখন কোনো প্রকার অভিযোগ, অনুযোগ ছাড়াই কেবল এক ধরণের খাবার খেয়ে দিন, সপ্তাহ, মাস, বছর কাটিয়ে দিত সে। যা থেকে রোজ সকাল-সন্ধ্যায় নিজের বরাদ্দ অংশটুকু নিঃশব্দে গ্রহণ করত। মূলত কোনোরূপ অধৈর্যই তার ছিলো না; কেননা অন্যদের চেয়ে নিজের অবস্থা খুব বেশি যে খারাপ-এমনটা কখনোই ভাবেনি সে।
লক্ষ্মী মামণি আমার! একদিন যদি ওই খাবারের একটি অংশ তুমি খেতে, তাহলে নিশ্চিত তোমার মা তোমাকে নিয়ে এতোটাই উদ্বিগ্ন হতেন যে, চটজলদি তোমাকে লবণ পানি খাইয়ে দিতেন অথবা ডাক্তারের অপেক্ষা করতেন। কিন্তু তোমার বাবা আল-আযহারের ওই এক রুটি দিয়ে সপ্তাহের পর সপ্তাহ, মাসের পর মাস কাটিয়েছেন। অধিকন্তু, আযহারের ছাত্ররা এতেই খুশি থাকত, যদি না তারা তাদের খাবারে কোনো খড়কুটো, পাথর বা পোকামাকড় না পেত।

লাগাতার সপ্তাহের পর সপ্তাহ ও মাসজুড়ে তিনি কেবল ওই শুকনো রুটি কালো মধুতে ভিজিয়ে খেয়েছেন। তুমি জানো না কালো মধু কি! এ অবশ্য তোমার না জানাই উত্তম।
এভাবেই তোমার বাবা বেঁচে ছিলেন, সহাস্য বদনে কঠোর পরিশ্রম, নিজের পড়াশোনা, কাজ ও জীবনের মুখোমুখি হয়েছিলেন। যাহোক, এভাবে ওই বছরটি শেষ হয় এবং সে তার পিতামাতার কাছে ফিরে আসে। তখন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তারা জিজ্ঞেস করেন, ‘কিভাবে সে খাওয়া দাওয়া করেছে? কিভাবে থেকেছে?’ তখন তাদের জন্য সে মিথ্যা বানাতে শুরু করে, যেমন তোমার জন্য সে বিবিধ গল্প তৈরি করতে অভ্যস্থ। তথা সে জানায়, ওখানে সে বেশ স্বচ্ছন্দ্য ও আনন্দেই দিনাতিপাত করেছে। আর সে যে এই মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে, নিশ্চয় তা মিথ্যেকে ভালোবেসে নয়। বরং শুধুমাত্র এই বৃদ্ধ মানুষ দুটির জন্য; যাদের সে কোনোভাবে দুঃখী করতে চায়নি। ফলে সত্যিই যে কষ্টক্লিষ্ট সে সহ্য করেছে, তাদের কাছে তা বলতে সে অপছন্দ করেছিল। তদুপরি সে তার আযহারী ভাইয়ের জন্যও দুঃখিত ছিল। কিন্তু কোনোভাবেই বাবা-মাকে তার বিষয়ে জানাতে পছন্দ করেনি যে, জীবনে প্রয়োজনের অধিক আরাম-আয়েশ গ্রহণ করেছে সে।

তো এই ছিলো তোমার বাবার জীবন; যখন তার বয়স ছিলো তের। কিন্তু এই শুনে তুমি আমাকে প্রশ্ন করবে,‘তাহলে এখন যে অবস্থানে তিনি আছেন, তা কিভাবে অর্জন করলেন? আর কিভাবেই বা তার অবয়ব-উপস্থিতি কোনোরূপ বিভৎসতা ও দৃষ্টিকটুতা ছাড়া এমন দর্শনীয় ও বিখ্যাত হয়ে উঠলো? কিভাবেই বা তিনি তোমাকে ও তোমার ভাইকে এমন প্রীতিকর আনন্দঘন উপভোগ্য একটি জীবন দিতে সক্ষম হলেন? কিভাবে তিনি অসংখ্য মানুষের হৃদয়ে তার প্রতি ঈর্ষা,বিদ্বেষ, কুৎসা জাগাতে সক্ষম হয়েছিলেন? ঠিক তেমনি কিভাবেই বা অন্য অসংখ্য মানুষের মনে অনুপ্রেরণা, সমর্থন ও সম্মান জাগাতে সক্ষম হলেন? তাই যদি তুমি আমাকে জিজ্ঞেস করো কিভাবে তিনি ওই অবস্থা থেকে এই অবস্থায় স্থানান্তরিত হয়ে এসেছেন? আমি তোমাকে এর উত্তর দিতে সক্ষম নই। কিন্তু এখানে এমন একজন আছেন, যদি তুমি জানতে চাও; তাহলে তিনি তোমাকে এর জবাব দিতে পারেন।
জানো কে সে? এদিকে দেখো! তিনি হলেন তোমার দেবদূত অভিভাবক মাতা। যিনি তোমার বিছানার ওপর নেমে আসেন, যখন পরম প্রশান্তি ও মিষ্টি ঘুমে রাতকে বরণ করে নিতে সন্ধ্যা আসে। তেমনই ভোর হলে আনন্দ ও খুশিতে দিনকে স্বাগত জানাতে যিনি তোমার বিছানার ওপর ঝুঁকে আসে। তাই নিঃসন্দেহে রাতের এই প্রশান্তি ও দিবসের আনন্দের জন্য এই পবিত্র দেবদূতের কাছে ঋণী তুমি; যা তুমি প্রাণভরে উপভোগ করো। আমার লক্ষ্মীটি, জানো! এই দেবদূত সবসময় তোমার বাবাকে দেখে রেখেছে। তার অপরিমেয় দুঃখকে সুখে পরিণত করেছে। হতাশা থেকে আশা দিয়েছে। দরিদ্র থেকে সম্পদশালী করেছে এবং সেইসাথে সমস্যায় পর্যদুস্ত সমূহ সঙ্কট থেকে দিয়েছে অপার আনন্দ আর সুখ। মূলত এই দেবদূতের কাছে তোমার থেকে কোনো অংশেই তোমার বাবা কম ঋণী নয়। তাহলে চলো এই ঋণ পরিশোধে তাকে সাহায্য করা যাক, সোনা মা আমার! যদিও তোমরা যা চাও এর একটি ক্ষুদ্র অংশও কেউ পরিশোধ করতে পারবে না।

আরো পড়তে পারেন

বাঙালি মনীষীদের চা প্রীতি-অপ্রীতি

প্রাথমিক পর্যায়ে ভারতবর্ষে চায়ের বিপণন ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। ক্রেতাদের চামুখী করার জন্য কোম্পানিগুলোর নানামুখী তৎপরতা ছিল উল্লেখ করার মতো। তারা এ কাজে বাহারি বিজ্ঞাপন ছাড়াও নানাবিধ বিনিয়োগের মাধ্যমে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের মানুষদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করত। তবে শুরুতে চরম প্রতিকূল পরিবেশের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাদের। বৈরী এ পরিবেশ তৈরিতে সর্বতো সহযোগিতা ছিল যার, তিনি হলেন প্রখ্যাত….

ইয়ে থেকে বিয়ে

জগতের বেশিরভাগ বিয়ে প্রথমে হয় দুটো পরিবারের মধ্যে। তারপর সর্ম্পক হয় দুটো মানুষে। এটাকেই লোকে এখন বলে এরেঞ্জড ম্যারেজ। আদি কাল থেকেই এটা হয়ে আসছিল, এখনও বেশিরভাগ বিয়েগুলো পারিবারিক সম্মতি ও সর্ম্পকে হয়। বিয়েতে সর্ম্পক হয় না, সর্ম্পক গড়ে। প্রেমে সর্ম্পক গড়ে ওঠে। আধুনিক প্রেমের বিয়ে যতটা সিনেমা গল্পে হয়, বাস্তবে ঠিক ততটা নয়।  বিয়ের….

আর্কটিক থেকে উপসাগর পর্যন্ত: কানাডা ও বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিপূর্ণ হুমকি

এটি শুধু একটি ভৌগলিক বা স্থানিক ব্যাপ্তির  বর্ণনা নয় , যা আর্কটিক অঞ্চল থেকে উপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ভ্রমণ বা পরিসরের পরামর্শ দেয়। আর্কটিক বলতে পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তরের অংশকে বোঝায়, যা আর্কটিক মহাসাগর এবং আশেপাশের ল্যান্ডস্ক্যাপ জুড়ে রয়েছে। অন্যদিকে উপসাগর জলের শুধু একটি অংশ নয় যা ভূমি দ্বারা আংশিকভাবে ঘেরা ও একটি প্রশস্ত মুখ দিয়ে সামনে….

error: Content is protected !!