
উনিশ
.
আল্লাহ সাক্ষী, বালকটি তার মায়ের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে বা আর কখনও খেলাধুলা করতে পারবে না-এ কারণে মোটেও দুঃখী ছিলো না। বরং সে তার ওই ভাইয়ের কথাই ভাবছিল; যে নীল নদের ওপারে অনন্তের ঘুম ঘুমিয়ে আছে। চিন্তা করছিল, কতবার তার মৃত ভাইটি এ কথা ভেবেছিল, যখন সে মেডিকেল কলেজের ছাত্র হবে তখন সেও (বালক) তার দুই ভাইয়ের সঙ্গে কায়রতো থাকবে। এই সব কিছুই সে ভাবছিল আর ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এর কিছুই কাউকে সে বলেনি এবং তার দুঃখও প্রকাশ করেনি
‘আচ্ছা, তাহলে এবার তুমি প্রকৃত একজন ছাত্র হতে এবং জ্ঞান সাধনার প্রতি আত্মনিয়োগের জন্য তোমার ভাইয়ের সাথে কায়রো যাচ্ছ। আশা করি, আমার জীবদ্দশাতেই তোমার ভাইকে কাজি ও তোমাকে আযহারের উলামাদের একজন হিসেবে দেখে যাব। যখন তুমি আযহারের কোনো একটু সুউচ্চ স্তম্ভে হেলান দিয়ে বসবে। তোমার চারপাশ তখন ছাত্রদের সুদূর বৃত্ত দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকবে।’ ১৯০২ সালে শরতের কোনো এক দিবসের অন্তিম অপরাহ্নে শায়খ তার ছেলেকে এই কথাগুলো বলেছিলেন। আর বালকও তা শুনেছিল ঠিক; কিন্তু তা সে সত্যও ভাবেনি আবার মিথ্যাও প্রতিপন্ন করেনি। বরং পরবর্তী কয়েক দিন পর্যন্ত এ ব্যপারে নিশ্চিত হতে বা তা অপ্রমাণ হতে অপেক্ষা করাই উত্তম মনে করেছিল সে। কেননা বহুবারই বাবা এমন কথা বলেছেন। আর বহুবার তার আযহারী ভাইও একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাকে। কিন্তু এরপর ঠিকই আযহারী একা কায়রো ফিরে যেত। আর বালকও আগের মতোই তার সময়গুলো বাড়ি, গ্রামের মকতব, বিচারালয় ও শায়েখদের মজলিসে আসাযাওয়া করে বাড়িতেই রয়ে যেত।
প্রকৃতপক্ষে আসলেই সে বুঝতে পারেনি যে, কেন বাবার প্রতিশ্রুতি এ বছর সত্যি হলো! কিন্তু তা হয়েছিল এবং বাবা তাকে জানিয়েছিলেন আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সে চলে যাবে। সুতরাং বৃহস্পতিবার আসে আর বালক আচমকাই যেন নিজেকে এই সফরের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত দেখতে পায়। এরপর সেদিন সূর্যাস্তের আগেই ট্রেন-স্টেশনে গিয়ে হাজি হয় এবং জনারণ্যের স্রোতের মাঝে এককোণে, চুপচাপ বিষন্ন মনে উবু হয়ে বসে থাকে। সে তখন তার বড় ভাইয়ের কণ্ঠ শুনতে পায়। যে তাকে মৃদু ধমকে কোমলভাবে বলছিল, ‘এভাবে মাথা নীচু করে রেখো না। আর মুখটা অমন বিষণ্ন করো না; যা তোমার ভাইকে দুঃখী করে তোলে।’ তখন বাবার কণ্ঠস্বরও শুনতে পেয়েছিল। যিনি তাকে উৎসাহিত করতে বলছিলেন, ‘এমন বেজার কেন? তুমি কি পুরুষ না নাকি? তুমি কি তোমার মায়ের কাছ থেকে দূরে থাকতে অক্ষম? নাকি আরও আলস্যে কাটাতে চাও? এই দীর্ঘ আলস্য আর নিষ্ক্রিয়তা কি তোমার জন্য যথেষ্ট ছিল না?’ আল্লাহ সাক্ষী, বালকটি তার মায়ের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে বা আর কখনও খেলাধুলা করতে পারবে না-এ কারণে মোটেও দুঃখী ছিলো না। বরং সে তার ওই ভাইয়ের কথাই ভাবছিল; যে নীল নদের ওপারে অনন্তের ঘুম ঘুমিয়ে আছে। চিন্তা করছিল, কতবার তার মৃত ভাইটি এ কথা ভেবেছিল, যখন সে মেডিকেল কলেজের ছাত্র হবে তখন সেও (বালক) তার দুই ভাইয়ের সঙ্গে কায়রতো থাকবে। এই সবকিছুই সে ভাবছিল আর ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এর কিছুই কাউকে সে বলেনি এবং তার দুঃখও প্রকাশ করেনি। পরিবর্তে একটা মেকি হাসি হাসার চেষ্টা করে শুধু। কেননা যদি সে নিজেকে তার স্বাভাবিক প্রবণতায় প্রবৃত্ত করত, তাহলে নিশ্চিত সে কেঁদে দিত। আর তার কারণে তখন তার বাবা ও ভাইয়েররাও কাঁদত।
সূর্যাস্তের আগেই ট্রেন-স্টেশনে গিয়ে হাজি হয় এবং জনারণ্যের স্রোতের মাঝে এককোণে, চুপচাপ বিষন্ন মনে উবু হয়ে বসে থাকে। সে তখন তার বড় ভাইয়ের কণ্ঠ শুনতে পায়
যাহোক, এরপর ট্রেন চলতে শুরু করে এবং দীর্ঘ কয়েক ঘন্টার অবিশ্রান্ত ভ্রমণের পর বালক নিজেকে কায়রো শহরে ছাত্রদের ভীড়ের মাঝে আবিষ্কার করে। যারা তার ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করতে এসেছিল। তারা তাকে অভিবাদন জানায় এবং বাড়ি থেকে যে-সব খাবার তাদের জন্য এনেছিল তা খায়। ফলে এভাবেই সে দিনটি কেটে যায়।
এর পরের দিনটি ছিল শুক্রবার; যেদিন বালক আল-আযহার মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ে উপস্থিত হয় এবং শায়খ এর খুতবা শ্রবণ করে। যার কণ্ঠ ছিল বেশ ভারি; ‘ক্বাফ’ ও ‘রা’ উচ্চারণে যিনি দীর্ঘ ও উচ্চস্বর করছিলেন। মূলত এ ছাড়া তার মাঝে ও বালকের শহরের খতীবের মাঝে আর কোনো পার্থক্য ছিলো না। খুতবা তাই ছিল; যা শহরে শুনে অভ্যস্থ ছিল। হাদীসও তাই। নবীর প্রতি প্রশংসাও একই। তদুপরি নামাজও ওই একইরকম। তথা যে নামাজে সে অভ্যস্থ ছিল তার চেয়ে দীর্ঘ নয় আবার সংক্ষিপ্তও না।
নামাজ শেষে বালক তার বাড়িতে বরং বলা উচিত তার ভাইয়ের কামরায় ফিরে আসে। এবং কোনো কিছু নিয়ে সে বেশ হতাশই বলা চলে। তখন তার ভাই তাকে জিজ্ঞেস করে, ‘কেরাত পাঠ ও কোরান তাজবিদের দরসের (ক্লাস) ব্যপারে কি ভাবলে?’ জবাবে বালক বলে, ‘দুটোর কোনোটাই প্রয়োজন নেই। তাজবিদ বেশ ভালোই জানা আমার। আর পাঠের তো দরকারই নেই। তাছাড়া আপনি নিজেই কি আপনার পড়াশোনাগুলো করছেন না? আমিও কি আপনার মতোই পড়াশোনা করলে আমার জন্য যথেষ্ট হবে না? আমার বরং অন্য কিছু পড়ার আগ্রহ বেশি। তাই ভেবেছি ফিকহ (আইনশাস্ত্র), নাহু (ব্যকরণ), মানতেক (যুক্তিবিদ্যা) ও তাওহীদ (একত্ববাদ) বিষয়ে পড়াশোনা করব।’
‘বেশ! এ বছর তাহলে নাহু ও ফিকহ’ই পড়।’
সেদিন ছিল শনিবার। ফজরের আযানের সাথেসাথেই বালক ঘুম থেকে জাগে। অযু করে নামাজ পড়ে। তার ভাইও একইভাবে জেগে, অযু করে নামাজ পড়ে। তারপর সে তার ভাইকে (বালককে) বলে, ‘এখন আমার সঙ্গে অমুক অমুক মসজিদে যাবে তুমি। সেখানে যে-সব দরসে আমরা উপস্থিত হব, তা আমার জন্য এবং তোমার জন্য নয় অবশ্যই। এরপর দরস শেষে তোমাকে নিয়ে আল-আযহারে যাব। ওখানে আমার বন্ধুদের মধ্যে কোনো একজন শায়খ খুঁজে পেলে তার কাছেই তোমাকে পড়তে পাঠাব। রোজ তার কাছে যাবে এবং জ্ঞানার্জনের রীতিনীতি সম্বন্ধে শিখতে পারবে।’ বালক জিজ্ঞেস করে, ‘কিসের দরস ওটা; যেখানে আমি উপস্থিত হব?’ জবাবে ভাই তাকে হেসে জানায়, ‘ওটা ফিকহের দরস। কিতাবটি হচ্ছে ইবনে আবেদিনের ‘আদ্দুর।’ বলার সময় কথাগুলো যেন সে তার মুখ ভরে বলছিল। বালক তখন পুনরায় জিজ্ঞেস করে, ‘কোন শায়খ পড়াবেন?’ জবাবে তার ভাই বলে, ‘শায়খ…।’ ইতিপূর্বে যে শায়খ এর নাম বালক হাজারবার শুনেছে। বাবা প্রায়শই তার নাম বলতেন এবং এই বলে গর্ববোধ করতেন যে, যখন তিনি প্রাদেশিক কাজি ছিলেন তখন তাকে চিনতেন। এমনকি তার মা’ও ওই শায়েখ এর স্মৃতিচারণ করে বলেতন, তিনি তার স্ত্রীকে চিনতেন; যে ছিল লম্বাটে গড়নের অপরিণামদর্শী এক নারী। সবসময়ই সে শহুরে নারীদের ফ্যাশন অনুকরণ করত ঠিক কিন্তু তার কোনো সাজসজ্জাই তাদের মত ছিলো না। তাছাড়া যখনই বালকের ভাই কায়রো থেকে ফিরত, প্রতিবারই বাবা তার কাছে ঐ শায়খের হালচাল, তার ছাত্র সংখ্যা ও দরসসমূহের নানা বিষয়আশয় সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করতেন। তার ছেলেও তখন তার কাছে শায়খ সম্বন্ধে এবং উচ্চ আদালতে তার অবস্থান সম্পর্কে সবকিছু জানাত। সেইসাথে তার দরসে শতশত ছাত্রেদর আকুল উপস্থিতির কথাও বলতে ভুলতো না। ফলে বালকের পিতা তার আযহারী ছেলেকে ঐ শায়খের অনুকরণে পড়তে বলতেন। আর যখনই সে অমন করে পড়ার চেষ্টা করত; তার বাবা তখন গর্ব ও আত্মপ্রশংসায় আনন্দের হাসি হাসতেন। তদুপরি প্রায়ই তিনি তার সন্তানকে জিজ্ঞেস করতেন, ‘শায়খ কি তোমাকে চেনেন?’
ছেলের কাছে শোনা এই সবকিছুই আবার গৌরব ও দম্ভের সাথে তার বন্ধুদের কাছে বলতেন। ফলে আগ থেকেই বালক এই শায়খকে জানত এবং এখন তার দরসে যাওয়া ও তার বক্তব্য শোনার অভিপ্রায়ে সে বেশ খুশি হয়ে ওঠেছিল
জবাবে তার ছেলে বিস্মিত হয়ে জানাত, ‘কেন চিনবে না! আমি আর আমার বন্ধুরা তার প্রিয় ছাত্রদের অন্যতম। সবসময় তিনি আমাদের বিশেষ স্নেহ করেন। এমনি তার ক্লাসে তো আমরা সব ছাত্রদের সঙ্গেই উপস্থিত হই। কিন্তু এর বাইরেও নিজ বাসায় তিনি আমাদের বিশেষভাবে পড়ান। প্রায়ই তার সঙ্গে আমরা দুপুরের আহার করি যাতে সাম্প্রতিক যে পুস্তকটি তিনি রচনা করছেন-তার ওপর গবেষণা করতে পারি।’ এরপর যুবক ধারাবাহিকভাবে শায়খের বাড়ি, তার অভ্যর্থনা-কক্ষ এবং লাইব্রেরি সম্পর্কে সবিস্তার বর্ণনা দিতে থাকে। তার বাবা তখন পরম বিস্ময় ও প্রশংসার সাথে এর সবই গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনতেন এবং পরে যখন বাইরে বেরুতেন, তখন ছেলের কাছে শোনা এই সবকিছুই আবার গৌরব ও দম্ভের সাথে তার বন্ধুদের কাছে বলতেন। ফলে আগ থেকেই বালক এই শায়খকে জানত এবং এখন তার দরসে যাওয়া ও তার বক্তব্য শোনার অভিপ্রায়ে সে বেশ খুশি হয়ে ওঠেছিল। আর কি বর্ণণাতিত আনন্দই না তার হয়েছিল; যখন সে আল-আযহার মসজিদের দরজায় তার জুতো খুলে রাখে। প্রথমে চাটাই, এরপর শ্বেত মর্মর এবং সর্বশেষ মসজিদের মেঝেতে বিছানো মসৃণ কার্পেটের ওপর হেটে যায়! কি খুশিই না সে হয়েছিল,যখন ওই শ্বেত স্তম্ভের পাশে মসৃণ কার্পেটে গোলাকার হয়ে বসে থাকা ছাত্রদের বৃত্তে সে বসেছিল। ধীরে তখন সে ওই স্তম্ভ স্পর্শ করে এবং এর উজ্জ্বল মসৃণতা তার বেশ ভালো লাগে। এসময় দীর্ঘক্ষণ সে বাবার ওই কথাটি ভাবে, ‘আশা করি তোমার ভাইকে একজন কাজি ও তোমাকে আল-আযহারের কোনো এক স্তম্ভের পাশে দরস দিতে দেখার জন্য আমি বেচে থাকব।’ তো যখন সে এসব চিন্তা করছিল এবং আল-আযহারের স্তম্ভগুলো স্পর্শ করে দেখছিল যে এগুলোও কি মসজিদের স্তম্ভের মত একই রকম কিনা! তখন তার চারপাশে ছাত্রদের অদ্ভুত এক গুনগুন ধ্বনি শুনতে পায় সে। এরপর আচমকাই যেন তা ক্ষীণ হয়ে একেবারে নিস্তব্ধ হয়ে যায়। তার ভাই তখন তাকে আঙুলে মৃদু খোঁচা দিয়ে বলে, ‘শায়খ চলে এসেছেন।’
বালকের সমস্ত সত্তা যেন তখন তার কানে এসে কেন্দ্রীভূত হয়েছিল এবং সে শুনলো। কি শুনলো! সে একটি নীচু, মৃদু, নির্মল কণ্ঠস্বর শুনতে পেল; যা ছিল শান্ত, গর্ব ও দম্ভে পরিপূর্ণ। এছাড়াও এজাতীয় যেকোনো বিশেষণ তার সঙ্গে বলতে পারো। যাহোক, তা ছিল ভারি অদ্ভুত। বালক তা মোটেও পছন্দ করেনি। ফলে শায়খ যা বলেছে কিছুক্ষণ পর্যন্ত এর একটি বর্ণও ঠিকঠাক বুঝতে পারেনি বালক। এরপর কিছু সময় গেলে যখন তার শ্রবণইন্দ্রীয় শায়খের আওয়াজের সঙ্গে অভ্যস্থ হয় এবং বিষয়গুলো ব্যখ্যা করা হয়,তখন অবশ্য সে বুঝতে পেরেছিল। এমনকি পরে একদিন সে শপথ করে বলেছিল যে, সেদিন থেকে জ্ঞানার্জনকে ঘৃণা করেছিল সে। কেননা সেদিন সে শায়খকে বলতে শুনেছে, তিনি বলেন, ‘যদি তুমি একথা বলো যে, আনতা তালাক, আনতা যলাম, আনতা তলাল অথবা আনতা তলাত; তাহলে অভিব্যক্তি বা শব্দের পরিবর্তন যাইহোক না কেন-তালাক তথা বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যাবে।’ এই কথাগুলো তিনি যেন একটি সঙ্গীতের সুরে ছন্দেছন্দে বলছিলেন। এমন এক স্বরে, যা সম্পূর্ণরূপে কঠোরতা থেকে মুক্ত ছিলো না ঠিক কিন্তু এর মালিক তা সুমিষ্ট করার বৃথা চেষ্টা করছে। এরপর অবশ্য তিনি তার সংগীত এই (যা তিনি একটু পরপরই তার বক্তব্যের মধ্যে অনবরত পুনরাবৃত্তি করতে থাকেন) বাক্যংশের সঙ্গে যুক্ত করে শেষ করেছিলেন, ‘ফা-হিম ইয়া আদা!’ এসময় বালক আনমনেই জিজ্ঞেস করতে থাকে যে, ‘এই আদাঅ’টা কী? এরপর শেষতক যখন তারা দরস থেকে বেরিয়ে আসে তখন সে তার ভাইকে জিজ্ঞেস করে, ‘আদাঅ’ মানে কী?’ ভাই তখন হাসিতে ফেটে পড়ে বলে, ‘শায়খের ভাষায় ‘আল-আদাঅ’ হলো ‘আলজাদাঅ’ মানে : সাথী। এরপর সে তাকে আল-আযহারে নিয়ে যায় এবং তার শিক্ষকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। যিনি তাকে পুরো বছর ফিকহ’ ও ‘নাহু’ শাস্ত্রের নীতিমালা সম্বন্ধে তালিম দেন।
.
* ইবনে আবেদিন : হানাফি মাজহাবের অনুসারী জগদ্বিখ্যাত এই মুসলিম পন্ডিতের পুরো নাম, মুহাম্মাদ আমিন বিন ওমর বিন আবদিল আজিজ আবিদিন আল-দামিশকি।ওসমানী শাসনামলে দামেস্কে বসবাসরত ইসলামি আইনবিদদের অন্যতম তিনি। ইসলামি আইনশাস্ত্রের উপর রচিত তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘রাদ্দুল মুহতার আলাদ্ দুররিল মুখতার।’ মহান এই মনিষীর জন্ম ১৭৮৪, সিরিয়া, দামেশক; মৃত্যু ১৮৩৬, সিরিয়া, দামেশক।
* ফা-হিম ইয়া আদা : মানে, প্রশ্ন করা যে, তুমি কি বুঝতে পেরেছ? অবশ্য কখনও কখনও এটি ‘সাবাশ’ বা ‘ভালো মানুষ’ অর্থেও ব্যবহৃত হয়।