Author Picture

দরিদ্র হওয়া অপরাধ হলেও, ‘ছোটলোকিতা’ গর্বের

রেজাউল করিম রনি

এই দেশের মানুষের জন্য শিরোনামের কথাটি বুঝতে খুব একটা জটিল হওয়ার কথা না। তার পরেও গরীব বা দরিদ্র হওয়া আর ‘ছোটলোক’ হওয়ার মধ্যে যে পার্থক্যটা রয়েছে, সেই বিষয়ে একটু কিছু বলা যায়। আমরা সবাই কম বেশি জানি, দরিদ্রতা একটা নিষ্ঠুর অবস্থা। প্রতিনিয়ত এই নিষ্ঠুরতার সাথে লড়াই করে মানুষকে বাঁচতে হয়। কিন্তু মুশকিল হলো এই গরীবি থেকে বাঁচার চেষ্টা করতে গিয়ে দরিদ্রতার সবরকম নিষ্ঠুর আচরণ সে নিজের অজান্তেই ধারণ ও চর্চা করতে শুরু করে।

বিশ্বব্যবস্থা যে প্রক্রিয়ায় চলছে তাতে দরিদ্রতার নিরন্তন উৎপাদন যেমন জারি আছে একইসাথে এই দরিদ্রতার ভয়ে থাকতে থাকতে যে অবস্থা তৈরি হয় সে অবস্থাটাকেই এক ধরণের ছোটলোকি ব্যবস্থা বলা যায়। যুদ্ধ, মহামারি, দুর্ভিক্ষ বা কোন বিপদের দিন ছাড়াও সব সময়ই এই ব্যবস্থা সক্রিয় রাখা হয়। প্রতিযোগিতা, দেখানোপনা, ক্ষমতার দম্ভ, ভোগের দৌড় ইত্যাদি বিভিন্ন রিপুর কালচারাইজেশন প্রক্রিয়ার ফলে এই ছোটলোকিতাই হয়ে ওঠে খুব গর্বের বিষয়।

এই যে ভয়, এটা থেকে দরিদ্রকে সবসময় প্রকাশ্যে ঘৃণা করতে না পারলেও দরিদ্রতাকে আমরা সবাই খুব ঘৃণা করি। এবং এই ঘৃণাটা চর্চার জন্য কিছু গর্বের বিষয় আমরা চালু করেছি নিজেদের মধ্যে। বিভিন্ন রকম গর্বের সম্মিলনে আপনি দারিদ্র অবস্থা থেকে নিজেকে উত্তরণের চেষ্টা করেন। কিন্তু এই যে গর্ব এই বিষয়টা পুরোটাই মিথ্যে। শিক্ষা, দক্ষতা, বংশ ইত্যাদি যা যা গর্ব আছে সব মিথ্যা। মনে রাখতে হবে, প্রত্যেকটি গর্বই মিথ্যা। মরণশীল মানুষের কোন কিছু নিয়ে গর্ব করার কিছু নাই। Every pride is a lie. গর্বের প্রতিটি মিথ্যার পরতে পরতে থাকে ছোটলোকিতার শিল্পিত ছোঁয়া। এবং এই ছোটলোকিতাই, এই ফকিন্নিপনাই তখন জন-সমাজে হাজির হয় গৌরবের বিষয় আকারে। ভোগের বাজারের দৌঁড়ে যে যত এগিয়ে সে ততো গর্বিত ছোটলোক।

বিশ্বব্যবস্থা যে প্রক্রিয়ায় চলছে তাতে দরিদ্রতার নিরন্তন উৎপাদন যেমন জারি আছে একইসাথে এই দরিদ্রতার ভয়ে থাকতে থাকতে যে অবস্থা তৈরি হয় সে অবস্থাটাকেই এক ধরণের ছোটলোকি ব্যবস্থা বলা যায়

কিন্তু এই ছোটলোকিকে চিহ্নিত করা খুব সহজ নয়। এটা অনেক সময় ভদ্রতা, মার্জিত আচরণ, খুব সংস্কৃতিবান, খুব শিক্ষিতগিরি ইত্যাদি নানান প্রক্রিয়ায় আমাদের মাঝে চর্চার পরিসর তৈরি করে। আমরা ধরেই নেই একটা লোক ‘শিক্ষিত’ মানে বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়েছে মানেই সে আর শ্রমিক হবে না, কৃষক হবে না। সে এখন অন্যের শ্রমের ফসল ভোগ করার অধিকার পেয়ে গেছে। ফলে শিক্ষা/বুদ্ধি/চালাকি ইত্যাদি যখন থেকে জীবিকার বাহন হয়েছে তখন থেকে ছোটলোকির কালচারাইজেশন বা সংস্কৃতিকরণ শুরু হয়েছে। তাই আজও এই সভ্যতার চরম মাত্রায় পৌঁছেও বিপুল মানুষের জীবনে এই নিষ্ঠুর দরিদ্রতা বা গরীবির জন্য মূলত দায়ী দেখা যাবে এই ছোটলোকি সংস্কৃতিই। এই ছোটলোকগুলো যেহেতু একটা অন্যায় ব্যবস্থাকে সুসভ্য ও সহনীয় করতে কাজ করে, ফলে এই ছোটলোকিতাকে একটা প্রতিযোগিতা ও গর্বের বিষয়ে পরিণত করতে হয়। মানুষকে সমাজে, রাষ্ট্রে পেশার ভিত্তিতে এক একজনকে এক এক রকম ভাবে মূল্যায়নের প্রক্রিয়া জারি হয়। এতে দরিদ্রকে আরও দরিদ্র রাখার প্রক্রিয়া যেমন সচল থাকে তেমনই এই সচল প্রক্রিয়া থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য ব্যক্তি মানুষ ছোটলোকির যে বিপুল গর্বিত সংস্কৃতি জারি আছে তার কাছে আশ্রয় নেয়। মানে সে দাসের চেয়ে দাস ও জালেমের গোলামিতে মজে থেকে নিজেকে সফল করতে সদা তৎপর থাকে।
পুঁজিবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র কোন তন্ত্রে-মন্ত্রে এই অবস্থার কোন হেরফের হয় না। কারণ বিষয়টি কেবল অর্থনীতিবাদী দিক থেকে দেখার ফলে আমরা ভুলে যাই যে, দর্শনে অর্থনীতিকে একটি (বিভেবিয়ার-সাইন্স) আরচণগত বিয়ষ হিসেবে দেখা হয়। এটা মানুষের আচরণেকে প্রভাবিত করে। অনেক সময় নির্ধারণও করে। ফলে আমাদের চিন্তা করতে হবে সেইসব বিষয় নিয়ে যা মানুষকে মানুষ করে তোলে।

দরিদ্রতার ব্যাপারটি আমরা কমবেশি যার যার জায়গা থেকে বুঝি। কিন্তু ছোটলোকিতা জিনিসটা এতো সহজে বুঝতে পারা যায় না। আমি জীবনে এমন অল্প কিছু মানুষ দেখেছি যারা নিজের ইচ্ছায় দরিদ্রতাকে মেনে নিয়েছেন। কিন্তু তাদের জীবনে সমৃদ্ধির কোন সংকট ছিল না। তারা কোন ভাবেই ছোটলোকিতার কাছে নিজেকে সমর্পন করেননি।
সমাজের বেশির ভাগ মানুষ আসলে দরিদ্র না। বেশির ভাগ মানুষ ছোটলোক। এই ছোটলোক হলো, দস্তেভয়েস্কির ‘poor people’। যে অবস্থা বস্তুগত সম্পদের সাথে সম্পর্কিত তা যে কোন সময় পরির্বতন হতে পারে। আজ ধনী কাল গরীব হতে পারেন । আজ গরীব কাল ধনী হতে পারেন। আপনার নগদ কোন অর্থ নেই। আপনার সব সম্পত্তি সরকারী বা রাষ্ট্র দখল করে নিয়েছে আপনি তার বিরোধী হওয়ার জন্য। ফলে আপনি আজ দরিদ্র। কিন্তু কাল এটা দূর হয়ে যেতে পারে। এই শাসনের পতন হলেই আপনি ধনী হয়ে যাতে পারছেন। কিন্তু আপনি যদি ছোটলোক বা poor people হোন তাইলে আপনার অবস্থা যাই হোক আপনার কোন পরির্বতন হবে না। আপনার কোন মুক্তি ঘটবে না।

আপনি মনে করতে পারেন যখন পেটে খিদা থাকে তখন এইসব নীতি- নৈতিকতার, এইসব মানসিক উচ্চতার গল্পের কোন মানে থাকে না। কিন্তু ব্যাপারটা হলো ঠিক উল্টা। যখন আপনি চরমভাবে দরিদ্র তখই আপনার আসল পরীক্ষা শুরু হয়। তখনই এগুলার মানে তৈরি হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়

দস্তেভয়েস্কি তার তরুণ বয়সে লেখা পত্র উপন্যাস ‘poor people’ -এ poor বলতে দুনিয়াতে সম্পদের অভাবে দরিদ্রদের শুধু বুঝায় নাই। দস্তেভয়েস্কি এখানে ‘পোর’/ দরিদ্ররা বলতে, মানসিক, আধ্যাত্মিক, নৈতিক দিকে থেকে দরিদ্রদের বুঝিয়েছেন। রাশিয়ান এডজেক্টিভ bedny বলতে আসলে এটাই বোঝায়। শব্দটির ইংরেজি অনুবাদে poor ব্যবহার হলেও এই দারিদ্রতার অর্থ শুধু বস্তুগত অভাব বুঝাতে দস্তেভয়েস্কি ব্যবহার করেনি। আপনি মনে করতে পারেন যখন পেটে খিদা থাকে তখন এইসব নীতি- নৈতিকতার, এইসব মানসিক উচ্চতার গল্পের কোন মানে থাকে না। কিন্তু ব্যাপারটা হলো ঠিক উল্টা। যখন আপনি চরমভাবে দরিদ্র তখই আপনার আসল পরীক্ষা শুরু হয়। তখনই এগুলার মানে তৈরি হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। দস্তেভয়েস্কির উপন্যাসে এটার খুব সুন্দর উপস্থাপনা আছে। দরিদ্রতার সেন্টিমেন্টাল গল্প বলে সমাজের ধনীদের কাছ থেকে করুণা পাওয়ার যে প্রবণতা এটা গরীবকে অভাব মুক্ত করলেও তাকে ঠিক ‘poor people’ হওয়া থেকে দূরে রাখতে পারে না। তাই বিষয়টিকে খুব হাল্কাভাবে দেখার সুযোগ নেই। সেন্টিমেন্টাল বা ইমোশনাল দিক থেকেও দেখার দরকার নাই। দস্তেভয়েস্কির উপন্যাসের চরিত্র (যে নিজেও একজন লেখক, উপন্যাসে যার নাম-Ratazyayev) বলতেছিল, What does honor matter? When you’ve nothing to eat.? যখন তোমার খাবার কোন কিছু নাই তখন সম্মান আসলে কী কাজে লাগে?
এই কথা শুনলে আমরা খুব সহজেই আবেগ তাড়িত হয়ে সর্বনাশটা করে ফেলবো এই খিদার পক্ষে সেন্টিমেন্টাল মানবিকতা প্রদর্শন করতে গিয়ে। এই খিদার বা ক্ষুদার যন্ত্রণা পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণীর আছে। ফলে যখন আপনি এটাকে কেন্দ্রে রেখে বাকি সব কিছু বিচার করেন তখন আপনি পশুর পরিমণ্ডলে আছেন। মানুষের পরিমণ্ডলে কিভাবে যাবেন? সেটার একটা অতি চমৎকার পথ ওপরের কথা জবাবে দস্তেভয়েস্কি দেখিয়ে দিচ্ছেন। যখন একটি চরিত্র এই যুক্তি দিচ্ছিল খাওয়ার কিছু না থাকলে সম্মান/আত্মসম্মান দিয়ে কি হয়। হোয়াট ডাজ অনার মেটার? কোন বিলম্ব না করে। কোন দ্বিধা না করে মহান লেখক উত্তরে বলেন, “It matters a great deal.”

আমরা খুব সহজেই আবেগ তাড়িত হয়ে সর্বনাশটা করে ফেলবো এই খিদার পক্ষে সেন্টিমেন্টাল মানবিকতা প্রদর্শন করতে গিয়ে। এই খিদার বা ক্ষুদার যন্ত্রণা পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণীর আছে। ফলে যখন আপনি এটাকে কেন্দ্রে রেখে বাকি সব কিছু বিচার করেন তখন আপনি পশুর পরিমণ্ডলে আছেন

কিছু কি বুঝতে পারা গেল? উপরে যেটা বলছিলাম সেটা একটু খেয়াল করে দেখুন, বুঝতে সহজ হবে। আপনি খিদার যুক্তিতে আটকে থাকলে পশুর স্তরেই থাকছেন। কিন্তু মানুষ তো পশুর মতো খাওয়া, পরা আর মরার জন্য আসে নাই। যখন আপনার কোন খাবার নাই তখনও যদি আপনি মনে করেন, আত্মসম্মান আসলে কি মেটার করে/কাজে লাগে?
ফলে দস্তেভয়েস্কি বলতেছেন, এটা একটা বিশাল পরিসরের দিকে তোমাকে নিয়ে যায়। একটা গ্রেট ডিল/বিষয়ের দিকে নিয়ে যায় তখন মানুষকে। এতো গ্রেটসেই ডিল বা এতোই মহান সেই ডিল বা বিষয় বা চুক্তি বা প্রক্রিয়া যার কাছে খিদা, মৃত্যু সব তুচ্ছ।

ফলে যারা প্রয়োজনের লজিক দিয়ে দরিদ্রতার সেন্টিমেন্টকে মানবিক করে তোলেন এবং ছোটলোকিকে স্বাভাবিকীকরণ করার মধ্য দিয়ে এই বেইনসাফির প্রক্রিয়া জারি রাখেন এরা মূলত মানুষকে পশুর স্তরের বাইরে ভাবতে পারে না। সেই গ্রেটনেস অর্জনের দিকে মানুষ যে যেতে পারে যেখানে সে খাবার না থাকার পরেও আত্ম-মর্যাদা ও সম্মানের জন্য একচুলও ছাড় দেয় না। তখন আসলে তাতে দরিদ্র রাখার যে নিয়মমান্ত্রিক প্রক্রিয়া চালু রয়েছে এটাই কলাপ্স করবে। ভেস্তে যাবে। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই সেই গ্রেট ডিলকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত নয়। এতে সে হয়তো প্রচণ্ড কষ্ট ও অত্যাচারের মধ্যে দিয়ে যায় কিন্তু সে অর্জন করেই সেই গ্রেট ডিল। সেই মহত্তম মহিমার বিষয় যা কোন পশু অর্জন করতে পারে না। ক্ষুধার জগতে মানুষ ও পশুর মধ্যে পার্থক্যটা এতো পরিষ্কার হয়ে ওঠে যে, ব্যক্তি মানুষ সহজেই অর্জন করে তার মানুষ ও পশু হওয়ার পার্থক্যসূত্র। সে পশুতোষ বস্তুর আবেগ ও বিভ্রমের বাইরে পরম ও মানুষের মহান লক্ষ্যের দিকে নিজেকে চালিত করার পথের দিশা পায়। ফলে পেটে ক্ষিধা নিয়েও যে আত্মসম্মান বিসর্জন দেয় না। যে আত্মপ্রতারণা করে না তাকে দরিদ্র বলা খুবই কৌতুককর। তারপরেও সে দরিদ্র হলেও, ছোটলোক কোনোদিন সেই মহান দরিদ্রতার সুখের দেখা পাওয়া তো দূরের কথা মানুষ না হয়েই মরে যায়। ধনি বা সম্পদশালী হওয়ার চেয়ে মানুষ হয়ে বাঁচা ও মারার গৌরব দুনিয়ার সব সম্পদের চেয়ে মূল্যবান।

আরো পড়তে পারেন

বাঙালি মনীষীদের চা প্রীতি-অপ্রীতি

প্রাথমিক পর্যায়ে ভারতবর্ষে চায়ের বিপণন ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। ক্রেতাদের চামুখী করার জন্য কোম্পানিগুলোর নানামুখী তৎপরতা ছিল উল্লেখ করার মতো। তারা এ কাজে বাহারি বিজ্ঞাপন ছাড়াও নানাবিধ বিনিয়োগের মাধ্যমে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের মানুষদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করত। তবে শুরুতে চরম প্রতিকূল পরিবেশের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাদের। বৈরী এ পরিবেশ তৈরিতে সর্বতো সহযোগিতা ছিল যার, তিনি হলেন প্রখ্যাত….

ইয়ে থেকে বিয়ে

জগতের বেশিরভাগ বিয়ে প্রথমে হয় দুটো পরিবারের মধ্যে। তারপর সর্ম্পক হয় দুটো মানুষে। এটাকেই লোকে এখন বলে এরেঞ্জড ম্যারেজ। আদি কাল থেকেই এটা হয়ে আসছিল, এখনও বেশিরভাগ বিয়েগুলো পারিবারিক সম্মতি ও সর্ম্পকে হয়। বিয়েতে সর্ম্পক হয় না, সর্ম্পক গড়ে। প্রেমে সর্ম্পক গড়ে ওঠে। আধুনিক প্রেমের বিয়ে যতটা সিনেমা গল্পে হয়, বাস্তবে ঠিক ততটা নয়।  বিয়ের….

আর্কটিক থেকে উপসাগর পর্যন্ত: কানাডা ও বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিপূর্ণ হুমকি

এটি শুধু একটি ভৌগলিক বা স্থানিক ব্যাপ্তির  বর্ণনা নয় , যা আর্কটিক অঞ্চল থেকে উপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ভ্রমণ বা পরিসরের পরামর্শ দেয়। আর্কটিক বলতে পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তরের অংশকে বোঝায়, যা আর্কটিক মহাসাগর এবং আশেপাশের ল্যান্ডস্ক্যাপ জুড়ে রয়েছে। অন্যদিকে উপসাগর জলের শুধু একটি অংশ নয় যা ভূমি দ্বারা আংশিকভাবে ঘেরা ও একটি প্রশস্ত মুখ দিয়ে সামনে….

error: Content is protected !!