কি ভেবে পাঠালে চিঠিখানি,
কি কথা ছিল যে মনে।
তুমি সে কি লিখে গেলে,
আমি বসে বসে পড়ি
নিয়ে কম্পিত হৃদয়খানি,
তুমি আছো দূর ভুবনে।

আমি তখন এক বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার হিসাবে চাকরি শুরু করেছি। রঙিন খামে একটা চিঠি পেলাম। খামের উপরে মেয়েলি হাতে আমার নাম-ঠিকানা লেখা। খামের ভিতরে আরেকটি রঙিন কাগজের চিঠি, সাথে গোলাপ ফুলের পাপড়ি। চিঠির চারিদিকে কয়েকটি হৃৎপিণ্ডের ছবি আঁকা। একটি হৃৎপিণ্ডে তীর বিঁধে আছে, ক্ষতস্থান থেকে লাল রঙের রক্ত ঝরেছে।

চিঠির চারিদিকে কয়েকটি হৃৎপিণ্ডের ছবি আঁকা। একটি হৃৎপিণ্ডে তীর বিঁধে আছে, ক্ষতস্থান থেকে লাল রঙের রক্ত ঝরেছে

চিটিজুড়ে উচ্ছ্বাস এবং বানানভুলের ছড়াছড়ি, বিষয়বস্তু চিরকালীন, তবে প্রেমের চিঠি হিসাবে চিঠির শুরু এবং সমাপ্তিটা ছিল অভিনব:
‘সবিনয় নিবেদন’ এবং ‘ইতি, আপনার একান্ত ব্যাধ্যগত ছাত্রী।’
চিঠিতে প্রেরকের কোনো নাম-ঠিকানা ছিল না, তাই এই ‘বাধ্যগত ছাত্রীটি’ কে তা চিরদিনের জন্যে অজানাই রয়ে গেল।

আরো পড়তে পারেন

শেষ বিকেলের অতিথি

আজ চন্দ্রার কথা মনে পড়তেই ছল ছল চোখে অশ্রুবিন্দু ঝড়ছে। তার অভিমানের শেষ আকুতি মনের মধ্যে বারবার ধাক্কা দেয়। তার প্রস্থান শেষ পর্যন্ত এতো কঠিন হবে বুঝতে পারিনি। আগেও চন্দ্রার সাথে হয়েছে অভিমানের খুনসুটি। নিজেকে মেঘের আড়ালে ঢাকতে চেয়েছে, কিন্তু সে মানাভিমান ক্ষণিকেই ইতি ঘটে গেছে। জোছনা হয়ে সে ধরা দিয়েছে। খুব ছোট্ট বিষয় নিয়ে….

স্মৃতি এখন কী করবে

জেলখানা থেকে বেরিয়ে স্মৃতি বাসে চড়ে বসে। সঙ্গে ওর মেয়ে ফাতেমা। বেশিক্ষণ কথা বলতে পারেনি হায়দারের সঙ্গে। শুধুই চোখ বেয়ে পানি পড়েছে। ফাতেমাও ওর বাবাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছে। আর হয়তো দেখা হবে না বাবার সঙ্গে। হায়দারের চোখও ভেজা ছিল। আজই হয়তো ওদের শেষ দেখা। হায়দার বারবার স্মৃতির হাত ধরে অনুরোধ করেছে ওকে ক্ষমা করে দিতে।….

ইন্টারভিউ

কত দিন পর দেখা হলো রূপার সঙ্গে। তা মনে করতে পারছি না। চোখে চোখ পড়তেই কিছুটা থমকে গেলাম। চিন চিন করে উঠল বুকের ভেতর। ভেতর-বাইর শুরু হলো জ্বলন-পোড়ন। কথা বলব কি-না তা বুঝে ওঠার আগেই সে এলো এগিয়ে। আমাকে বলল, সায়েম তুমি এখানে? আমার ইন্টারভিউ আজ। তোমারও কি তাই? হ্যাঁ। আমারও তাই। কেমন আছ তুমি?….

error: Content is protected !!