
কি ভেবে পাঠালে চিঠিখানি,
কি কথা ছিল যে মনে।
তুমি সে কি লিখে গেলে,
আমি বসে বসে পড়ি
নিয়ে কম্পিত হৃদয়খানি,
তুমি আছো দূর ভুবনে।
আমি তখন এক বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার হিসাবে চাকরি শুরু করেছি। রঙিন খামে একটা চিঠি পেলাম। খামের উপরে মেয়েলি হাতে আমার নাম-ঠিকানা লেখা। খামের ভিতরে আরেকটি রঙিন কাগজের চিঠি, সাথে গোলাপ ফুলের পাপড়ি। চিঠির চারিদিকে কয়েকটি হৃৎপিণ্ডের ছবি আঁকা। একটি হৃৎপিণ্ডে তীর বিঁধে আছে, ক্ষতস্থান থেকে লাল রঙের রক্ত ঝরেছে।
চিঠির চারিদিকে কয়েকটি হৃৎপিণ্ডের ছবি আঁকা। একটি হৃৎপিণ্ডে তীর বিঁধে আছে, ক্ষতস্থান থেকে লাল রঙের রক্ত ঝরেছে
চিটিজুড়ে উচ্ছ্বাস এবং বানানভুলের ছড়াছড়ি, বিষয়বস্তু চিরকালীন, তবে প্রেমের চিঠি হিসাবে চিঠির শুরু এবং সমাপ্তিটা ছিল অভিনব:
‘সবিনয় নিবেদন’ এবং ‘ইতি, আপনার একান্ত ব্যাধ্যগত ছাত্রী।’
চিঠিতে প্রেরকের কোনো নাম-ঠিকানা ছিল না, তাই এই ‘বাধ্যগত ছাত্রীটি’ কে তা চিরদিনের জন্যে অজানাই রয়ে গেল।