Author Picture

মইনুল ইসলামের টুকরো কবিতা

মইনুল ইসলাম

বৃষ্টি আর মিষ্টি
~
এই ভেজা ডালটাতে যে পাখিটা এসে বসে
ওর নাম বৃষ্টি,
এই ভেজা চুলে যে মেয়েটি দাড়ায় কাছে এসে
ওর নাম মিষ্টি,
এই বৃষ্টি আর মিষ্টিকে নিয়েই আমার মনে
যতোসব অনাসৃষ্টি।


বয়সকাল
~
আমার যখন বয়স হলো
সেই সাথে তোমারও হলো,
আমি যখন কচি লেবু পাতার ঘ্রানে মাতাল হলাম—
সেই রোগ তোমাকেও ধরলো,
তারপর আমাদের মাঝে কত কি যে হয়ে গেল!


কে জানতো
~
কে জানতো তোমাতে আমাতে এইখানে দেখা হবে?
কে জানতো এই দেখা দিনে দিনে এমন প্রগাঢ় হবে?
কে জানতো একদিন আমি সিগারেটের মত পুড়েঁ পুঁড়ে নিঃশেষ হবো—
তুমি কিঙ্করী সেজে কোন অচেনার ঘরে বাসর সাজাবে?


ভালবাসা
~
সীমা নেই, কোন পরিসীমা নেই
বোঝার সাধ্য নেই কারো,
চেয়ে দেখো ওই আকাশটাকে—
ভালবাসার মাপকাঠি দিয়ে কি তাকে মাপতে পারো?

আরো পড়তে পারেন

গাজী গিয়াস উদ্দিনের একগুচ্ছ কবিতা

বীভৎস খেলা নগরে বাতাসে মথিত জনস্রোতের কোলাহলে শুনতে পেয়েছি সারিগান গঞ্জের হাটে আকাঙ্খার গভীরে মন্দ্রিত অভিন্ন প্রাণ নীরব দর্শক ছিলাম ব্যর্থতার করুণ গান ফেরার মহড়ায় বঞ্চিত কুঁড়েঘরে সরাইখানার- শুঁড়িখানার মাছিরাও নেশায় বুদ্বুদ প্রকম্পিত কান্নার পর একদিন হাসির তিলকরেখা বিচ্ছুরিত শৈশবের ক্ষুধার্ত চিৎকার ক্রর হাসি চেপে মৃত্যু পরোয়ানা ঝুলে ভাগ্য প্রহসনে যুদ্ধের ব্যগ্র দামামা থেমে গেলো-….

তোফায়েল তফাজ্জলের একগুচ্ছ কবিতা

উপায় অবলম্বন কাঁটা থেকে,  সুচালো কাঁকর থেকে পা রাখিও দূরে, জায়গা না পাক চলন-বাঁকা চেতনায় উড়ে এসে বসতে জুড়ে; এসবে খরগোশ কানে থাকবে রাতে, পড়ন্ত বেলায়, দ্বিপ্রহরে, পূর্বাহ্নে বা কাক ডাকা ভোরে। দুর্গন্ধ ছড়ানো  মুখ ও পায়ের তৎপরতা থেকে গ্রীষ্ম থেকে সমস্ত ঋতুতে একে একে নেবে মুখটা ফিরিয়ে তিলার্ধকালও না জিরিয়ে। কেননা, এদের চরিত্রের শাখা-প্রশাখায়….

আহমেদ ফরিদের একগুচ্ছ কবিতা

তোমার সাথে দেখা হওয়া জরুরী নয় সেদিন তুমি আমাকের ডেকে বললে, ”আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি ঝরছে এসো চা খেয়ে যাও ঝাল মুড়ি, পেঁয়াজ ভেজে দেবো সঙ্গে কাঁচালংকাও থাকবে। দুজনে চা খাব, মুড়ি খাব, আর গল্প করবো।’ আমি বললাম, ’না, আমি যাবো না । আমি আমার জানালায় বসে আকাশ দেখছি, বৃষ্টি দেখছি, আকাশের কান্না দেখছি, গাছেদের নুয়ে….

error: Content is protected !!