Author Picture

পরিবেশ পুরস্কারের ভালো-মন্দ

মোহাম্মদ আরজু

আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশের সরকারগুলো পরিবেশ রক্ষায় কাজ করছে কেমন? জবাব হচ্ছে, করছে না, যা করছে তা খুবই সামান্য। ‘এনভায়রনমেন্টাল পারফরম্যান্স ইনডেক্স’ গবেষণার গত ২০১৮ সালে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেল পরিবেশগত ঝুঁকি কমাতে তৎপর রাষ্ট্রগুলোর তালিকায় ভারতীয় উপমহাদেশের রাষ্ট্রগুলোর অবস্থান একদম নিচের দিকে। গবেষণার নানা সূচক মিলে মোট ১০০ মার্কসের মধ্যে বাংলাদেশ, নেপাল ও ইন্ডিয়া তো ‘পাস মার্কস’ই পায় নাই; বরং মাত্র ২৯.৫৬ মার্কস পেয়ে বাংলাদেশ মোট ১৮০ দেশের তালিকায় নিচের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। পাকিস্তান কোনো রকমে পাস করে ৩৭.৫০ মার্কস নিয়ে ১৬৯তম অবস্থানে আছে, ভুটানের অবস্থান মোটামুটি, প্রায় অর্ধশত মার্কস পেয়ে তালিকার নিচের দিকে আছে।
দূষণ কমানো, বিশেষ করে বাতাস আর পানি বিষমুক্ত করা, পরিবেশের প্রাণশক্তি ও সজীবতা ফিরিয়ে আনা, প্রাণবৈচিত্র্যের সুরক্ষা, তেল-গ্যাস-কয়লা পোড়ানো কমিয়ে আনা, জল-জঙ্গলসহ পশু-পাখি-কীটপতঙ্গের বসতি ফিরিয়ে আনা ইত্যাদি সব সূচক যাচাই করে এই গবেষণাটি করা হয়। পরিবেশের এসব সূচকেই দেখা যায় ভারতীয় উপমহাদেশের সরকারগুলোর পারফরম্যান্স তামাম দুনিয়ার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ, ফলে আমাদের এই অঞ্চলে পরিবেশ, প্রাণবৈচিত্র্য ও জনস্বাস্থ্যের বেহাল অবস্থা।
কিন্তু অবাক করার মতো ব্যাপার হচ্ছে, ওই ২০১৮ সালেই ইন্ডিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী এক বিরাট পুরস্কার পেয়েছিলেন পরিবেশ রক্ষায় অবদান রাখার জন্য, পরিবেশ বিষয়ে জাতিসংঘের সবচেয়ে বড় পুরস্কার; চ্যাম্পিয়নস অব দি আর্থ। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীকেও এই পুরস্কারটি দিয়েছিল জাতিসংঘ। ওদিকে, ওই বছরে প্রকাশিত ‘এনভায়রনমেন্টাল পারফরম্যান্স ইনডেক্স’ গবেষণায় বাংলাদেশ পেয়েছিল আরো কম; মাত্র ২৫.৬১ মার্কস।
এর আগের বছর ২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডসের একজন তরুণ উদ্যোক্তাকেও এই পুরস্কার দিয়েছিল জাতিসংঘ; যিনি সাগর থেকে বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য ‘ওশেন ক্লিনআপ’ নামে শত লাখ ডলারের একটা যান্ত্রিক প্রকল্প তৈরির জন্য কাজ করছিলেন। অথচ সাগর বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানীরা প্রমাণ দেখিয়ে আসছিলেন যে এই যন্ত্র খুবই অবৈজ্ঞানিকভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, এই যন্ত্র কাজ করবে না, উল্টা সাগরের পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্যের ক্ষতি করবে। হয়েছেও তাই, আজ পর্যন্ত ওই যন্ত্র কোনো কাজ করে নাই, বরং নিজেই বিকল হয়ে গেছে প্রশান্ত মহাসাগরে, বিজ্ঞানীরা বলছেন এই যন্ত্র মাছসহ সাগরের প্রাণী মেরে চলবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পরিবেশের সবচেয়ে বড় ঝুঁকিগুলো এড়াতে প্রায় কোনো কাজই না করার পরও পরিবেশ সুরক্ষায় পারফরম্যান্সের এমন অবস্থা হওয়ার পরও সেসব সরকারকে কেন জাতিসংঘ তার সবচেয়ে বড় পরিবেশ পুরস্কারটি দেয়। কিংবা পরিবেশ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানীদের তথ্যপ্রমাণের বাইরে গিয়ে একজন উদ্যোক্তাকে কেন জাতিসংঘ তার শীর্ষ পরিবেশ পুরস্কার দেয়? এভাবে পুরস্কার বিলিবণ্টন ও গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে পরিবেশের কি ভালো হচ্ছে? নাকি মন্দ হচ্ছে? পুরস্কারের কী কী ভালো-মন্দ হতে পারে পরিবেশগত ক্ষেত্রগুলোতে?
অনেকে তো বলেন, রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্তা, কিংবা উদ্যোক্তা তো দূরের কথা, বিশেষজ্ঞ-বিজ্ঞানীদেরও এভাবে পুরস্কার দিলে তাতে ভালোর চেয়ে মন্দ দিক বেশি। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী একজন বিজ্ঞানীকে ২০১৮ সালে জার্মান মিডিয়া প্রতিষ্ঠান ডয়েচে ভেলের একজন সিনিয়র সম্পাদক জুলফিকার আব্বানি এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। জার্মান ওই পদার্থবিজ্ঞানী কার্স্টেন ডাঞ্জমান বলেন, ‘লোকেরা নায়ক চায়।’
মাধ্যাকর্ষণীয় ঢেউ বিষয়ে গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতিতে অবদান রেখেছেন, এমন তিনজন বিজ্ঞানীকে ২০১৭ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়। যদিও ওই গবেষণাটি ছিল বিরাট এক আয়োজনের কাজ এবং ওই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন হাজারেরও বেশি বিজ্ঞানীর একটি দল, ডাঞ্জমান নিজেও ওই গবেষণার একজন শীর্ষ বিজ্ঞানী। কিন্তু নোবেলের নিয়ম অনুসারে পদার্থবিজ্ঞানে এই পুরস্কার একই বছর সর্বোচ্চ তিনজনকে দেয়া যায়।
আব্বানিকে এই প্রসঙ্গে ডাঞ্জমান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কাজ অনেকেই করেন বিজ্ঞানের নানা শাখায়, কিন্তু পুরস্কার তো আর সবাইকে দেয়া যায় না, এই সীমাবদ্ধতা মেনে নিয়েও বলতে হয়, সমাজে এসব পুরস্কারের অনেক প্রভাব আছে। ডাঞ্জমানের বক্তব্য থেকে মনে হয়, একজন বিজ্ঞানী পুরস্কার পাওয়ার ফলে ওই বিষয় নিয়ে মিডিয়ার মাধ্যমে সমাজে যেই প্রচার-প্রচারণা হয়, সেটা অনেক দরকারি।
কিন্তু আব্বানির মতে, এসব পুরস্কার ভালোর চেয়ে মন্দ করে বেশি, তিনি সমস্যা দেখেন পুরস্কারের আরো গভীরে। তার মতে, দুনিয়ায় বিজ্ঞান বিষয়ে এখন বড় যেসব পুরস্কার চালু আছে, সেগুলো কারা কাদের কেন দেয়, সেটা বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, এসব পুরস্কার বরং বিশ্বমানবতার ক্ষতি করছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত করে তিনি ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর ডয়েচে ভেলেতে একটি মন্তব্য লেখেন। আব্বানির মন্তব্য সংক্ষেপে এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করছি-
‘এখন বিজ্ঞানের নানা শাখার জন্য নোবেল ছাড়াও একশর বেশি অন্যান্য বিখ্যাত পুরস্কার আছে। কিন্তু পুরস্কার সেটা নোবেল হোক বা নতুন চালু হওয়া অনেক দামি পুরস্কার হোক সব বিশ্বখ্যাত পুরস্কারের পেছনেই দাতা হিসেবে আছেন পশ্চিমের কিংবা চায়না-জাপানের কোনো ধনকুবের ব্যক্তি বা পরিবার। তারা সবাই নিজেরা নিজেদের একচেটিয়া ব্যবসার স্বার্থটাই আগে দেখেন স্বাভাবিকভাবে। তাদের একটা বড় অংশই প্রযুক্তির একচেটিয়া ব্যবসার মালিক।
ফলে তারা যেসব বিষয়ে গবেষণাকে পুরস্কার দেন, তার প্রায় সবটাই দুনিয়ার বেশিরভাগ মানুষের জন্য কোনো কাজে আসে না, বরং তাদের একচেটিয়া ব্যবসায়ের জন্য নতুন পণ্য ও সেবা তৈরিতে কাজে লাগে। এর আরেকটা বড় বিপদ হলো, এমন পুরস্কারের দিকে তাকিয়ে যদি বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণার বিষয় পছন্দ করতে শুরু করেন, তবে দুনিয়ার নানা প্রান্তের লোকসমাজের জন্য জরুরি সব বিষয়ে গবেষণার বদলে ব্যবসা-পছন্দ গবেষণা করতে শুরু করবেন বিজ্ঞানীরা।’

ফলে তারা যেসব বিষয়ে গবেষণাকে পুরস্কার দেন, তার প্রায় সবটাই দুনিয়ার বেশিরভাগ মানুষের জন্য কোনো কাজে আসে না, বরং তাদের একচেটিয়া ব্যবসায়ের জন্য নতুন পণ্য ও সেবা তৈরিতে কাজে লাগে। এর আরেকটা বড় বিপদ হলো, এমন পুরস্কারের দিকে তাকিয়ে যদি বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণার বিষয় পছন্দ করতে শুরু করেন, তবে দুনিয়ার নানা প্রান্তের লোকসমাজের জন্য জরুরি সব বিষয়ে গবেষণার বদলে ব্যবসা-পছন্দ গবেষণা করতে শুরু করবেন বিজ্ঞানীরা

আমি বলব, আব্বানির এই আশঙ্কা ইতোমধ্যেই বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করেছে। এই যেমন ২০১৪ সালে ‘ওশেন ক্লিনআপ’ যন্ত্রের যেই তরুণ উদ্যোক্তাকে জাতিসংঘ তাদের সর্বোচ্চ পরিবেশ পুরস্কার দিল, সেই ব্যাপারটাই দেখুন। অনেক বিজ্ঞানী বলছেন, এটা কাজ করবে না, এবং বাস্তবে কাজ করেওনি। বিশেষজ্ঞদের মতামত হচ্ছে, সাগরে ইতোমধ্যেই জমা হওয়া বর্জ্য তুলে আনার চেয়েও জরুরি হলো প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা, প্লাস্টিকের যেসব বিকল্প সহজলভ্য আছে দুনিয়ার নানা প্রান্তে, সেসব চালু করা। কিন্তু পুরস্কার ইত্যাদি যেহেতু দেয়া হচ্ছে, সব চমক লাগানো নিত্যনতুন অদ্ভুতুড়ে যন্ত্রপাতিকে, যেসব প্লাস্টিকের বর্জ্য উৎপাদনের গোড়ার সমস্যা কমাতে কোনো কাজেই লাগে না, কিন্তু ক্ষতিকর ব্যবসা বাড়ায়।
এ তো গেল ক্ষতিকর পুরস্কারের কথা। কিন্তু অনেকের মতে পুরস্কার ব্যাপারটা এমনিতেই খারাপ। পরিবেশগত ও সামাজিক ক্ষেত্রের সত্যিকার অর্থে মৌলিক সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য বড় কাজ করার পথে এসব প্রতিযোগিতা-পুরস্কার-পদক-সম্মাননা ইত্যাদি আসলে প্রতিবন্ধকতাই বটে, এমন মত অনেকেরই। এই যেমন উত্তর আমেরিকার একটি বড় দাতব্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালক কেভিন স্টারও এমনটি মনে করেন। তার পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটি পরিবেশ ও জীবিকা ইত্যাদির উন্নতির মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দারিদ্র্য কমানোর লক্ষ্যে কাজ করে।
স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সাময়িকী- স্টানফোর্ড সোশ্যাল ইনোভেশন রিভিউতে ২০১৩ সালে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে তিনি অনেকগুলো যুক্তি দেখান যে, কী কারণে এসব পুরস্কার এড়িয়ে চলা উচিত। তার প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল, ‘ছুড়ে ফেলো পুরস্কার।’ পুরস্কার ছুড়ে ফেলার আহ্বানের পক্ষে তিনি চারটা প্রধান যুক্তি দেখান।

সেন্ট মার্টিনসের কাছে পশ্চিমের সাগরে তোলা ছবি- লেখক।

প্রথমত, পরিবেশ সুরক্ষার কাজ বা সমাজ সুরক্ষার কাজ যারা করেন, ফলপ্রসূ কাজ করতে হলে অনেক সময় দিতে হয় তাদের, তার সঙ্গে তুলনা করলে পুরস্কারের অর্জন খুবই নগণ্য, কিন্তু এসব পুরস্কার পাওয়ার পেছনে অনেক সময় ও শ্রম দিতে হয়, যার পরিণতিতে আসল কাজের ক্ষতি হয়। দ্বিতীয়ত, পুরস্কারদাতারা নিত্যনতুন স্বল্পমেয়াদি চমক চান, দীর্ঘমেয়াদি কিন্তু ফলপ্রসূ কাজকে এসব পুরস্কারের জন্য নির্বাচনই করা হয় না, অথচ সমাজে নিত্যনতুন আইডিয়ার কোনো অভাবই নেই, বরং অভাব হচ্ছে কোনো একটা আইডিয়ার পেছনে লম্বা সময় ধরে নিরলস কাজ করে জগতের ভালো করার মতো প্রতিশ্রুতিশীল ও যোগ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। তৃতীয়ত, পুরস্কার বিতরণের মূল ধারণাটা ও সার্বিক প্রক্রিয়াগুলো এমন হতে বাধ্য যে, সবসময় ভুল মানুষ ও প্রতিষ্ঠানের কাছেই পুরস্কারটা যাবে। স্টারের দেয়া সর্বশেষ যুক্তিটি হলো; এই খাতের আসল সমস্যার থেকে মনোযোগ দূরে সরিয়ে নেয় পুরস্কারগুলো, যেহেতু চমক লাগানো সব প্রকল্পকে পুরস্কার দেয়া হয়, ফলে পাবলিক ও মিডিয়ার মনোযোগ সরে যায় দীর্ঘমেয়াদি-দরকারি ও ফলপ্রসূ কাজগুলোর থেকে।
স্টার এও বলেন, একটা কাজ করলে, একটা প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে সংশ্লিষ্টরা বা সাধারণ মানুষ যে প্রতিক্রিয়া জানাবে বা পর্যালোচনা করবে তার থেকে যত কিছু শিখতে পারে পরিবেশকর্মী বা সমাজকর্মীরা, একটা পুরস্কারের প্রক্রিয়ার মধ্য থেকে শেখার কিছুই নেই। আরেকটা ঘটনা ঘটে, সেটা হলো একবার যাকে পুরস্কার দেয় এক পুরস্কারদাতা এরপর অন্যরাও তাকে পুরস্কার দিতে শুরু করে, যে পায় পেতেই থাকে, সর্বনাশ করে ছাড়ে তার কাজের।

বাংলাদেশ বা ইন্ডিয়ায় তো পুরস্কার ব্যাপারটি পরিবেশগত বা সামাজিক কাজের জন্য মহাসর্বনাশ বয়ে নিয়ে আসছে। যেমন ধরুন, ইন্ডিয়ায় ও বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিবেশ পদক ইত্যাদি দেয়া হয়। অবশ্যই এসব পুরস্কার দেয়ার সিদ্ধান্তের দায়িত্বে থাকে সরকার। এখন ধরুন একজন পরিবেশবাদী বা বিশেষজ্ঞ এই পুরস্কারের জন্য যথানিয়মে আবেদন করলেন, তারপর যত আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়াদি করা লাগে তার সবই করলেন, এরপর রাষ্ট্রীয় পরিবেশ পুরস্কার একটি পেলেন।
এখন আপনাদের কী মনে হয়? যেই দেশে পরিবেশ রক্ষার পারফরম্যান্সে সরকার পাস মার্কস পায় না, সেই দেশে পরিবেশ রক্ষার ব্যাপারটি সরকারকে ব্যাখ্যা করা বা বোঝানোর কাজটি সত্যিকার অর্থে যিনি করেছেন, তিনি কি কখনো এমন একটি পুরস্কারের আবেদন করবেন? করলে পরে পুরস্কারটি পাবেন? কিংবা যারা এমন রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পাবেন, তারা কি সরকারের অপছন্দের দরকারি কথাটি বলতে কিংবা কাজটি করতে যাবেন আর ভবিষ্যতে পরিবেশ রক্ষার জন্য। ভেবে দেখুন।
সরকার নিশ্চয়ই সরকারের কাজটি করবে, সব দেশে সরকারের নানা রকম কর্মসূচি থাকে, কিন্তু পরিবেশকর্মী ও বিশেষজ্ঞদের কাজটি হচ্ছে সত্যিকারের কাজটি, যাতে পরিবেশ সুরক্ষা হয় সেজন্য সরকারকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাজি করানো। কিন্তু সরকারের থেকে পুরস্কার যিনি পান, তিনি ওই দরকারি কাজটি কদ্দূর করেন বা করতে চান সেটি ভেবে দেখুন।

আরো পড়তে পারেন

আর্কটিক থেকে উপসাগর পর্যন্ত: কানাডা ও বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিপূর্ণ হুমকি

এটি শুধু একটি ভৌগলিক বা স্থানিক ব্যাপ্তির  বর্ণনা নয় , যা আর্কটিক অঞ্চল থেকে উপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ভ্রমণ বা পরিসরের পরামর্শ দেয়। আর্কটিক বলতে পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তরের অংশকে বোঝায়, যা আর্কটিক মহাসাগর এবং আশেপাশের ল্যান্ডস্ক্যাপ জুড়ে রয়েছে। অন্যদিকে উপসাগর জলের শুধু একটি অংশ নয় যা ভূমি দ্বারা আংশিকভাবে ঘেরা ও একটি প্রশস্ত মুখ দিয়ে সামনে….

ভালোবাসা প্রতিদিন

প্রতিবারের মতো এবারও আমি রিমান আর রোমান পুরো গ্রামটা পায়ে হেঁটে দেখার প্রস্তুতি নিয়ে বেরিয়েছি। সামনে পরীক্ষা তাই রায়হান সঙ্গে থাকতে পারেনি। বছরের শেষ দিনগুলিতে উত্তর পশ্চিম স্পেনের এই অঞ্চলে আসা এখন আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। মনে হয়, বছর শেষে এখানে আমার সময়বাঁধা আছে। প্রতি বছর পাহাড়বেষ্টিত ছোটো ছোটো গ্রামের সমন্বয়ে এই পরিবেশ আমার মধ্যে….

যব: বিস্ময়কর এক খাদ্য

খ্রিস্টপূর্ব ৪৬০ অব্দে জন্মগ্রহণকারী চিকিৎসাশাস্ত্রের জনক হিপোক্র্যাটীজের স্বাস্থ্য সম্বন্ধে মূলনীতির অন্যতম প্রধান ছিল ’খাদ্য আপনার ঔষধ এবং ঔষধ আপনার খাদ্য হউক’। অধিকাংশ লোক আজকের দিনেও একে ধ্রুব সত্য বলে মনে করেন। সেই বিবেচনায় আমাদের দেশে প্রাচীনকাল থেকে আবাদ করা যবকে একটা অত্যন্ত কার্যকরী ওষুধ বলা যায়। বিশ্বে যবের চাষ করা হচ্ছে ৯৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে। এর….

error: Content is protected !!