Author Picture

একগুচ্ছ কবিতা

কায়সার আহমদ

মুরারীর পোড়া চোখে
.
নিরব নদীর জলে
মানুষেরা ক্ষয়ে যায় ক্ষীণ করুণ রোদে,
সঙ্গম সভ্যতা আর আনন্দের খরস্রোত
শেষ হয় সন্ধ্যায়
মৃত কেয়া গাছে; মেঘ আর জোৎস্নার সাথে
খেলে গর্ভবতী ভাদ্রের কামার্ত কুকুর,
সমুদ্রের নোনা তটে পড়ে আছে—
অস্তিত্ত্বের ভাঙ্গা নৌকা।


জন্মভোর
.
ঘড়ির কাটায় মৃত্যুর কনা!
জন্মভোরে বৃষ্টির ফোটা
পড়েছিল কোনো ডুমুরের গায়ে,
সাপের মত শীতল চাঁদ দেখলে
ভুল মনে হয় নারীর যৌবন।

মেঘের উল্লাস, নদীর নগ্ন খেলা-
স্মৃতির ছাইচাপা জলের আগুনে,
ঘুম ভাঙলেই নিজেকে দেখি
মৃত্যু সন্ধ্যায় হলুদ রোদে।


বাদামী নবান্ন
.
নকশি নেকাব খুলে ফেলো
দেখি তোমার নাচের মুদ্রায়
শব্দের সোনালী রং চমকায় কিনা,
শিশির জড়ানো রাত্রি নেমেছে
ভিজে গেছে ঋতুবতী ঘাসের শরীর;
পাহাড়ে থমকে গেছে হলুদ নিদ্রা।

দেখি তোমার উড়ন্ত নিক্কনের ফাঁকে
বাদামী নবান্ন আসে কিনা।

আরো পড়তে পারেন

আহমেদ ফরিদের একগুচ্ছ কবিতা

তোমার সাথে দেখা হওয়া জরুরী নয় সেদিন তুমি আমাকের ডেকে বললে, ”আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি ঝরছে এসো চা খেয়ে যাও ঝাল মুড়ি, পেঁয়াজ ভেজে দেবো সঙ্গে কাঁচালংকাও থাকবে। দুজনে চা খাব, মুড়ি খাব, আর গল্প করবো।’ আমি বললাম, ’না, আমি যাবো না । আমি আমার জানালায় বসে আকাশ দেখছি, বৃষ্টি দেখছি, আকাশের কান্না দেখছি, গাছেদের নুয়ে….

নিকোলাই রুবৎসভের কবিতা

নিকোলাই মিখাইলোভিচ রুবৎসভ (৩ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ১৯ জানুয়ারি ১৯৭১) মাত্র পঁয়ত্রিশ বছরের জীবন পেয়েছেন রুশ কবি নিকোলাই রুবৎসভ। দুর্ভাগ্য তাঁকে তাড়া করেছে সারাজীবন। শৈশবে মায়ের মৃত্যু ও পিতার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য তাঁর স্থান হয় শিশু আশ্রমে। পড়াশোনা শেষ করার আগেই জীবিকার তাগিদে তাকে খনিতে, জাহাজে কাজ করতে হয়। সৈন্য বাহিনীতে যোগ দেওয়ার….

সোহরাব পাশা’র একগুচ্ছ কবিতা

নিদ্রিত ঘ্রাণের শব্দ দীর্ঘ যায় আশালতা ফিরে আসে বিষণ্ণ গোধূলি ফিরে আসে দুঃখিত সকাল, ক্ষয়ে যাওয়া এক দূরের উপনিবেশ পাখির চেয়ে মানুষের কোলাহল বেশি কোনো মৃত্যু মানুষকে অপরাধী করে না নিঃশ্বাসের রোদে আবছায়া নিদ্রিত মেঘ স্মৃতির অসুখ বাড়ে; দূরে নির্জন আধাঁরে জেগে ছিলো মানুষের কথা পুরনো সে বাড়ি সেই ছায়াপথ মায়াপথ জুড়ে কতো ভুল মানুষের….

error: Content is protected !!