
অস্পৃশ্য
অদৃশ্য এক ঘাতক
অকস্মাৎ কেড়ে নিয়েছে
সব স্পর্শের অধিকার-
শিশুর নরম গাল
বাগানের সুগন্ধি গোলাপ
পার্কের মসৃণ ঘাস
হাতলযুক্ত লোহার বেঞ্চি
বাস ট্রাম রেলগাড়ি
প্রিয় স্কুল উপাসনালয়
সবুজ মলাটে বাঁধা
ভালোবাসার কবিতাগুচ্ছ
… এমনকি তোমাকেও।
বুমেরাং
তোমাকে বিদীর্ণ করবো বলে
বাণে ভরেছি ধনুক
অবাধ্য তীর বুমেরাং হয়ে
ভেদ করে নিজ বুক।
সহজ শর্ত
সহজ শর্তে বাঁচতে চাই
নরম হাতে ছুঁতে চাই সকালের রোদ্দুর
বুক ভরে নিতে চাই কুয়াশার ঘ্রাণ
স্বপ্নগুলো ভেজাতে চাই বৃষ্টিতে।
সহজ শর্তে বাঁচতে চাই
নারীর ঠোঁটে আঁকতে চাই প্রেম
রাঙাতে চাই শিশুর টোলপড়া গাল।
সহজ শর্তে বাঁচতে চাই
শুন্যতায় ধরতে চাই মায়ের আঁচল
হৃদয়ে লিখতে চাই জীবনের গদ্য
মিথ্যেগুলো ভাসাতে চাই মস্ত ফানুসে।
সহজ শর্তে বাঁচতে চাই
রঙিন হাটে কিনতে চাই সাদাকালো মন।
বিদায়বেলা
বসন্তের শেষ বিকেলে
শহরের ব্যস্ত ফুটপাথে
হাঁটছিলাম দুজন।
তোমার রঙিন স্কার্ফ
বাতাসে এলোমেলো-
ছুঁয়ে দিচ্ছিল আমার গা।
অব্যক্ত বাসনা বুকে
শুষে নিচ্ছিলাম
শরীরের সবটুকু ঘ্রাণ।
কামনায় থমকে সময়
কেটে যায় সহস্র কাল
ফুরিয়ে আসে বিকেল।
বিদায়বেলা বিষন্ন কন্ঠে
বলেছিলে, ‘যাই দেব’
আমার প্রতীক্ষা
শুধু আরেক জন্মের।
ঋষি নই
উর্বশী প্রহর গুণে
ভাঙবে ঋষির ধ্যান।
অশোক বন উতলা
ছন্দময় নৃত্যের তান্ডবে
আদিগন্ত মর্ত্য জুড়ে
বহে সুরের মদিরা।
মানবীর বাঁকা ঠোঁটে
নিষিদ্ধ প্রেমের আমন্ত্রণ
নির্জলা যৌবন রসে
বাঁধতে সাধুর মন।
তবু ঋষি অবিচল
সাধনায় নিত্য তার বাস
টলাতে পারেনা তাকে
অপ্সরার হাতছানি।
আমিতো সাধক নই
তপস্যায় করবো পণ
তোমাতে বিলীন হয়ে
কাটাবো এক জীবন।।