
একা একা
ঐ শ্মশানে বেড়ে ওঠা গাছটি
মানুষের দেহাবশেষের ছাই যার বেঁচে থাকার শক্তি
তাঁর পেটেও আছে অজস্র দুর্নীতিবাজের হারাম শরীর
পরোক্ষভাবে সে-ও পেয়েছে দুর্নীতির ভাগ
অথচ, জ্বলে পুড়ে ছাই হয়েছে শুধুই লাশটি
একা একা, একা একা!
বিবর্ণ স্বপ্ন
উদাসীন ভাবনায় নিমগ্ন সন্ন্যাসী
ভাবনার নীলাম্বরে ভাসিয়ে দেয়
সোনালি স্বপ্নের সবুজ সবুজ টুকরো।
তারপর
আশায় আশায়!
দিন কেটে যায়, রাত কেটে যায়
একটি মাহেন্দ্রক্ষণের প্রতীক্ষায়।
অথচ
স্বপ্নরা তখনো আকাশে ভাসে না
বাতাসে ওড়ে না
শুধু বর্ণ হারায়,
দিনে দিনে একদিন
দলবেঁধে ফিরে এসে
নীল হয়ে ঝরে পড়ে চোখের পাতায়।
স্থিতি
রক্তের তাপমাত্রা খুব বেশি?
দেখাও
এতে বিয়োগের কিছু নেই
তবে সীমাবদ্ধতা থাকা চাই
কারণ অতি গরমে বরফ গলে যায়।
আমার মতো হিমালয় যেদিন তোমার অসহ্য তাপমাত্রার চাপে
গলতে গলতে আপন অস্তিত্ব হারাবে
মনে রেখো সেদিন এখানে বন্যা হবে
ডুবে যাবে শতাব্দীর সকল সংরক্ষিত চিহ্ন
এমনকি এস্কিমোদের কোলাহল।
আপনার অভিযোগে
পৃথিবীর পাঁচটি মহাসাগরের সমান আমার একফোঁটা অশ্রু
চোখের জয়োৎসবে টিকতে পারেনি কোনো ডুবুরির দল
জীবনের মৃত্যুঞ্জয়ী স্বপ্নগুলো এখানে ডুবে ডুবে মরে গেলো অকালে
অথচ উচ্চ আদালতের রায়ে
স্বপ্নগুলোর কোনোটিই আত্মহত্যা ছিলো না
এসব ছিলো শুধুই চোখের ষড়যন্ত্র
অতঃপর চোখের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো নীল সূর্যের বিষাক্ত পেয়ালায়
আর আমি হারালাম আজীবনের জ্যোতি
আমার অভিযোগে।
ফুল নাকি ভুল
তোমার হাতের একটি মালা
সাদা জীবন রাঙিয়ে দিলো
জানি না সেই মালাতে কী ছিলো?
ফুল ছিলো কি ভুল ছিলো!
নাকি সবই আমার আবেগ ছিলো?
শুধু জানি
মিষ্টি কিছু জাদু ছিলো
জ্ঞানের বড়ই অভাব ছিলো
বাকিটুকু আঁধার ছিলো।
আঁধার আমায় আলো দিলো
সবটুকু সুখ ফিরিয়ে দিলো
সে পথ কঠিন কঠিন ছিলো।
জানি না সেই মালাতে কী ছিলো!
ফুল ছিলো না ভুল ছিলো?