
প্রতিটি মিথ্যাই একেক রূপ নিয়ে আসে । যত বড়োই ক্রিমিনাল হোক। যতই মিথ্যা বলতে পারদর্শী হোক। যত বেশি চাপ নিয়ে সংযমী মিথ্যা বলার কৌশলই রপ্ত করুক, সে ক্ষেত্রে ক্রনিক লায়ার কিংবা ক্রনিক ক্রিমিনাল হিসেবে কম স্ট্রেস ফিল করবে মস্তিষ্কের লিম্বিক সিস্টেমে, যার কাজ এই স্ট্রেস কম-বেশি করা। কিন্তু ব্রেইনের অন্য আন্তঃ অংশগুলোর অনৈচ্ছিক প্রতিক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। সেখানে কোনো-না-কোনো ভাবে সেটা অন্য অংশে প্রতিক্রিয়ার চাপ রাখবে এবং মস্তিষ্ক সেটা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইবে।
ঠিক এই কারণে পলি-গ্রাফ (Polygraph) বা Lie Ditector-এর ফলাফলকে আদালতে গ্রহণ করা হয় না। এই লাই ডিটেক্টর দিয়ে মিথ্যার পরমিাপ মাপা হয় লিম্বিক সিস্টেমে স্ট্রেসের পরিমাণ কতটুকু হলো তা দিয়ে । তখন শুধু এক অংশের পরিবর্তনের ছাপকে গ্রহণ করা হয় না এই ভেবে যে, ক্রনিক লায়ার বা ক্রিমিনালরা মিথ্যা বলতে বলতে সেটার চাপ ক্ষমতা কমাতে পারে বা কমে যায়।
অন্যদিকে সত্য বলা লোকেরা চাপ কম নিতে পারে, এটা একটা ক্রিমিনাল জাজমেন্ট, বাস্তবতা নয়। বরং মিথ্যাকে জায়েজ করবার কুট তর্ক।
সত্য বলার ভালো দিকটি হলো মস্তিষ্কের বাকি তিনটি অংশকে অহেতুক চাপ নিতে হয় না, মস্তিষ্ক যত কম চাপ নিবে, তার মূল কাজ শরীরের অন্য অংশগুলোকে সুনিয়ন্ত্রণ করা, সেটাতেই এনার্জি যাবে, ফোকাস যাবে। ভোগাস মিথ্যাতে সময় শক্তি অপচয় করে না মস্তিস্ক।
সত্য সদা সুন্দর
সত্য বললে তিন অংশের কোনো অংশই কোনো প্রতিক্রিয়া করে না, টেম্পোরাল লোবের মেমোরি সেন্টার থেকে সরাসরি ফ্রন্টাল লোবের নিচের অংশে এসে বলায়, এই অংশ স্বস্তি দেয়, স্বাভাবিক রাখে। এই স্বস্তি এবং স্বাভাবিকতা তখন মস্তিষ্কের অন্য অংশগুলোকে বিনা চিন্তায় যার যার কাজে মনোযোগী করে। মিথ্যা বললে, অপরাধ করলে, ঠিক তার বিপরীত হয়, মস্তিষ্কের ওই একটিভ তিন কেন্দ্র অতি মাত্রায় একটিভ থাকে, বাকি অনেক অংশ নির্জীব হয়ে যায়। এই কারণে, মিথ্যুকরা কিংবা অপরাধীরা কম বেশি সারাক্ষণই একটা অস্থিরতার তাড়নায় থাকে।
মিথ্যার সাথে আপোষ করে চলা মানে নিজেকে মেরে ফেলা ।