
ধ্রুবক প্রেম
.
ক্রমশ রাত এগিয়ে যাচ্ছে
চাঁদ বেসামাল লাল হয়ে
ঝুলে আছে আকাশে।
এই ছাদের উপরে
যেখানে ভেঙে পড়ে
একটি ধ্রুবক ভয়
মেঘ, শোকের
মিছিলের মতো
বৃষ্টির মুহূর্তের জন্য
অপেক্ষা করছে।
এক মুহূর্তেই
মিলিয়ে যাচ্ছে সব।
জানালার ওপাশে
উষ্ণতায় কাঁপছে রাত
পৃথিবীর বাতাস
থমকে গেছে যেন
এই জানালার বাইরে,
অচেনা কোন চোখ
তোমাকে এবং
আমাকে দেখছে।
মাথা থেকে পা পর্যন্ত
সবুজের ছড়াছড়ি
জ্বলন্ত স্মৃতির মতো
তোমার হাত রাখো
আমার ভালোবাসার
হাতে…
ক্রমশ শেষ হচ্ছে
এই স্বল্পকালীণ রাত
বাতাসে দুলে উঠছে
গাছের পাতা
গাছের পাতায় লেখা
আমার রাতের গল্প
যন্ত্রণার গল্প…
শোন…
তুমি কি শুনতে পাচ্ছ
বিদীর্ণ অন্ধকারের চিৎকার?
রাতের এই অচেনা উল্লাস
দেখে আমি হতাশ হই.
শোন তুমি কি আঁধারের
আওয়াজ শুনতে পাও?
তোমার ঠোঁট চুম্বন করুক
আমার প্রেমময় ঠোঁট,
কাছাকাছি থাকার
উষ্ণ উপলব্ধির মতো
বাতাস আমাদের
নিয়ে যাবে দূরে
বাতাস আমাদের
নিয়ে যাবে অনন্তে।
এর মধ্যে একটি
বোধ খেলা করে
আমি নিজেকে সঁপে
দিই স্নিগ্ধ চাঁদের বুকে
আঁধারকে কুর্নিশ করি…
আমার একান্ত ঘরে
খেলা করে নিঃসঙ্গতা
আমার হৃদয়
এক ভালোবাসার আকার…
নিজের সুখগুলোকে
আমি উপভোগ করি,
ফুলের ঝুড়িতে শুকিয়ে
যাচ্ছে ফুল বিবর্ণ
সময়ের মতো
আমার ফুল বাগানে
তোমার রপিত চারা
ক্ষণে ক্ষণে বেড়ে উঠছে
জানালার রেলিং থেকে
ভেসে আসে পাখিদের গান
আহ!
কী শান্তি!
অনাবিল শান্তি
এরই নাম যদি প্রেম হয়
তাহলে স্বর্গের কি আর
প্রয়োজন?
শান্তি, শুধুই
প্রেমময় প্রশান্তি।
অবাধ্য মানুষ
.
জলের ভিতরে গড়ায়
স্বচ্ছন্দে জলজ আভাসে-
আমার মন ভালো নেই,
ক্লান্ত আমি,
খুব স্বাভাবিকভাবে-
মধ্যাহ্নের এক ফালি
রোদ উড়ে এসে বসেছে
ছাতিম গাছটার
ডালে ডালে…
তোমার স্বপ্নের নায়ে
পাল তুলে,
তোমার মতোই
অবাধ্য হয়ে।
এখানে মানুষের
মুখোশে
নিত্য ঘুরছে
অমানুষ সুকৌশলে।
ফাগুনের পিছু হেঁটে
ব্যথিত হৃদয়ে!
ভর দুপুরে ঝাঁক ঝাঁক
পায়রা উড়ে যায়
বারান্দায় মেলে দেয়া
হরিণরঙা শাড়ীর আঁচল
খেলা করে
দখিণ হাওয়ায়;
বুঝি উড়েই চলে গেল-
ছাদের কোন থেকে
কোথায়,
কে জানে?
কি জানি, কে জানে!