
একেএম শামসুদ্দিন বাংলাদেশের পাঠকদের কাছে একটি পরিচিত নাম। গত কয়েক বছর যারা সংবাদপত্রে চোখ রাখছেন একেএম শামসুদ্দিনের লেখা তাঁদের চেনা। সুনির্দিষ্ট তথ্যে, সুবিন্যস্ত কাঠামো এবং যৌক্তিক বিশ্লেষণের জন্যে অল্পদিনেই তিনি পাঠকের বিশ্বস্ত কলাম লেখক হয়ে উঠেছেন।
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে তাঁর সাহসী লেখার মুগ্ধ পাঠক অনেক। তাঁর লেখা পাঠক প্রিয় হবার কারণ তাঁর বিস্তর পড়াশোনা, পরিশ্রমী গবেষণা, সততা এবং পাঠকের প্রতি দায়বদ্ধতা। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। তাঁর মুক্তিযুদ্ধ গবেষণার ফসল ‘মুক্তিযুদ্ধ ব্যক্তিস্বার্থের হাতিয়ার ছিল না’। এটি আসলে পত্র পত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত তাঁর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখার সংকলন। এই লেখাগুলি শুধু ১৯৭১ এর সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে সীমাবদ্ধ থাকেনি। এখানে মুক্তির জন্যে আমাদের দীর্ঘ সংগ্রামের কথা যেমন এসেছে, মুক্তিসেনাদের আত্মত্যাগ ও বীরত্বের কথা যেমন এসেছে, স্বজন হারানোর বেদনার কথা যেমন এসেছে, তেমন ভাবেই স্বপ্ন ও স্বপ্ন ভঙ্গের কথা এসেছে, মুক্তিযুদ্ধকে দলীয়করণ প্রচেষ্টার হতাশাজনক পরিণতির কথা এসেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের মানবেতর জীবন যাপনের কথা এসেছে।
ঝরঝরে গতিময় গদ্যে লেখা এই বইয়ে গ্রন্থিত ২৪টি নিবন্ধের প্রথম দুটিতে (শত ষড়যন্ত্র করেও ঠেকাতে পারেনি স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ইয়াহিয়ার প্রহসনমূলক বৈঠক) পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত মুক্তির লক্ষ্যে আমাদের যে বন্ধুর পথ অতিক্রম করতে হয়েছে তার নির্মোহ বর্ণনা দিয়ে লেখক পাঠককে মুক্তিসংগ্রামের দীর্ঘ পরিক্রমার সাথে সম্পৃক্ত করেছেন। এই দুটি অধ্যায়ে পাকিস্তান সৃষ্টির পর বাঙালিদের যে বঞ্চনার জীবনের শুরু হয়েছে, তা থেকে শুরু করে ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ছয় দফা আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের জলোচ্ছ্বাস, সত্তরের নির্বাচন, এসেম্বলি ডাকার দীর্ঘসূত্রিতা, ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি কিছুই বাদ পড়েনি। এই অংশটি শেষ হয়েছে অপারেশন সার্চ লাইটের ভয়াবহতা দিয়ে।
আমার কাছে মনে হয়েছে এই অধ্যায়ের বিশেষত্ব সেই সময়ের ঘটনা প্রবাহের যথার্থ বিশ্লেষণ। ক্ষমতাসীন পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠি এবং জুলফিকার আলি ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক মোর্চা, নির্বাচনে বিজয়ী শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার জন্যে যে সকল প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছিলেন, তার মধ্যে নৃশংসতম অপারেশন সার্চলাইটই শেষ পর্যন্ত চুড়ান্ত ভাঙনের অনুঘটক হয়ে দাঁড়ায়। লেখকের ভাষায়, ‘নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘন্টা আগে রাত সাড়ে এগারোটায় ঢাকা সেনানিবাসের মেইন গেট দিয়ে দানবের মতো বিকট শব্দে বেরিয়ে গেল ট্যাংক, রকেট লঞ্চার, রিকোয়েললেস রাইফেল, মর্টার এবং মেশিনগানে সজ্জিত হায়ানার দল। বেজে উঠল ইয়াহিয়া, ভুট্টো এবং টিক্কা খানের স্বপ্নের দেশ পাকিস্তানের মৃত্যু ঘন্টা।’
একেএম শামসুদ্দিন তাঁর বইয়ে মাটির কাছাকাছি মানুষদের অনেক যত্নের সাথে উপস্থাপন করেছেন। যে সকল সাধারণ মানুষের বীরত্ব কথা তিনি গর্ব ভরে বর্ণনা করেছেন তাঁদের মধ্যে শংকু সমজদার, শাহেদ আলী কসাই, জগত জ্যোতি দাস, ও জর্জ এম দাস অন্যতম। ১২ বছরের শংকু সমজদারকে ৩রা মার্চ রংপুর শহরে হত্যা করা হয়। এই কিশোরের মৃত্যু রংপুরে স্বাধীনতাকামী বাঙালিদের আরো একতাবদ্ধ করে তোলে। একপর্যায়ে সেনানিবাসে সকল প্রকারের খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাকিস্তানি সেনাদের একটি দল গ্রামে ঢুকে জোর করে খাবার জোগাড়ের চেষ্টা চালায়। গ্রাম বাঁচাতে শাহেদ আলী কসাই ২৩ শে মার্চ পাকিস্তানি সেই দলটির অধিনায়ক লেফটেন্যন্ট আব্বাসকে হত্যা করে দলটিকে সেনানিবাসে পিছু হটতে বাধ্য করেন। ২৫ মার্চের ক্র্যাক ডাউনের পর পাকিস্তানি সেনারা শাহেদ আলীকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে। জগৎজ্যোতি দাস মুক্তিযাদ্ধাদের আঞ্চলিক দল দাস পার্টির দলপতি ছিলেন।
পাকিস্তানিরা দাস পার্টির হামলায় অনেকবার হতাহত হয়েছে। তাঁর উপর প্রতিশোধ নিতে তাঁকে নির্যাতন করে হত্যা করে ইপিআরের প্রাক্তন সৈনিক জর্জ এম দাস জর্জবাহিনী নামে একটি দল গঠন করেন। এই সব কাহিনীর রুদ্ধশ্বাস বর্ণনায় পুরো ঘটনাগুলো পাঠকের চোখের সামনে ভেসে ওঠে। কখনও চোখ ভিজে যায়। কখনও গর্বে বুক ভরে যায়। মুক্তিযুদ্ধের সূচনাপর্বে রংপুর দিনাজপুর অঞ্চলের প্রতিরোধ যুদ্ধ এই বইয়ে বস্তুনিষ্ঠ ভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। দিনাজপুর কুঠিবাড়িতে ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ইপিআর সৈনিকদের বিদ্রোহ, এবং ২৮/২৯ মার্চ জনতার রংপুরের সেনানিবাস ঘেরাওয়ের ঘটনার অনুপুঙ্খ বর্ণনার পাশাপাশি লেখক কতিপয় বাঙালি সেনা কর্মকর্তার পাকিস্তানি তোষণ, এবং বাঙালি নিধন প্রক্রিয়ায় অংশ নেবার বিষয়টিও কোন রাখঢাক না করেই আলোচনা করেছেন।

প্রবন্ধ । প্রকাশক: সৃজন । প্রচ্ছদ: দেওয়ান আতিকুর রহমান । প্রথম প্রকাশ: বইমেলা-২০২৩ । মুদ্রিত মূল্য: ৪০০টাকা
ঘরে বসে বইটি সংগ্রহ করতে মেসেজ করুন ‘সৃজন’-এর ফেসবুক পেইজে— fb.com/srijon2017
রকমারি ডটকম থেকে অর্ডার করতে— www.rokomari.com/book/289430
কল করুন +৮৮ ০১৯১৪ ৬৯৬৬৫৮
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের পুরো নয় মাস জুড়েই নির্বিচারে বাঙালি নিধন করেছে। বাঙালি বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন তাদের জন্যে সহজ টার্গেট। সৈয়দপুর সেনানিবাসের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী এবং অফিসার্স ক্লাবের সেক্রেটারি প্রকৌশলী ফজলুর রহমানের শিশু কন্যাকে তাঁর কোল থেকে ছুঁড়ে ফেলে তাঁর ভাই ও ভাগ্নে সহ তাঁকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ১৯৭১ সালের ১লা এপ্রিল। আরো অনেকের সাথে তাঁদেরকে হত্যা করে সৈয়দপুর সেনানিবাসে গণকবরে পুঁতে ফেলা হয়। স্বামীর খোঁজ খবর না পেয়ে তাঁর স্ত্রী শিশু-পুত্র কন্যাকে বাঁচাতে তাদের নিয়ে পালিয়ে ঢাকায় তাঁর শ্বশুর বাড়িতে আশ্রয় নেন। স্বামীর অপেক্ষায় তাঁর দিন কাটে। ‘ওরা কেউ ফিরে আসেনি’ শিরোনামে লেখক এই হৃদয় বিদারক কাহিনীটি বর্ণনা করেছেন। তাঁর বর্ণনা এবং তথ্যের গুণে এটি আর শুধু প্রকৌশলী ফজলুর রহমানের পারিবারিক ঘটনা থাকেনি। পাকিস্তানি পৈশাচিকতার শিকার সকল বুদ্ধিজীবির পারিবারিক হাহাকারের গল্প হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশের অনেকেই গোলাহাট গণহত্যার কথা শোনেননি। ১৯৭১ সালের ১৩ই জুনের এই গণহত্যার কথা আমি জেনেছি একেএম শামসুদ্দিনের এই বইটি থেকে। পাকিস্তানি নৃশংসতার এই ঘটনাটি তথ্য-উপাত্ত দিয়ে যথাযথ ভাবে উপস্থাপন করার জন্যে লেখককে ধন্যবাদ। লেফটেন্যান্ট আবু মঈন মোঃ আশফাকুস সামাদ, বীর উত্তম ১৯৭১ সালের ২০ নভেম্বর কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারির কাছে বীরের মত লড়াই করতে করতে শহিদ হন । লেখক তাঁর এই বীরোচিত লড়াইয়ের বর্ণনা দিয়েছেন ‘যে বীরের মৃত্যু নেই’ শিরোনামের একটি অনবদ্য রচনায়। মুক্তিযুদ্ধে বিমানবাহিনীর ভূমিকার কথা যাদের জানা নেই ‘অপারেশন কিলো ফ্লাইট সামরিক ইতিহাসের বিরল ঘটনা’ পড়লে তারা অবাক হবেন। তথ্যবহুল এই লেখাটি আমাদের বিমান বাহিনী গঠন এবং বৈমানিকদের সাহসিকতার প্রামাণ্য দলিল হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।
একেএম শামসুদ্দিন সমাজ ও জাতির প্রতি দায়বদ্ধ একজন চিন্তাশীল লেখক। যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা, যোগ্য সম্মান না পাওয়ার বিষয়গুলো তাঁকে যন্ত্রণাদগ্ধ করেছে। সেই অনুভূতি নিয়ে তিনি লিখেছেন ‘বড় অভিমান নিয়ে চলে গেলেন তারামন বিবি’, এবং ‘একজন মুশতারি শফি’ নামের হৃদয়স্পর্শী দুটি নিবন্ধ। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের কূপমন্ডুকতা, এবং ঔদ্ধত্যও তাঁর দৃষ্টি এড়ায়নি। পাকিস্তানে প্রশিক্ষণে গিয়ে তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন তাঁদের হীনমন্যতা। সেই অভিজ্ঞতা প্রকাশ পেয়েছে ‘বাংলাদেশের অভ্যুদয় নিয়ে পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়নি’ নামক রচনায়।
মুক্তিযুদ্ধকে দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার তিনি ঘোর বিরোধী। তাঁর মতে মুক্তিযুদ্ধ এবং যোদ্ধাদের নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে যে সব অনভিপ্রেত মন্তব্য, বা কাঁদা ছুঁড়াছুঁড়ি হয় তা এই সংকীর্ণ মনোবৃত্তিরই বহিঃপ্রকাশ। মুক্তিযুদ্ধের মর্যাদা সমুন্নত রাখার লক্ষে আমাদেরকে অবিলম্বে এই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় প্রণীত মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় রাজাকার ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম এবং রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম দেখে লেখক হতাশ হয়েছে। তিনি মনে করেন, মুক্তিযুদ্ধকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করার কুপ্রবণতা থেকেই এই তালিকায় এই ধরণের বিচ্যুতি ঘটেছে। লেখক নিজে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও তিনি মনে করেন যে সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্যে জাতি মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, নিজেদের মধ্যে সম্পদ, প্রভাব ও প্রতিপত্তি ভাগাভাগির প্রবণতায় তা বহুলাংশে ব্যহত হয়েছে। তাই ‘মুক্তিযুদ্ধ ব্যক্তিস্বার্থের হাতিয়ার ছিল না’ রচনায় আমরা একজন মুক্তিযোদ্ধাকে বলতে শুনি, ‘আমরা কোন ব্যক্তিস্বার্থের জন্যে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়িনি। আমাদের তখন একটাই উদ্দেশ্য ছিল, যে কোন মূল্যে দেশকে শত্রুমুক্ত করা। জীবন বিপন্ন করে হলেও বাংলাদেশের সবাধীনতা অর্জনই ছিল আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্য’। সেই একই সত্য অনুরণিত হয়েছে দিনাজপুর অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নেতা সাতান কড়ার বক্তব্যে। এক সময় ৩৬ একর জমির মালিক মুক্তিযোদ্ধা সাতান কড়া আজ স্থানীয় দুর্বৃত্তদের দৌরাত্ম্য ও প্রশাসনের অসহযোগিতায় নিঃস্ব, তবে মুক্তযুদ্ধের চেতনা থেকে বিচ্যুত নন। তিনি যখন বলেন ‘দেশ থেতুর হাম স্বাধীন করোইয়ে হামার নিজের থেতুল স্বাধীন নাহি করোইয়ে’, অর্থাৎ ‘নিজের জন্যে নয় দেশের জন্যে স্বাধীনতা এনেছি’, তখন মতলববাজ চেতনা ব্যবসায়ীদের জন্যে আমাদের করুণা ছাড়া আর কীইবা অবশিষ্ট থাকে!
মুক্তিযুদ্ধে আমাদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির ভূমিকা, সাহস এবং আত্মত্যাগের কথা জানাতে লেখা হয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অবদান কে মনে রাখে’। এই লেখায় দেশের বিভিন্ন অঞ্ছলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মুক্তিযুদ্ধে অবদানের কথা তুলে ধরা হয়েছে। দিনাজপুর অঞ্চলের বিলুপ প্রায় কড়া সম্প্রদায়ের কথাও তাতে সন্নিবেশিত হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চালিকা শক্তি ছিল জনতা। জনতার যূথবদ্ধ সাহসের কাছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে নয় মাসে অসংখ্যবার নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে। ক্রমাগত হামলা করে তারা পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর মনোবল ভেঙে দিয়েছিল। চুড়ান্ত পর্বে মুক্তিবাহিনীর ভূমিকা ছিল অবিষ্মরণীয়। ‘চুড়ান্ত পর্বে মুক্তিযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় ভূমিকা’ শীর্ষক রচনায় লেখক মুক্তিবাহিনীর সেই সৌর্যের কথা বলেছেন।
বইয়ের নামটি আমার কাছে খুব অর্থবহ এবং সাহসী মনে হয়েছে। যুদ্ধ জয়ের অর্ধ শতাব্দী পরেও যখন স্বার্থান্বেষী কিছু মানুষ মুক্তিযুদ্ধকে পণ্য হিসেবে দেখছেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কাস্টমাইজড করার মধ্যে উন্নতির সূত্র খুঁজে পাচ্ছেন, তখন একেএম শামসুদ্দিনের দ্ব্যর্থহীন উচ্চারণ পাঠককে মুক্তিযুদ্ধের মূল ধারা অন্বেষণে উদ্বুদ্ধ করবে।
দেওয়ান আতিকুর রহমানের প্রচ্ছদে ১৫৮ পৃষ্ঠার এই বইটির প্রকাশক করেছে সৃজন। শুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চর্চার স্বার্থে এই বইটির বহুল প্রচার কামনা করি।