
শূন্যতায় বাজে প্রণবধ্বনি
শূন্যতায় বাজে প্রণবধ্বনি
আড়ালে যার মহাজাগতিক রশ্মির চারণভূমি
প্রতিবন্ধকতাকে পাশকাটিয়ে
নিমগ্ন বিশ্বের স্বরূপ দেখি ধ্যানের স্তরে।
মায়ার কায়া ঝেড়ে ফেলে
সত্যকে চিনি আপন করে
জ্যোতির্ময় জেগে আছে
দীপ্ত শিখার আপন জলে ।
মূল্যবোধের সলতে টাকে
মারতে চাই না দিন-দুপুরে
অন্ধকারে আলোক রেখা
সদাই খোঁজি হৃদ মাঝারে।
জীবনের ধর্ম
এই জীবন
মা বাবার আত্মদান
স্রষ্টার স্বরূপের প্রকাশ
চড়াই উৎরাইয়ের নীলাম্বরী ঘ্রাণ।
জীবনের অর্থ বুঝি-ধর্ষিত নারীর পাশে দাঁড়াতে পারলে
অনাহারি, বন্যার্তদের মুখে ভাত দিতে পারলে
বিশ্বে যারা যুদ্ধ যুদ্ধ খেলে তাদের প্রতিবাদে রাজপথে দাঁড়াতে পারলে
ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে সকল মানুষ ভাবলে।
নিমজ্জিত মন
কালের গহবর সবকিছু শুষে নেয়
খেতে চায় সব কিছু
অতীতকে ভুলে মানুষ
হারায় নিজেকে।
ভুলে যায় কৃতকর্মের চিহ্ন
বাঁচতে চায় বর্তমানের জন্য
বর্তমান বলতে বলতেই হারিয়ে যায়
ধুলির মলিন আকাশে।
নিমজ্জিত মন করে বিচরণ
সত্যের স্বচ্ছজলে চেতনার বাতিঘরে।
বাতাসের আঁচল
পথে প্রান্তরে
একাকী সকালে
নিঃসঙ্গ যাপনে।
বাতাসের আঁচল ধরে
বিন্দু বিন্দু ঘাম হাসে
দুখ্য নিবারণের কিনারার ভাঁজে।
পিদ্রিমের আলো জ্বল্লেই
চোখে পড়ে কৃতজ্ঞতার ছায়া
শ্রদ্ধাবনত চিত্তে প্রণাম জানাই
দূর আকাশের নক্ষত্রকে।