Author Picture

ফ্রেন্ডশিপ

অপূর্ব চৌধুরী

বন্ধুত্ব একটি সর্ম্পক। একটি শক্তিশালী সর্ম্পক। কখনো পুরুষে পুরুষে, কখনো নারীতে নারীতে এবং কখনো পুরুষ নারী।

নারী পুরুষের বন্ধুত্বের ক্ষেত্র দুটি: হয় সেক্সচুয়াল, নয় ইন্টেলেকচুয়াল। পুরুষ তার জীববিজ্ঞানের কারণে সেক্সচুয়াল সর্ম্পকে স্বাভাবকিভাবে আগ্রহী থাকে বেশি। নারীর প্রবণতা থাকে ইন্টেলেকচুয়াল সর্ম্পকে বেশি। নারীর যৌন আকাঙ্ক্ষা পুরুষের তুলনায় মোটেও কম নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রে উল্টো অনেক বেশি, কিন্তু নারীর সেই চাওয়ার ধরণ এবং বাস্তবায়ন চট করে আসে না এবং পুরুষের তুলনায় তা ভিন্ন রকম।

পুরুষ নারীকে বোঝার আগেই তার শরীর চেয়ে বসে, পুরুষটিকে না বুঝলে নারীর সে চাওয়া খুব কমই জাগে, আর এই বুঝটি বেশিরভাগ পুরুষের একেবারেই থাকে না।

শারীরিক আনন্দ লিঙ্গের রাসায়নিক মাধ্যাকর্ষণ। মনের ভালোলাগার কোনো লিঙ্গ নেই।

সম্পর্কের গোড়াতেই সেক্সচুয়ালিটিকে প্রাধান্য দিলে সে সর্ম্পক বেশিদিন টিকে না।

যৌন আকাঙ্ক্ষা শরীরের স্বাভাবিক চাহিদা এবং প্রবৃত্তি। এটাকে বুঝতে শিখলে সম্পর্ক এবং যৌন আনন্দ– দুটোকেই উপভোগ করা যায়।

শরীরকে বুঝতে শেখা মানে নিজেকেই বোঝা।

কিন্তু এটার জলদি নিবৃত্তি অন্য আরেকটি প্রবৃত্তিকে তাড়াহুড়ো নষ্ট করে দেয়। আর সেই নির্মল সম্পর্কটি হলো ইন্টেলেকচুয়াল রিলেশনশিপ। এটার মানে জ্ঞানর্গভ কথা বলা নয়, এটার মানে হলো পরস্পরের চিন্তাকে ছোঁয়া, হৃদয়কে র্স্পশ করা, নিজেদের ভালোলাগার একটা কমন গ্রাউন্ড তৈরি করা।

মন এবং শরীর তখন আপন ছন্দে নৃত্য করবে।

মন যখন শরীর চালায়, শরীর চলে ছন্দে; শরীর যখন মনকে চালায়, দুটোই পড়ে দ্বন্দ্বে।

আরো পড়তে পারেন

আওরঙ্গজেব ও শম্ভাজির মিথ বনাম ইতিহাস: প্রসঙ্গ ছাবা চলচ্চিত্র

বর্তমানে বিজেপির সংঘ পরিবার প্রায় তিন’শ বছর আগের ভারতের এমন এক সম্রাটের কবর মহারাষ্ট্রের খুলদাবাদ থেকে সরিয়ে দেয়ার আন্দোলন করছেন- যিনি ইতিহাসে ভারতকে সর্বকালের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রের মানচিত্র ও সংহতি উপহার দিয়েছিলেন, যার আয়তন ছিল চল্লিশ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার- যা ছিল বর্তমান ভারতের চেয়ে আট লক্ষ বর্গ কিলোমিটার বড়, তাঁর অধীকৃত রাষ্ট্রটিই ভারত এখনো তারা….

মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা: বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যা জানা গিয়েছে, যা জানা সম্ভব

এক মহান যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের দেশটি স্বাধীন হয়েছে। এর পেছনে রয়েছে অসংখ্য মানুষের অপরিসীম আত্মত্যাগ। নানা সূত্র থেকে আমরা শুনে এসেছি ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমাদের এ স্বাধীনতা। অনেকেই আবার ৩০ লক্ষ শহীদের সংখ্যাটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এমন প্রশ্ন ওঠার মূলে রয়েছে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার ব্যাপারে ৭১-পরবর্তী শাসকদের উদাসীনতা। তারা এত বছরেও শহীদের সংখ্যা….

প্রতিটি শূন্যতা যেন নতুন শোকের জন্ম দেয়

শূন্যতার আকাশে স্মৃতির মেঘ জমে। জীবন সরে সরে আসে মৃত্যুর দিকে। ফুরিয়ে আসা সময়ের দাপট এড়াতে পারে না কেউ। একজীবনে বহু জীবনাবসানের দেখা পাওয়া যায়, হয়তো দুর্ভাগ্যক্রমেই। ব্যক্তির মৃত্যুর পরিসমাপ্তি একবারই হয়, তবে সেই ব্যক্তি যদি বহুপ্রাণের সাথে জুড়ে থাকেন, তাঁর অনুপস্থিতি বারংবার অনুভূত হয়। প্রতিটি শূন্যতা যেন এক নতুন শোকের জন্ম দেয়। ২০২৪ সালে….

error: Content is protected !!