Author Picture

পূর্ণিয়া সামিয়া’র একগুচ্ছ কবিতা

পূর্ণিয়া সামিয়া

ক্যাপিচিনো সন্ধ্যা

ভাষা কি শুধু কথাতেই থাকে
ভাষা থাকে মুহুর্ত জুড়ে এপার ওপারে
ক্যাপিচিনো আর সিগারেটের ধোঁয়ায়

ঝড় কেবল মেঘ করলেই হয়না
ওই পাঁচ মিনিটের আবদারেও
ভেঙে চূড়ে ঝড় আসে

কে বলেছে টাকার ব্যাগ
আর সোনা দানাই কেবল ছিনতাই হয়!
চুমুর কৌটোও ছিনতাই করে নেয়
আবছায়ে কেউ….

 

জলের ভুল

চুমু খেও ঠোঁট ফুলে গেলে কেটে গেলে
লুকিয়ে রাখা যাবে
কিংবা বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা গল্পও বলা যাবে
কেউ একজন ক্লাস টেনে শিখিয়েছিল
প্রেমে মিথ্যা বললে পাপ নেই বরং পুণ্য হয়
আর কিছু যাই হোক গোপন প্রেমে
অন্তরে আঁচর কেটো অগনিত তাও দোষ নেই
সে গোপন একান্ত আপন
তবে ওই যে জলের ফোঁটা!
সে ক্ষেত্রে কিছুটা সাবধানে থাকা ভালো
প্রেম বুঝি তখন কাঁটা হয়ে খোঁচায়
না থাকে গোপন
আর না হয় আপন
মনে থাকবে?

 

ইচ্ছে ডানা

ইচ্ছে আমার সুতো ছেঁড়ে আপন ডানা মেলি
ইচ্ছে আমার জানলা ভেঙে পাড়াই অলিগোলি
তেলের বাটি উল্টে ফেলে মনের পাটি গড়ি
ঢেউয়ের ঢেউয়ে সাঁতার কেটে ভাঙি পায়ের বেড়ি
একলা আমার আকাশ জুড়ে একলা মেঘের আবাস
মন ময়ুরের পেখম মেলা মাতাল হাওয়ার সুবাস
ছড়িয়ে বেড়াই চাঁদের হাসি রুপোর ছটার জোড়ে
ইচ্ছে আমার প্রদীপ জ্বালি সূর্য ডোবা ভোরে।।

 

এই একা ভালো থাকা

উড়ে গেলো যে ফড়িং
তারে
উড়তে দেখো, ঘুরতে দেখো
বসতে দেখো কোনো ডালে

সময়ের মত দুঃখও বসে থাকেনা
নতুন পাখির শিস দেয় আবার
প্রজাপতির রং এও মন দোলে

জীবনের গল্প যতটুকুই হোক
পড়তে হয় দাড়ি, কমা সহ
কখন কোথায় শিহরণ আছে
তা কেবল সময়ই বলে….

 

মন্দবাসার মানুষ

ওই মন্দবাসার মানুষ
স্বপ্ন গুলো টুকরো করে
উড়ালি কেন ফানুস?

কি পেয়েছিস মগের মুলুক?
যেমন খুশি তেমন করে
তাস পিটিয়ে যাবি!

খামখেয়ালির রং মেশালি
সাতসাগরে নাউ ভাসালি
কাব্য কথায় ঘুম ভাঙালি
কেমনে ছাড়া পাবি?

কামড়ে দেবো খুবলে খাবো
খামচে চিঁড়ে দেবো
তোর ওই স্মৃতির বাক্সটারে

পারলে এসে ধুয়ে মুছে
আয় দিয়ে যা সবটা নতুন করে

আরো পড়তে পারেন

বেওয়ারিশ প্রেমের কবিতা

১. জীবনকে বিজ্ঞাপনের মতো সেঁটে দিয়ে দেখেছি, আমাকে গ্রহণ করেনা কেউ। আমাকে ভালোবাসে না ঘুমগন্ধওয়ালা সকাল— আমাকে ভালোবাসে না বাজারের জনবহুল রোদ, আমাকে ভালোবাসে না কেউ, ভিক্ষুক, শ্রমিক, চাষী আমাকে ভালোবাসে না, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ম্যাজিস্ট্রেট আমাকে ভালোবাসে না, শোষক কিংবা শোষিত, শাসক ও প্রজা কেউই ভালোবাসে না, আমাকে ভালোবাসে না তরুণ-তরুণী-বৃদ্ধ বা যুবা, পার্থিব কোনো….

আজাদুর রহমান-এর একগুচ্ছ কবিতা

সহজাত মানুষ তোমাকে অবহেলা করবে যে কোন দিন যে কোন সন্ধ্যায় তুমি কল্পনাও করতে পারবে না এমন ঘোরতর বর্ষার দূপুরে মানুষ তোমাকে অবহেলা করবে। পথের পাশে ওত পেতে থাকা শিকারির মত সন্তর্পনে উঠে আসা মানুষ পায়ে পা ঘষে তোমাকে অবহেলা করবে। কোথাও না কোথাও কোন এক বয়সে কোনও না কোনও ভাবে মানুষ তোমাকে অবহেলা করবে।….

হোসনে আরা শাপলা’র একগুচ্ছ কবিতা

আলতু ব্যথা কোন এক শুভ্র সময় আমাদেরও ছিল পাশাপাশি-মুখোমুখি বসে থাকা শুধু হিসেব-নিকেশ, দাবি-দাওয়া, চাওয়া-পাওয়া এসবের বালাই ছিলো না কোন শুধু কানায় কানায় পূর্ণ ছিলো ভালোবাসা। চোখের তারায় ডুবে গিয়ে অন্বেষণ শুধু শত জনমের সুখ। ওইসব স্বপ্নমাখা দিন কোন দরজা দিয়ে পালিয়ে গেল কোথায় তারই জন্য মনের মধ্যে কেমন আলতু ব্যথা।   তৃপ্তি ভরসার হাত….

error: Content is protected !!