Author Picture

পাঠকের চাওয়া পাওয়া 

অপূর্ব চৌধুরী

ভালো সিনেমার গুণ হলো দেখতে দেখতে মনে হয় যেন বাস্তবকেই দেখছে। যখন শেষ হলো, ভাবনায় এলো এতক্ষণ কি দেখছে তাহলে। মোহবিষ্টতাই আকর্ষণের লক্ষণ ৷ দুর্ঘটনার অন্তরালে দেখতে থাকে বিস্ময়ের পরম্পরা। একটি যায়, ঘোর না কাটতেই আরেকটি চলে আসে। আলো, শব্দ আর দৃশ্যের আলেয়ায় চলে ভানুমতীর খেলা।

তেমনি ভালো বই পড়া শেষে মনে হয়— এ যেন নিজের সাথে কথা বলা৷

ভালো লেখা পাঠকের ভেতর কথা বলে; মন্দ লেখা মন শুধু শোনে।

একটি ভালো লেখাও এমনি মন্ত্রমুগ্ধ রাখে অনেকক্ষণ৷ ভালো লেখা যখন ভালোবাসার কথা বলে, পাঠক কিংবা পাঠিকারা ভাবে এ যেন তাকেই বলা ৷ অল্প সুখে পাঠক বাসা বাঁধে কল্পের ঠিকানায় । দিনেদিনে শুরু করে লেখাকে ঘিরে এক ধরণের আত্ম নিপীড়ন৷ এ নিপীড়ন যদিও সুখের, এ নিপীড়ন বিনিময়ের। আপাতদৃশ্যে লেখাকে ঘিরে যেন গড়ে তোলেন অদৃশ্য হারেমখানা।

লেখকের কাজ লেখায় লেখায় নন্দিতায় নিয়ে যাওয়া, শব্দের প্রলোভনে স্বপ্নের বাগদান ঘটানো।

নির্মাণক্ষম একজন লেখক যদি লেখা দিয়ে পাঠককে এমন সুখকর স্বপ্নে প্রলুব্ধ করেন, সেটা লেখকের প্রবলতা, লেখার অনুবল এবং পাঠকের ভালো লাগা৷

পাঠকের আনন্দ সব সময়ের, লেখকের আনন্দ সময় সময়। পাঠকের আনন্দ তৃপ্তির; লেখকের আনন্দটা মুক্তির।

আরো পড়তে পারেন

আওরঙ্গজেব ও শম্ভাজির মিথ বনাম ইতিহাস: প্রসঙ্গ ছাবা চলচ্চিত্র

বর্তমানে বিজেপির সংঘ পরিবার প্রায় তিন’শ বছর আগের ভারতের এমন এক সম্রাটের কবর মহারাষ্ট্রের খুলদাবাদ থেকে সরিয়ে দেয়ার আন্দোলন করছেন- যিনি ইতিহাসে ভারতকে সর্বকালের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রের মানচিত্র ও সংহতি উপহার দিয়েছিলেন, যার আয়তন ছিল চল্লিশ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার- যা ছিল বর্তমান ভারতের চেয়ে আট লক্ষ বর্গ কিলোমিটার বড়, তাঁর অধীকৃত রাষ্ট্রটিই ভারত এখনো তারা….

মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা: বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যা জানা গিয়েছে, যা জানা সম্ভব

এক মহান যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের দেশটি স্বাধীন হয়েছে। এর পেছনে রয়েছে অসংখ্য মানুষের অপরিসীম আত্মত্যাগ। নানা সূত্র থেকে আমরা শুনে এসেছি ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমাদের এ স্বাধীনতা। অনেকেই আবার ৩০ লক্ষ শহীদের সংখ্যাটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এমন প্রশ্ন ওঠার মূলে রয়েছে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার ব্যাপারে ৭১-পরবর্তী শাসকদের উদাসীনতা। তারা এত বছরেও শহীদের সংখ্যা….

প্রতিটি শূন্যতা যেন নতুন শোকের জন্ম দেয়

শূন্যতার আকাশে স্মৃতির মেঘ জমে। জীবন সরে সরে আসে মৃত্যুর দিকে। ফুরিয়ে আসা সময়ের দাপট এড়াতে পারে না কেউ। একজীবনে বহু জীবনাবসানের দেখা পাওয়া যায়, হয়তো দুর্ভাগ্যক্রমেই। ব্যক্তির মৃত্যুর পরিসমাপ্তি একবারই হয়, তবে সেই ব্যক্তি যদি বহুপ্রাণের সাথে জুড়ে থাকেন, তাঁর অনুপস্থিতি বারংবার অনুভূত হয়। প্রতিটি শূন্যতা যেন এক নতুন শোকের জন্ম দেয়। ২০২৪ সালে….

error: Content is protected !!