Author Picture

তারিকুল ফেরদৌস- এর একগুচ্ছ কবিতা

তারিকুল ফেরদৌস

নীলশাড়ি

গ্রীষ্মের মধ্য দুপুরে কোথাও মেঘ নেই
উত্তপ্ত রৌদ্রের খেলায় মেতেছে
বাদামি ডানার একঝাঁক শঙ্খচিল।
বয়সি রূপালি নদীর হাঁটুজলে
দুরন্ত বালকের লাফালাফি।
নীল জমিনের শাড়িতে যুবকের
নেশা ধরায় প্রেমাতাল কিশোরী।

পৃথিবীর রূপ

হলুদ গোলাপি ফিরোজা শাড়িতে
ঢেকে আছে একটি লাল গোলাপ।
আঁচলে লুকিয়ে আছে সমুদ্রের গভীরতা।
যে গভীরতায় খোঁজে পাওয়া যায়
সবুজ পৃথিবীর সমস্ত রূপ।
পূর্ণিমা চাঁদের কিরণ
ঝর্ণাধারার মতো অবিরাম
বয়ে চলা ভালোবাসার নদী।

আমি অপলক চেয়ে থাকি
হলুদ ফিরোজা শাড়ির দিকে।
কখন বাতাসে উড়বে আঁচল
আমি দেখা পাব কাঙ্খিত বস্তুর।
মিটাবো ভালোবাসার তৃষ্ণা।

চুড়ির আলনা

তোমাকে পাব না দুঃখ নেই
কালো মেঘে আকাশ ঢাকা পড়েছে
তবু তোমার কাজল চোখে বৃষ্টি নেই।
তোমার হৃদয় জুড়ে হাসনাহেনা
তার মিষ্টি গন্ধ আমার হৃদয়ে পৌঁছে না।
তুমি একবারও চেয়ে দেখ না
আমি তোমার চুড়ির আলনায় রাখি
আমার হৃদয়ের প্রতিচ্ছবি
যেন প্রতিদিন তোমার স্পর্শ পাই।

আরো পড়তে পারেন

হুসাইন আলমগীর-এর একগুচ্ছ কবিতা

প্রেম ডলারের কথা রাখো, সোজাসুজি ‘ভালোবাসি’ বলে দিতে পারো… এ দেশের নারী এতটাই অপার উদার সামান্য পুতির মালা পেলে খুলে দিতে রাজি তার মন ও বনের দুয়ার! যেখানে বাতাস থেমে যায় আঙুলের ফাঁকে সেখানেই প্রেম এসে চিৎ হয়ে থাকে।   বিপরীত সূত্র বাবা বলেছিলেন, ‘মানুষ হও’ কারণ, আমি তখন শিশুটি ছিলাম… চল্লিশ বছর সাধনার পর….

লুব্ধক মাহবুব-এর একগুচ্ছ কবিতা

ধোঁয়ার ক্যানভাস সিগারেটের ছাইদানিতে গুঁড়ো করি অবশিষ্ট টুকু, তামাক নয়, যেন এক অস্থির মুহূর্তের অস্থিরতা। মুঠোবিন্দ করি স্মৃতির দলা, পিষে মারি যেমন শুকনো পাতা ঝরে, তেমনই ছিঁড়ে ফেলি অতীত। অন্তহীন… হ্যাঁ, এই সুর, এই ঘোর, এই তলিয়ে যাওয়া। আমার এই তৃষ্ণা, একথাল কাদার মতোন; বার্নিশের প্রলেপ, লেপ্টে আছে মুখে, ঠোঁটে, আঙুলে— এক অদৃশ্য মুখোশ। সত্যিটা….

আদ্যনাথ ঘোষ-এর একগুচ্ছ কবিতা

আকুলতা যেহেতু মৃত্তিকাজুড়ে ফুল ফোটে, হাওয়া বয়, জলের উৎসব চলে আদরের ইচ্ছেডানায়; কেন তবে কষ্টের যন্ত্রণা ফুটে থাকে এতোসব উন্মাতাল বসন্তনগর, মাঠ, ঘাট জুড়ে। যেখানে একদিন পোঁতাছিল নাড়ির গন্ধমাধম, তাও কি হারিয়ে যাবে চোখ আর শরীরের কাছে! সময় তাকিয়ে রয় বদলের হাওয়ায়। পাতারাও ঝরে যায়, ধুলোপথ উড়ে যায় ফসলের মাঠ, ক্লান্ত দেহ বসে পরে ভোর….

error: Content is protected !!