
সর্বনাশী
তুমি অনেক বড় সর্বনাশী
বুঝতে হল অনেক দেরি
ভেবে তাই মরি আমি
জীবনটা করলে পরবাসী।
কথা ছিল সঙ্গী হবে
সুন্দর একটা ঘর সাজাবে
জনম জনম কাছে রবে
কখনও দিবেনা দূরে ঠেলে
সুখের তরী বাইবো দুজন
কষ্ট ভুলে বলবো ভালোবাসি।
আধাঁর বলে তুমি আলো
মানেনি মন তখনও কালো
শেষ হল সব স্বপ্ন
মনকে ঘিরে শুধু বিষন্ন
জানি আমি জানবে মানুষী।
অনন্য মায়াবী তুমি
তোমাকে দেখেই মনে হল
কোন পদ্মা গোলাপের সামনে দাঁড়িয়ে
তোমার ছবিতে অবাক পানে তাকিয়ে নিস্তব্ধ
কোন ভাবেই দৃষ্টি সরাতে পারিনি
অপরুপ মায়বী তোমাকে দেখে।
স্রষ্টার সৃষ্টি তুমি লাক্সময়ী
একবার তা নীরবে ভেবো
কারো দৃষ্টি যেন না পড়ে তোমার পানে
পৃথিবী হারাবে সে নিজেকে
অনন্য গঠন মুখমন্ডল
ঠোঁটের এক কোনে লুকিয়ে মিষ্টি হাসি
ধবধবে সাদা মায়াবী চোখের মনি।
মুখের ভাষা বলে চোখ দুটি
তোমার রূপের কাছে যেন
রাতের আধাঁর হার মানে
বিষাদের মন তোমাকে দেখলে
শীতল হবে অবকাশ নেই তাতে
অনন্য মায়াবী তুমি।
হঠাৎ বৃষ্টি থেমে গেল
সেদিন হঠাৎ বৃষ্টি
মন বলছে এই বুঝি এলো
অবক পানে জানালার ফাঁকে
তপোলোক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রই।
রিনিঝিনি বৃষ্টির ফোঁটা
উঁচু তলা থেকে নিচুতলা গড়িয়ে
জানি এ পথধরে সে আসবে
বিষ্ময়কর এতটুকু অধৈর্য হইনি
পাগল মন বলছে আসবে
যে পথে দৃষ্টি অবধারিত।
হালকা পাতলা হলদে সেলোয়ারে
লম্বা ওড়নায় গাঁ ঢেকে সে এলো
আমার চোখ তার চোখে
লজ্জায় মুখ লুকালো।
উতলা মনের আবেগ বাড়ে
বৃষ্টির পানি মাথা গড়িয়ে
চোখ থেকে বুকের উপর
ফোঁটাফোঁটা জল পড়ল
বেশ দারুণ লেগেছে
মনটা ছুঁতে চাইল
লোক লজ্জার ভয় এলো
হঠাৎ বৃষ্টি থেমে গেল
চোখের ইশারায় বিদায় নিল
নিমিষে হৃদয় আনমনে ।