
জন্মদিনে
আর একটা জন্মবার
নিমবনের নির্বিকার একফোঁটা ঊষের মতো
হারিয়ে গেলো!
কোথাও নিমফুল ফুটলে বনের কুষ্ঠিতে
কোনো তোতাপাখি কি লিখে রাখো!
বসন্ত যাপনের প্রস্তুতি নিতে না নিতেই শীতকাল কাছে এলো,
আহারে আমি খুব শীতকাতর,
জানবো না শেষাবধি
কে জানি আমার পানি ফুটিয়ে দিলো!
বরাবরই মাটির ঘর আমার খুব প্রিয়,
মাথার উপর সারল্যে শুয়ে শুয়ে আগলে রাখা
শান্ত বাঁশের ছাউনিও আমার এক প্রিয়তম!
মাটি খুঁড়ে , বাঁশ কেটে যে আমার ওরকম
আশ্রম দিলো,
তাঁকে আমি কী দিবো?
মৃত্যুবার বসন্ত হলে নতুন পাতা গজাবে নিশ্চয়ই,
তার মধ্যে যে শীতপাতাটি ঝরে পরবে
তাকে তোমরা কোন ঋতুতে রেখে আসবে—
বসন্ত না শীতে?
জানোতো আমি খুব শীতকাতর,
আমারে জায়গা দিও এক চিলতে বসন্তের ভিতর!
জীবন
জন্মবার আমাকে তোমার
বড়ই ফুলের নাকফুল ছোঁয়াতে বলে,
মৃত্যুবার আমাকে বড়ই পাতার
কোমল-গরম পানি ছোঁয়াতে বলে,
জীবন আমাকে রৌদ্রবেলার
সুখচিলের মতো আকাশ উড়াতে বলে,
তার মাঝখানে এই সান্ধ্য জীবনের
হ্যারিকেন নিভে আর জ্বলে!
নাছোড় শিশু আমাকে তার মাটিতে পুতে রাখা
ডাকবাক্সে পুরোদমে ঢুকে যেতে বলে;
তারপর মেঘনাপাড় আমার হাড়ের জৈবসারে
কবরখানার বুনোফুল ফোটাতে বলে!
আন্ধারমানিকে একদিন
আন্ধারমানিকে আছো বসে ভাদর গাদল দিন,
প্রত্নমানিক হতে চেয়েছো, ভগ্ন কানাই সেদিন!
অথচ একদা বাসি হবে, ভালো বা মন্দ কোথাও—
রাত্রি বা দিনের মধ্যে হবে, নির্বাসিত একদিন!