Author Picture

কদম রোগের অব্যর্থ মহৌষধ

কামরুল আলম সিদ্দিকী

লেখক করোনার বাংলায়ন করেছেন ‘কদম রোগ’


আপনি কি কদম বা করোনাভাইরাস পজিটিভ অথবা করোনার লক্ষণ দেখা দিয়েছে? দয়া করে হোমিও এন্টিমোনিয়াম টার্টারিকাম ৩০ সেবন করুন। অল্প সময়েই সুস্থ হবেন। যে কয়জনকে এই ঔষধ ইতোমধ্যে প্রয়োগ করেছি তাঁদের সবাই খুবই স্বল্পতম সময়ের মধ্যে আরোগ্য লাভ করেছেন। এটি এন্টিমনি ও পটাশের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তৈরি অম্লক্ষার। ক্ষার যেহেতু কভিড১৯ ধ্বংস করতে সক্ষম, সেহেতু এটার উৎপত্তি রহস্য জানার পর এর সম্পর্কে কয়েকজন বিখ্যাত লেখকের মেটেরিয়া মেডিকা ও রেপার্টরি পড়েছি। পড়ার পর আরও চমৎকৃত হয়েছি যে এই ঔষধের রোগ লক্ষণও করোনার লক্ষণ সদৃশ। এটি মূলত কাশি, শ্বাসকষ্ট বা নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুদের দেয়া হতো। ওষুধটি খুব প্রচলিত না হওয়ায় ফেসবুকে দুবার স্ট্যাটাস দিয়েছি। এবং ব্যক্তিগত ভাবেও পরিচিত কজন ডাক্তার বন্ধুকে অনুরোধ করেছি, কিন্তু এখনও এর ব্যাপক ব্যবহার শুরু করা যায়নি। আর আর্সেনিক এলবামের ঘোর এখনও পুরোপুরি বাংলাদেশের বেশিরভাগ ডাক্তারের মাথা থেকে নামেনি। আমি ক্রিটিক্যাল কয়েকজনকে এন্টিমোনিয়াম টার্ট ৩০ প্রদান করে হাতে হাতে ফল পেয়েছি। বন্ধু ডাক্তার যাঁরা আমার বিশেষ অনুরোধে করোনায় এন্টিমোনিয়াম টার্ট দিয়েছেন তাঁরা একশ ভাগ সফল বলে জানিয়েছেন। এই একটিমাত্র মহামূল্যবান ঔষধ সেবনে পৃথিবী জুড়ে এই মুহূর্তে বেঁচে যেতে পারে বহু মানুষ। প্রয়োজন শুধু প্রচারণা। একটি কথা বলে রাখা ভালো যাদের বয়স কম, যারা সুস্থ সবল মানুষ তারা এমনিতেই সেরে যান। এক আধটু সমস্যাতে তাঁদের কোনো ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।

ক্রিটিক্যাল কয়েকজনকে এন্টিমোনিয়াম টার্ট ৩০ প্রদান করে হাতে হাতে ফল পেয়েছি। বন্ধু ডাক্তার যাঁরা আমার বিশেষ অনুরোধে করোনায় এন্টিমোনিয়াম টার্ট দিয়েছেন তাঁরা একশ ভাগ সফল বলে জানিয়েছেন। এই একটিমাত্র মহামূল্যবান ঔষধ সেবনে পৃথিবী জুড়ে এই মুহূর্তে বেঁচে যেতে পারে বহু মানুষ। প্রয়োজন শুধু প্রচারণা

অনেকে ভীত হয়ে শুরুতেই এন্টিবায়োটিক খান; যা শরীর দুর্বল করে দেয়। যেহেতু কভিড১৯ এর বিরুদ্ধে প্রকৃতপক্ষে কোনো কার্যকর এন্টিবায়োটিক নেই সেহেতু ওই এন্টিবায়োটিক শুধু জীবনীশক্তিই দুর্বল করে আর সেই সুযোগে করোনা আরও শক্তিশালী হয়ে আক্রমণ করে। এমন পরিস্থিতিতে বয়স্ক রোগিরাই বেশি বিপর্যয়ের সম্মুখীন হন। একটা পর্যায়ে ফুসফুস বা দেহের অন্য কোথাও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হলে এন্টিবায়োটিক না দিয়েও উপায় থাকে না। কাজেই অন্য ওষুধ শুরুর পূর্বেই হোমিও সেবন করলে রোগী সহজেই আরোগ্য লাভ করতে পারেন। যাঁরা এন্টিবায়োটিক খাচ্ছেন, ভালো হচ্ছেন না, অবস্থা আশঙ্কাজনক- যেমন জ্বর, শ্বাসকষ্ট(অক্সিজেন নিচে নেমে যায়),প্রচন্ড শুকনো কাশি, বমিভাব বা বমি,(বমি হলে বমির লক্ষণ দূর হয়) জ্বর, পেটের কম বেশি সমস্যা, ঘ্রাণ শক্তি নেই, অরুচি(তবে সবার সবগুলো লক্ষণ একরকম থাকেনা) এসব লক্ষণে এলোপ্যাথের মধ্যেও এন্টিমোনিয়াম টার্ট ৩০ প্রয়োগ করা যায়। আরোগ্য লাভ করবে। কভিড পজিটিভ জানা গেলে অথবা না জানলেও শুধু কাশি বা শ্বাসকষ্ট থাকলেও এন্টিমোনিয়াম টার্ট ৩০ নেয়া যায়।

করোনার জন্য লক্ষণভেদে চারটি ওষুধ নিম্নে উল্লেখ করা হলো। লক্ষণ মিলিয়ে সেবন করালে সুস্থতা সুনিশ্চিত। তবে একসঙ্গে দুটো ওষুধ খাওয়া যাবেনা, সুনির্বাচিত একটি ওষুধই যথেষ্ট

সেবন পদ্ধতিঃ ১০০মি. লি. অথবা এক কাপ ঠান্ডা পানিতে একফোঁটা মূল ওষুধ মিশিয়ে ১চামচ পানি খাবারের আধা ঘন্টা আগে বা পরে সকাল-দুপুর-সন্ধ্যায় তিনবার খেতে হয়। একবার খেয়ে কাপের বাকিটুকু ফেলে দিবেন(কোন অভিজ্ঞ ডাক্তার এন্টিমোনিয়াম টার্ট ৩০ সরাসরি খাওয়ার উপযোগী করেও দিতে পারেন; সেক্ষেত্রে ডাক্তারের কাছে সেবনের নিয়ম জেনে নেয়া উচিত)। ওষুধ খাওয়ার কমপক্ষে আধা ঘন্টা আগে বা পরে কিছুই খাবেন না। যদি একবার খেয়ে সুস্থ হয়ে যান দ্বিতীয়বার দরকার নাই। এভাবে দু’দিন খাবেন। তবে আশা করি দু’দিন খেতে হবেনা, ওষুধে ঝামেলা না থাকলে দু-তিনবারেই আরোগ্য লাভ
সম্ভব(***সুস্থ হলে বা সুস্থ অবস্থায় হোমিও ওষুধ খাবেন না)। ওষুধটি ম্যাজিকের মতো নিরাপদে কাজ করে(প্রমাণিত)।

এ প্রেক্ষিতে করোনার শুরুতে(২০.৩.২০২০)পড়াশোনায় অসম্ভব খাটুনি করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম; তখন এন্টিমোনিয়াম টার্টকেই প্রাধান্য দিয়েছিলাম(যখন আর্সেনিক এলবামের ব্যাপক মহড়া চলছিলো)। এ কয়দিনে আরো পর্যাপ্ত পড়াশোনা করার সুযোগ হয়েছে এবং ওষুধ প্রয়োগেরও সুযোগ হয়েছে। নিম্নশক্তির হওয়ায় বা এ ওষুধ গভীর ক্রিয়াশীল না হওয়ায় রোগির উপর বিরুপ প্রভাব পড়বেনা। আবারও বলছি আমি প্র্যাকটিস করিনা; আর্থিক সুবিধার চিন্তা আমার একেবারেই নেই। সম্ভব হলে জার্মান ওষুধ পুরোনো চালু ভালো পাইকারি দোকান থেকে নিন। বলে রাখা ভালো যে, এটি নিয়ে পরামর্শ করতে গেলে আর্সেনিক এলবাম ওয়ালা পন্ডিতের পাল্লায় পরতে পারেন। হোমিওপ্যাথিতে এমন কোনো প্রতিষেধক নেই যা কোনো রোগ ঠেকিয়ে রাখতে পারে, যারা রোগ হওয়ার আগেই আর্সেনিক এলবাম সেবনের কথা বলছেন, তারা না পড়ে, না বুঝে বলছেন। যেকথা হ্যানিম্যান বলে যাননি বা কোনো মনীষী হোমিও ডাক্তার বলতে পারেনি তা এখন কোথায় পাওয়া গেলো!

হোমিওপ্যাথিতে এমন কোনো প্রতিষেধক নেই যা কোনো রোগ ঠেকিয়ে রাখতে পারে, যারা রোগ হওয়ার আগেই আর্সেনিক এলবাম সেবনের কথা বলছেন, তারা না পড়ে, না বুঝে বলছেন। যেকথা হ্যানিম্যান বলে যাননি বা কোনো মনীষী হোমিও ডাক্তার বলতে পারেনি তা এখন কোথায় পাওয়া গেলো

সাবধান থাকুন যে আর্সেনিক এলবাম বিষ থেকেই প্রস্তুত। এ ওষুধের ক্রিয়া মানুষের শরীরে ২/৩ মাস থাকে। সুস্থ শরীরে খেয়ে ইতোমধ্যে অনেকেই রোগাক্রান্ত হয়েছেন। যারা সবল তাদের মধ্যে রোগ লক্ষণ প্রকাশ না পেলেও ভেতরে ভেতরে তারা অনেক রোগেই আক্রান্ত হয়ে যাবেন। কারণ আর্সেনিক এলবামের অনেকগুলো রোগলক্ষণ যা করোনার লক্ষণের সাথে কোনো মিল নেই। মর্মাহত হয়েছি যে এদেশের অনেক ডাক্তার, এবং হোমিও অধ্যাপকরাও আর্সেনিক এলবাম প্রতিষেধক হিসেবে খাওয়ার জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছে।
এর মূল কারণ হলো ভারতের আয়ুশ(AYUSH) মন্ত্রণালয় করোনা আসার শুরুতে করোনা আক্রান্ত রোগিকে আর্সেনিক এলবাম ৩০ প্রয়োগের কথা বলেছিলো কিন্তু পরবর্তীতে তাঁরা এ-ও বলেছে আর্সেনিক এলবাম খেয়ে কোনো করোনা রোগী ভালো হয়নি।

আমি দ্বিতীয় স্ট্যাটাসে একথা বলেছিলাম। কিন্তু ভারতের আয়ুশ মন্ত্রণালয়ের প্রথম বক্তব্যকে পুঁজি করে বাংলাদেশে আর্সেনিক এলবামের বাজার তৈরি করা হয়েছে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। প্রথম স্ট্যাটাসে আমি এন্টিমোনিয়াম টার্টকেই প্রাধান্য দিয়েছিলাম, ভারতের আয়ুশ মন্ত্রণালয়ের স্ট্যাটাসের কারণে আর্সেনিক এলবামকে আমিও তিন নম্বরে রেখেছিলাম। কিন্তু পাশাপাশি এও বলেছিলাম যে করোনার সাথে আর্সেনিকের বিসদৃশ লক্ষণ আছে। এখন আমি এটা পরিষ্কার বলতে পারি যে আর্সেনিক এলবাম করোনার আগেই বা করোনা হলেও খাওয়ানো যাবেনা। আগের স্ট্যাটাসে আমি লক্ষণভেদে চারটি ওষুধের কথা বলছিলাম। এবার তিন নম্বরের আর্সেনিক এলবাম বাদ দিলাম ;দুই নম্বরে যুক্ত করলাম ইপিকাকুয়েনা। করোনার জন্য লক্ষণভেদে চারটি ওষুধ নিম্নে উল্লেখ করা হলো। লক্ষণ মিলিয়ে সেবন করালে সুস্থতা সুনিশ্চিত। তবে একসঙ্গে দুটো ওষুধ খাওয়া যাবেনা, সুনির্বাচিত একটি ওষুধই যথেষ্ট(যে কোনো রোগেই)

১) ***এন্টিমোনিয়াম টার্টারিকাম ৩০(করোনার সবগুলো লক্ষণের সাথে সদৃশ আছে- শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ঘ্রাণশক্তি না থাকা, বমিভাব বা বমি, পেটের সমস্যা)
২)** ইপিকাকুয়েনা ৩০(উপরের লক্ষণের মিল আছে তবে কাশি বের হয়)
৩) *ব্রায়োনিয়া ৩০(কাশি, শ্বাসকষ্টে যদি বুকে ব্যথা থাকে তবে ব্রায়োনিয়া নেয়া যাবে)
৪)* ফসফরাস৩০ বা আরও নিম্নশক্তি (১নং ঔষধের লক্ষণের সাথে মিললে বুদ্ধিমান, লম্বা, পাতলা, অনুভূতিপ্রবণ লোকদের ফসফরাস দেয়া যেতে পারে; তবে যক্ষারোগীর ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ ছাড়া এ ওষুধ খাওয়া যাবে না)।

২,৩,৪ নং ঔষধ পরীক্ষিত নয়। তবে কদম বা করোনার লক্ষণের সাথে এগুলোর সামঞ্জস্য আছে। আবারও বলে রাখা ভালো, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন, বাইরে থেকে ফিরে লবঙ্গ, এলাচের ফুটন্ত পানির পাতিলের উপর মুখ রেখে নাক, মুখ দিয়ে টেনে যতটুকু সহ্য হয় ততটুকু ভাপ নিন; চোখেও গরম বাষ্প লাগান(সহ্যমত)। লবঙ্গ শ্বাসতন্ত্রের জীবানু বিনাশে কার্যকর ভূমিকা রাখে। অনেকে পানির সাথে অনেক উপাদান মেশান, অনর্থক নানাবিধ পদার্থ মিশিয়ে দীর্ঘদিন ভাপ নিলে আরেক উপসর্গের উপস্থিতি ঘটতে পারে। জনসম্মুখে মাক্স ব্যবহার সুনিশ্চিত করা আবশ্যক। বাইরে থেকে কোন জিনিস ঘরে আনলে তা সাবান দিয়ে ধুয়ে ব্যবহার করা উচিত; যেটাতে সাবান লাগানো সম্ভব নয় তা একদিন নিরাপদে এক জায়গায় রেখে দিয়ে তারপর ব্যবহার করা দরকার।
মনে বল রাখবেন। মনের শক্তির উপর জীবনী শক্তি অনেকাংশে নির্ভর করে। জীবনী শক্তি রোগের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত লড়াই করছে। একে দুর্বল হতে দেবেন না। এই অদৃশ্য শক্তিকে আপনি আপনার জীবন দেবতাও বলতে পারেন। অদৃশ্য আল্লাহ, ঈশ্বর, ভগবান(যে নামেই বলেন) এর মধ্যেই সমাসীন থেকে আপনার আমার জীবন পরিচালিত করছেন। তিনি আকাশের কোথাও দাঁড়িয়ে থাকেন না। সকলের উপরই মঙ্গল বর্ষিত হোক।

সূত্রঃ
১)অর্গানন অব মেডিসিনঃ ডাঃ হ্যানিম্যান
২) ডাঃ কেন্ট, (ম্যাটেরিয়া মেডিকা)
৩)ডাঃ বোরিক,(ম্যাটেরিয়া মেডিকা)
৪)ডাঃ আবু হোসেন সরকার( মেটেরিয়া মেডিকা)
৫)ডাঃ কেন্ট এর রেপার্টরী অফ দি হোমিওপ্যাথিক ম্যাটেরিয়া মেডিকা
৬)ইন্টারনেট ও হোমিওপ্যাথের অন্যান্য সহায়ক গ্রন্থ।


দরকার হলে লেখকের সঙ্গে এই মেইলে যোগাযোগ করতে পারেন- kamrulsiddiq@gmail.com.

আরো পড়তে পারেন

আওরঙ্গজেব ও শম্ভাজির মিথ বনাম ইতিহাস: প্রসঙ্গ ছাবা চলচ্চিত্র

বর্তমানে বিজেপির সংঘ পরিবার প্রায় তিন’শ বছর আগের ভারতের এমন এক সম্রাটের কবর মহারাষ্ট্রের খুলদাবাদ থেকে সরিয়ে দেয়ার আন্দোলন করছেন- যিনি ইতিহাসে ভারতকে সর্বকালের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রের মানচিত্র ও সংহতি উপহার দিয়েছিলেন, যার আয়তন ছিল চল্লিশ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার- যা ছিল বর্তমান ভারতের চেয়ে আট লক্ষ বর্গ কিলোমিটার বড়, তাঁর অধীকৃত রাষ্ট্রটিই ভারত এখনো তারা….

মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা: বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যা জানা গিয়েছে, যা জানা সম্ভব

এক মহান যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের দেশটি স্বাধীন হয়েছে। এর পেছনে রয়েছে অসংখ্য মানুষের অপরিসীম আত্মত্যাগ। নানা সূত্র থেকে আমরা শুনে এসেছি ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমাদের এ স্বাধীনতা। অনেকেই আবার ৩০ লক্ষ শহীদের সংখ্যাটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এমন প্রশ্ন ওঠার মূলে রয়েছে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার ব্যাপারে ৭১-পরবর্তী শাসকদের উদাসীনতা। তারা এত বছরেও শহীদের সংখ্যা….

জর্জ অরওয়েলের নৌকাডুবি

১৯৪৪ সালের কথা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ মুহূর্তে হিটলার যেন মরিয়া হয়ে উঠেছে যুদ্ধে জয় পেতে। তার মরণকামড়ের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে নানা দেশের নানা শহর ও জনপদ। জার্মান বাহিনীর ভি-ওয়ান নামক উড়ন্ত যুদ্ধজাহাজগুলো মুহুর্মুহু বোমাবর্ষণ করেছে লন্ডন শহরে। বিমানবাহিনীর এমন দুর্দৈব তাণ্ডবে আতঙ্কগ্রস্ত মানুষজন সব আশ্রয় নিচ্ছে মাটির তলার বাঙ্কারে ও পাতাল রেলের সুড়ঙ্গে। এমনই একদিন….

error: Content is protected !!