Author Picture

ইয়ে থেকে বিয়ে

অপূর্ব চৌধুরী

জগতের বেশিরভাগ বিয়ে প্রথমে হয় দুটো পরিবারের মধ্যে। তারপর সর্ম্পক হয় দুটো মানুষে। এটাকেই লোকে এখন বলে এরেঞ্জড ম্যারেজ। আদি কাল থেকেই এটা হয়ে আসছিল, এখনও বেশিরভাগ বিয়েগুলো পারিবারিক সম্মতি ও সর্ম্পকে হয়। বিয়েতে সর্ম্পক হয় না, সর্ম্পক গড়ে। প্রেমে সর্ম্পক গড়ে ওঠে।

আধুনিক প্রেমের বিয়ে যতটা সিনেমা গল্পে হয়, বাস্তবে ঠিক ততটা নয়।  বিয়ের আগে প্রেম- মানুষটিকে বোঝার; বিয়ের পরে প্রেম- প্রেমকে বোঝার।

বিয়ে একটি সর্ম্পক, সামাজিক সর্ম্পক, দুটো মানুষের দৈহিক সর্ম্পকের সামাজিক সম্মতি। কিন্তু একমাত্র সর্ম্পক নয়৷ সর্ম্পকটাকে সমাজ সভ্যতার নামে একমাত্র করা হয়৷ বন্ধু অনেক থাকে, পথ চলতে চলতে একেকজনের সাথে একেকটি ভালো লাগা কাজ করে। ভালো লাগার হাত ধরেই সর্ম্পক বন্ধুত্বময় হয়ে ওঠে, সর্ম্পক গড়ে বন্ধুত্ব যেন বন্ধু হতে চাওয়ায় ছোটে।

বিয়ে ঠিক এমন একটি বন্ধুত্ব যা অন্য বন্ধুত্বের মতো হয়েও ভিন্ন৷ বন্ধুত্বের মধ্যে যেমন সর্ম্পকের একেকটি সূত্র কাজ করে, তেমনি বিয়ের ভিতরেও বিয়ে ভিন্ন আরো কিছু সর্ম্পক কাজ করে, কাজ করতে বাধ্য৷ বিয়ের বন্ধুত্বের সূত্র এক ধরণের, আবার নিজের ভালোলাগাকে কেন্দ্র করে অনেক বন্ধু যেমন থাকে, বিয়ের বন্ধুত্বের সূত্রের বাহিরেও তেমনি অনেকগুলো সূত্রের সর্ম্পক থাকা স্বাভাবকি। কিন্তু সমাজের ভয়ে, কৃত্রিম নিয়মের ভয়ে এতো বড় অ-প্রাকৃতিক অনিয়মকে মানুষ নিয়ম বানিয়ে মানতে বাধ্য করছে৷

জোর করে নিয়ম মানতে গিয়ে আড়ালে জন্ম নেয় অনিয়মের পাহাড়। বিয়ে মানে দুটি মনের ভালো লাগায় হাতকড়া।

আরো পড়তে পারেন

আওরঙ্গজেব ও শম্ভাজির মিথ বনাম ইতিহাস: প্রসঙ্গ ছাবা চলচ্চিত্র

বর্তমানে বিজেপির সংঘ পরিবার প্রায় তিন’শ বছর আগের ভারতের এমন এক সম্রাটের কবর মহারাষ্ট্রের খুলদাবাদ থেকে সরিয়ে দেয়ার আন্দোলন করছেন- যিনি ইতিহাসে ভারতকে সর্বকালের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রের মানচিত্র ও সংহতি উপহার দিয়েছিলেন, যার আয়তন ছিল চল্লিশ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার- যা ছিল বর্তমান ভারতের চেয়ে আট লক্ষ বর্গ কিলোমিটার বড়, তাঁর অধীকৃত রাষ্ট্রটিই ভারত এখনো তারা….

মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা: বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যা জানা গিয়েছে, যা জানা সম্ভব

এক মহান যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের দেশটি স্বাধীন হয়েছে। এর পেছনে রয়েছে অসংখ্য মানুষের অপরিসীম আত্মত্যাগ। নানা সূত্র থেকে আমরা শুনে এসেছি ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমাদের এ স্বাধীনতা। অনেকেই আবার ৩০ লক্ষ শহীদের সংখ্যাটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এমন প্রশ্ন ওঠার মূলে রয়েছে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার ব্যাপারে ৭১-পরবর্তী শাসকদের উদাসীনতা। তারা এত বছরেও শহীদের সংখ্যা….

প্রতিটি শূন্যতা যেন নতুন শোকের জন্ম দেয়

শূন্যতার আকাশে স্মৃতির মেঘ জমে। জীবন সরে সরে আসে মৃত্যুর দিকে। ফুরিয়ে আসা সময়ের দাপট এড়াতে পারে না কেউ। একজীবনে বহু জীবনাবসানের দেখা পাওয়া যায়, হয়তো দুর্ভাগ্যক্রমেই। ব্যক্তির মৃত্যুর পরিসমাপ্তি একবারই হয়, তবে সেই ব্যক্তি যদি বহুপ্রাণের সাথে জুড়ে থাকেন, তাঁর অনুপস্থিতি বারংবার অনুভূত হয়। প্রতিটি শূন্যতা যেন এক নতুন শোকের জন্ম দেয়। ২০২৪ সালে….

error: Content is protected !!