Author Picture

আমার লেখালেখি এবং আমার প্রশ্নগুলো একে অপরের সাথে জড়িত: হান ক্যাং

মেজবাহ উদদীন

স্বার্থপরতার গল্পে মোড়ানো জীবনের পাতায় পাতায় অসুখ। তবু জীবনের কাছে বাড়তে থাকা দায় শোধে মনোযোগী যারা, হান ক্যাং তাদেরই দলে। দক্ষিণ কোরিয়ান এই ঔপন্যাসিক, শিশু সাহিত্যিক, কবি জিতে নিয়েছেন ২০২৪ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার। মানব জীবনের দুঃখ-কষ্ট কাব্যিকভাবে রূপায়ন করার স্বীকৃতি হিসেবে হান ক্যাংকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম সাহিত্যিক হিসেবে হান ক্যাং নোবেল পেলেন। এর আগে ২০১৬ সালে ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’ উপন্যাসের জন্য পেয়েছিলেন ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল। পাঠক মহলে বেশ আলোচিত ৪৫ বছর বয়সী হান ক্যাং তার প্রজন্মের সবচেয়ে প্রশংসিত মহিলা লেখক। ডয়চে ভেলে’র সাবিনা পেশেল ২০১৭ সালের বার্লিন সাহিত্য উৎসবে হান ক্যাং-এর পুরস্কারপ্রাপ্ত বই ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’ এবং পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে লেখকের সাথে যে আলোচনা করেছেন তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ পাঠকের জন্য অনুবাদ করেছেন মেজবাহ উদ্দিন


আপনার বই ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’ ২০০৭ সালে প্রথম প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু বইটি ইংরেজি অনুবাদে এত বছর দেরি করা হলো কেন?

: আমার যতদূর মনে পরে, বইটির ইংরেজি অনুবাদের লাইসেন্স ২০১৩ সালে বিক্রি হয়েছিল। যদিও এর আগেই বইটি জাপানি, চীনা, ভিয়েতনামী, পোলিশ, স্প্যানিশ এবং পর্তুগিজ ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছিল।

আপনি ইন্টারন্যাশনাল ম্যান বুকার পুরস্কার ২০১৬ পেয়েছেন— ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’ এর মূল ভার্সন প্রকাশের প্রায় ৯ বছর পর। ইংরেজি অনুবাদের পর এর সাফল্য দেখে আপনি কি অবাক হয়েছিলেন?

: আমি অবাক হয়েছিলাম এবং বেশ অদ্ভুত ভালো লাগছিল। বিশেষ কারণ, আমি এই উপন্যাসটি প্রায় এগারো বছর আগে লিখেছিলাম।

আপনার বই কি কোরিয়াতে বেস্টসেলার হয়েছে?

: এখন এটি বেস্টসেলার। তবে ৯ বছর আগে যখন এটি প্রকাশিত হয়েছিল, তখন ছিল না। যদিও এটি নিয়মিত বিক্রি হচ্ছিল, কিন্তু সাধারণ পাঠকের কাছে এটি ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়নি। পুরস্কার পাওয়ার পর এ বছর থেকে এটি বেস্টসেলার হয়েছে।

আপনি অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। ইন্টারন্যাশনাল ম্যান বুকার পুরস্কার আপনার জন্য কি বিশেষ কিছু?

: ইন্টারন্যাশনাল ম্যান বুকার পুরস্কার পাওয়ার পর, কোরিয়ায় আমার দৈনন্দিন জীবন পরিবর্তিত হয়েছে। আমি বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। আমি ব্যাপক প্রচার থেকে পালিয়ে এসেছি। আমি আমার ডেস্কে ফিরে যাওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। আমার পরবর্তী কাজের জন্য নিজের একটি শান্ত কোণ প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এতে সময় লেগেছে। এখন আমি এই নতুন পরিস্থিতির সাথে নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছি। আমি আমার পরবর্তী বইটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লিখতে চেষ্টা করব।

আপনার পরবর্তী বই কী? এবং এটি কী সম্পর্কে?

: এটি ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’র মতো একটি ত্রয়ী হতে যাচ্ছে। আমি একটি অংশ ইতোমধ্যে শেষ করেছি এবং বাকি দুটি লিখতে হবে। এখন আমার লেখার জন্য কিছু নির্জন সময় প্রয়োজন। আমার আরেকটি কাজ ইংরেজি, ডাচ এবং ফরাসি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে এবং এটি আগামী বছর জার্মানিতে প্রকাশিত হবে। যার ইংরেজি শিরোনাম ‘হিউম্যান অ্যাক্টস’। এই উপন্যাসটি ১৯৮০ সালে আমার শহর গুয়াংজুতে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ড নিয়ে।

এখন এটি বেস্টসেলার। তবে ৯ বছর আগে যখন এটি প্রকাশিত হয়েছিল, তখন ছিল না। যদিও এটি নিয়মিত বিক্রি হচ্ছিল, কিন্তু সাধারণ পাঠকের কাছে এটি ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়নি। পুরস্কার পাওয়ার পর এ বছর থেকে এটি বেস্টসেলার হয়েছে

আপনি গুয়াংজুতে জন্মগ্রহণ করেছেন। আপনার কাছে এই স্থানটির কী গুরুত্ব? কেন আপনি ঐতিহাসিক সহিংসতা সম্পর্কে লেখার প্রয়োজন অনুভব করেন?

: আমার প্রবণতা অনেক ইর্ন্টানাল। তাই সবাই অবাক হয়েছিল যখন আমি ‘হিউম্যান অ্যাক্টস’ প্রকাশ করলাম, কারণ এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাথে সম্পর্কিত। কিন্তু এই উপন্যাসটি আমার মানুষের হওয়ার প্রশ্ন থেকে শুরু হয়েছিল। আমি মাত্র নয় বছর বয়সে আমার পরিবার নিয়ে গুয়াংজু থেকে সিউলে চলে যাই।

১২ বছর বয়সে আমি একটি ফটো বই দেখেছিলাম যা হত্যাকা-ের পর গোপনে প্রচার করা হয়েছিল। আমি ভীষণভাবে কেঁপে উঠেছিলাম এবং ফটো বইয়ে দুটি অমীমাংসিত প্রশ্ন ছিল: এটি ছিল মানব নিষ্ঠুরতা সম্পর্কে এবং এটি মানব মর্যাদা আর শক্তি সম্পর্কেও ছিল। আমি মনে করতে পারি, আমি সেখানে গুলিতে আহতদের জন্য রক্ত দানে ইচ্ছুক মানুষের একটি অতি দীর্ঘ সারি দেখেছি। এই প্রশ্নগুলো আমার মধ্যে গেথে গিয়েছিল। আমি হত্যাকা-ের বিষয়ে লিখতে চাইনি। আমি শুধু মানুষ হওয়ার অর্থটি অন্বেষণ করতে চেয়েছিলাম।

যখন আমি ৪২ বছর বয়সে পৌঁছাই, তখন বুঝতে পারি যে আমাকে মানবতার বিষয়ে আমার নিজের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। তারপর আমি গুয়াংজু এবং আরও অন্যান্য সহিংসতার উপকরণ সংগ্রহ করতে শুরু করি, যেমন— নানজিং হত্যাকা- বা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বা বসনিয়া— এবং আরও অনেক কিছু। তারপরই আমি ‘হিউম্যান অ্যাক্টস’ শেষ করতে পেরেছিলাম।

মানব প্রকৃতির প্রশ্নটি ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’র কেন্দ্রেও রয়েছে। সেখানে আপনার নায়ক ইয়ং-হাই উদ্ভিদে পরিণত হওয়ার ধারণায় আচ্ছন্ন। আপনার এই ধারণাটি কোথা থেকে এসেছে?

: ১৯৯৭ সালে, হঠাৎ এই ছবিটি আমার কাছে আসে যে— একজন নারী উদ্ভিদে পরিণত হবে। আমি সেটা নিয়ে একটি ছোটগল্প লিখেছিলাম, যার ইংরেজি শিরোনাম ‘দ্য ফ্রুট অফ মাই ওম্যান’— এটি জার্মান ভাষায়ও অনুবাদ করা হয়েছে। সেই ছোট গল্পে, একজন মহিলা আক্ষরিক অর্থে একটি উদ্ভিদে পরিণত হন এবং তার স্বামী তাকে একটি পাত্রে রেখে জল দেয়। তারপরও তিনি শুকিয়ে যান। সেই ছোট গল্পের শেষ দৃশ্যে তার স্বামী ভাবছেন— তার স্ত্রী কি পরের বসন্তে আবার প্রস্ফুটিত হতে চলেছেন কিনা! এটি কোনো ভৌতিক গল্প নয়। এটি এক ধরণের জাদু; আর আমাদের চারপাশে অতিপ্রাকৃত অনেক ঘটণা ঘটে। যদিও জাদুর উপাদানগুলো শান্তভাবে বোঝানো হয়।

আপনার উপন্যাসটি কি কাল্পনিক বা ভৌতিক হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে? আপনি কি একমত হবেন?

‘দ্য ফ্রুট অফ মাই ওম্যান’ ছোটগল্পের পরে আমার এই অনির্বচনীয় অনুভূতি হয়েছিল যে, এটি এখনও শেষ হয়নি। আমি এই চিত্র নিয়ে আবার কাজ করতে চেয়েছিলাম যে, কেউ উদ্ভিদে পরিণত হচ্ছে। কয়েক বছর পরে, আমি এই উপন্যাসটি লিখতে শুরু করি। এই উপন্যাসটি আরও অতিপ্রাকৃত এবং আরো উগ্র। আমি মনে করি না এটি জাদুকরী বা কাল্পনিক। তবে হয়তো কিছু মানুষ এটিকে রূপকথা হিসেবে পড়তে পারে, কারণ আমার নায়িকা ইয়ং-হাই আর মানবজাতির অন্তর্ভুক্ত হতে চান না। তিনি বিশ্বাস করেন যে, তিনি একটি উদ্ভিদে পরিণত হচ্ছেন এবং নিজেকে বাঁচাচ্ছেনÑ তবে পরিহাস হলো তিনি মৃত্যুর দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। তাই আমি মনে করি এটি রূপকথার মতো পড়া যেতে পারে।

আপনার উপন্যাসটি কাফকার ‘দ্য মেটামরফোসিস’র সাথে তুলনা করা হয়। আপনি কি একমত?

: কোরিয়াতে এটি প্রকাশের পর— এমনকি ছোটগল্প ‘দ্য ফ্রুট অফ মাই ওম্যান’র পরও কিছু মানুষ এটিকে কাফকার ‘দ্য মেটামরফোসিস’-এর সাথে তুলনা করেছেন। অবশ্যই আমি কিশোর বয়সে অন্য অনেকের মতো কাফকা পড়েছিলাম, এবং আমি মনে করি কাফকা এই পৃথিবীর অংশ হয়ে গেছেন। আমি তার কাজগুলো পছন্দ করি।

তাছাড়াও, পুরোনো কোরিয়ার একটি গল্প আছে যেটা জোসন রাজবংশের সময়ের একটি প্রাচীন কাহিনী। সেই গল্পে, একজন পণ্ডিত রয়েছে যে তার অফিসের কঠিন কাজ থেকে যখন ঘরে ফিরে আসে, তখন তার ঘরটি ফুল আর গাছপালায় পূর্ণ থাকে এবং সে গাছগুলোর পাশে শুয়ে থাকে এবং গাছগুলোর সাথে কথা বলে; এভাবেই সে শান্তি খুঁজে পায়। এবং আমার মনে আছে, আমি ১৯২০-এর দশকের ইয়ি সাং নামের এক কবির একটি লাইন পড়েছিলাম। যেখানে বলা হয়েছিল, ‘আমি বিশ্বাস করতে চাই মানুষের উদ্ভিদ হওয়া উচিত।’ আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছিলাম তখন এটি পড়েছিলাম। তাই আমি মরে করি, বইটি লেখার সময়— কাফকা, ঐ প্রাচীন কাহিনী, ইয়ি সাং, এবং আরও অনেক কিছু আমার মধ্যে জীবন্ত ছিল। যদিও তাদের কারোরই সরাসরি কোনো প্রভাব ছিল না।

ইন্টারন্যাশনাল ম্যান বুকার পুরস্কার পাওয়ার পর, কোরিয়ায় আমার দৈনন্দিন জীবন পরিবর্তিত হয়েছে। আমি বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। আমি ব্যাপক প্রচার থেকে পালিয়ে এসেছি। আমি আমার ডেস্কে ফিরে যাওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। আমার পরবর্তী কাজের জন্য নিজের একটি শান্ত কোণ প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এতে সময় লেগেছে

কিছু সমালোচক লিখেছেন যে— আপনার উপন্যাসগুলো সবসময় সহিংসতা, শোক বা দুঃখের বিষয় নিয়ে কাজ করে। আপনার উপন্যাস ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’ কি কোরিয়ান সমাজের সাথে সম্পর্কিত?

: আমার মনে হয় এই উপন্যাসের কিছু স্তর রয়েছে, যেমন— মানব সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করার সম্ভাবনা বা অসম্ভবতা, নিখুঁতভাবে নির্দোষতা অর্জনের চেষ্টা, অন্যদের বোঝার জটিলতা, উন্মাদনা এবং স্বাভাবিকতার সংজ্ঞা নির্ধারণ ইত্যাদি। যখন আমি উপন্যাসটি লিখছিলাম, তখন আমি অনুভব করেছিলাম যে, এগুলো খুবই সার্বজনীন প্রশ্ন। আমি একমত নই যে এই উপন্যাসটি কেবল কোরিয়ান সমাজ বা পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি বিশেষ অভিযোগ।

এটি একটি বিশেষ নারীর প্রতি অনেক সহিংসতার বর্ণনা দেয় এবং তার দ্রবীভূত হওয়ার ইচ্ছার কথা বলে। এটি কি মহিলাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার একটি সাধারণ ঘটনা যা আপনার আগ্রহের কারণ হয়েছিল?

: আমি বলতে পারি যে, উপন্যাসের এক স্তরে নারীদের নীরব চিৎকারের একটি কণ্ঠস্বর রয়েছে। তবে আমি মনে করি আপনি যদি শুধুমাত্র একটি নারীর কণ্ঠ হিসেবে উপন্যাসটি ব্যাখ্যা করেন তবে এটি বইটির মূল ভাবকে সীমিত করে ফেলতে পারে। হ্যাঁ, নায়িকা ইয়ং-হাই-এর বাবা একজন ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রবীণ সৈনিক। একটি খুব সহিংস দৃশ্য রয়েছে, যেখানে সে তার মেয়েকে মাংস খাওয়ানোর জন্য শারীরিকভাবে বাধ্য করে। এই দৃশ্যটি ওভারল্যাপ হয় যখন চিকিৎসকরা ইয়ং-হাইকে মানসিক হাসপাতালে জোর করে খাওয়াচ্ছেন। সরলীকরণের ঝুঁকি নিয়ে বললে বলা যায় যে, তারা ইয়ং-হাইয়ের দৃঢ় সংকল্পের বিরুদ্ধে সহিংসতার প্রতীক হিসেবে কাজ করেছে।

তিনি কি একজন ‘অ্যান্টি-হিরো’?

: কিছু মানুষ বলেন যে তিনি খুবই নিষ্ক্রিয় বা খুবই দুর্বল। কিন্তু আমি তা মনে করি না। আমি মনে করি তিনি খুবই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং শক্তিশালী একজন মানুষ। তিনি খুবই অধ্যবসায়ী। তার নিজস্ব কোনো কণ্ঠ নেই। তিনি পর্যবেক্ষণের একটি বস্তু হিসেবে আছেন। তবে তিনি সত্যিই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ একজন মানুষ। আমি আশা করি পাঠকরা তার চারপাশের মানুষদের পর্যবেক্ষণের টুকরো টুকরো অংশ এখান থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ, চাইলে আপনি তাকে একজন ‘অ্যান্টি-হিরো’ বলতে পারেন।

উপন্যাসের দ্বিতীয় অংশটি ইয়ং-হাইয়ের বোনের স্বামীর দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা হয়েছে, যিনি তাকে ফুল দিয়ে তার শরীর রঙ করে শিল্পকর্মে পরিণত করার এবং তার সাথে প্রেম করার ধারণায় মুগ্ধ হন। এটি অনেকাংশে যৌনতা এবং আবেগ সম্পর্কে। তবে কেন এটি শুধুমাত্র প্রেমহীন প্রেম?

: আমি আপনার সাথে একমত যে এই উপন্যাসের জগতে কোনো ভালোবাসা নেই। তবে শেষ দৃশ্যে— ইয়ং-হাইয়ের বড় বোন অ্যাম্বুলেন্সের জানালা দিয়ে তাকিয়ে থাকে। এবং তার দৃষ্টিতে কিছু একটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ থাকে, একটি উত্তরের জন্য অপেক্ষা করে। আমি মনে করি, এই উপন্যাসটি ঠিক এমনই: প্রতিবাদ করছে এবং একটি উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে। এটাই এই উপন্যাসের জগৎ।

সহজভাবে বললে, এই উপন্যাসটি কি অমানবিকতা এবং মানব কষ্টের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ?

: ইয়ং-হাই আর মানুষের অংশ হতে চান না। এটি তার কষ্ট এবং তার দৃঢ়সংকল্প, আমি মনে করি এটাই এই বইয়ের কেন্দ্র। আমার লেখালেখি এবং আমার প্রশ্নগুলো একে অপরের সাথে জড়িত, তারা একসাথে চলছে। আমি আশা করি আমার সব প্রশ্ন সত্য এবং আন্তরিক।

সূত্র: ডয়চে ভেলে

আরো পড়তে পারেন

দৃঢ়তা ও প্রতিরোধের গল্পগুলোর মাধ্যমে আপনি একটি শক্তিশালী চরিত্র তৈরি করতে পারেন: মোহাম্মদ এল-কুর্দ

গাজা, যেখানে কিছুই নেই, আছে শুধু ধ্বংসাবশেষ। তবুও তো আছে! স্মৃতির গহিন থেকে উঁকি দেয় এক সময়কার সেই ছাদ, সেই বারান্দা, সেই অলিভ বাগান। স্মৃতিতে যা অক্ষত, তারই ক্ষতবিক্ষত রূপের সামনে আজ দাঁড়িয়ে গাজার মানুষ। তবু বৈধ তাদের মাতৃভূমিকে ভালোবেসে কষ্ট ভুলে থাকার আদিম আকাঙ্ক্ষাটুকু। তাদেরই একজন মোহাম্মদ এল-কুর্দ। এই লেখক, কবি, সাংবাদিক তার Perfect….

সোলেইমানি ছিলেন একজন বীর এবং তার ধর্ম, মাতৃভূমি ও জনগণের রক্ষক: ওলেগ রয়

তার জীবনের শেষ কয়েক দশকে দেশপ্রেম আর মানবতা বহুরূপে সামনে এসে দাঁড়িয়েছিল। প্রতিবারই তিনি দেশপ্রেম আর মানবতাকে আরও উঁচুতে নিয়ে গিয়েছেন। তিনি শুধু একজন সৈনিক ছিলেন না-তিনি ছিলেন একজন অভিভাবক, একজন রক্ষক। সত্যের রাজ্যে একজন বীর, যার লড়াই শুধু নিজের মাতৃভূমিতে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং অন্যদের জন্যও বিস্তৃত ছিল। তিনি শহিদ হয়েছিলেন সেই সাম্রাজ্যের হাতে,….

নিজেকে বাদ দিয়ে অন্য কেউ হয়ে ওঠার সুযোগ খুব বেশি পাওয়া যায় না: হারুকি মুরাকামি

তখনো শহরের ষড়যন্ত্রে পা দেয়নি গ্রাম, মানুষের মনের দখল মানবতার কাছেই ছিল। সেই বিংশ শতাব্দীর প্রতিনিধি হারুকি মুরাকামি আধুনিক জাপানি সাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় লেখক। তার রচনাগুলো শুধু জাপান নয়, বরং সারা বিশ্বের পাঠকদের মন জয় করেছে। তার লেখার অনন্য শৈলী, গভীর চরিত্র বিশ্লেষণ এবং বাস্তবতার সঙ্গে অলৌকিকতার মিশ্রণে গড়ে ওঠা গল্পগুলো তাকে বিশ্ব….

error: Content is protected !!