প্রবন্ধ

একাত্তরের গণহত্যা প্রতিহত করা কি সম্ভব ছিল?

২৫ মার্চ কালরাতে বাঙালি জাতির স্বাধিকারের দাবিকে চিরতরে মুছে দিতে পাকিস্তানি নরঘাতকেরা যে নৃশংস হত্যাকান্ড চালিয়েছিল, তা বিশ্ব ইতিহাসে চিরকাল কলঙ্কময় অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। ওই এক রাতেই শুধুমাত্র ঢাকা শহরেই ৭ হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়। গ্রেফতার করা হয় প্রায় তিন হাজার। এর আগে ওই দিন সন্ধ্যায়, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সমঝোতা আলোচনা একতরফাভাবে….

ভাষা আন্দোলনে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী চেতনা

আগের পর্বে পড়ুন— চূড়ান্ত পর্যায় (১৯৫৩-১৯৫৬ সাল) ভাষা আন্দোলন পাকিস্তানের সাম্রাজ্যবাদী আচরণের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ ও একটি সার্থক গণআন্দোলন। এই গণআন্দোলনের মূল চেতনা বাঙালী জাতীয়তাবাদ। জাতীয়তাবাদ হলো দেশপ্রেম থেকে জাত সেই অনুভূতি, যার একটি রাজনৈতিক প্রকাশ রয়েছে। আর, বাঙালি জাতিসত্তাবোধের প্রথম রাজনৈতিক প্রকাশ বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের ফলে দুই হাজার মাইল দূরত্বের….

চূড়ান্ত পর্যায় (১৯৫৩-১৯৫৬ সাল)

আগের পর্বে পড়ুন— বায়ান্নর ঘটনা প্রবাহ একুশের আবেগ সংহত থাকে ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দেও। সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আতাউর রহমান খান এক বিবৃতিতে ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে শহিদ দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দেন। আওয়ামি লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমানও ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে শহিদ দিবস হিসেবে পালনের আহ্বান জানান। ১৮ ফেব্রুয়ারি সংগ্রাম কমিটির সদস্য যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র….

বায়ান্নর ঘটনা প্রবাহ

আগের পর্বে পড়ুন— বায়ান্নর প্রস্তুতি পর্ব (১৯৪৯-১৯৫১) পাকিস্তান উন্মেষ ধারা থেকে ধূমায়িত ক্ষোভ প্রকাশে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন সর্বব্যাপী রূপ পরিগ্রহ করে বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি। পাকিস্তানের রাজনৈতিক আবর্তন ও ঘটনাচক্রে খাজা নাজিমউদ্দীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। ২৪ থেকে ২৬ জানুয়ারি পূর্ব বাঙলা মুসলিম লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে যোগদানের উদ্দেশ্য ২৫ জানুয়ারি তিনি সস্ত্রীক ঢাকায় আগমন করেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী….

বায়ান্নর প্রস্তুতি পর্ব (১৯৪৯-১৯৫১)

আগের পর্বে পড়ুন— সূচনা ও বিকাশ পর্ব (১৯৪৭-১৯৪৮) পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে জানুয়ারি ১৯৪৮ সালের মধ্যভাগ পর্যন্ত সময়কালে ভাষা আন্দোলন ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। এপ্রিল  মাসে পূর্ব বাংলা ব্যবস্থাপক সভায় ভাষা প্রস্তাব পাশ সেই সাথে দক্ষিণপন্থী ও মধ্যপন্থীদের অনাগ্রহ, দমননীতি এবং বামপন্থীদের বিপন্ন অবস্থার প্রেক্ষিতে আন্দোলন কিছুটা স্তিমিত হয়ে যায়। এই সময়ে রাজনৈতিক ভিন্নমত ও পথের বিরুদ্ধে….

সূচনা ও বিকাশ পর্ব (১৯৪৭-১৯৪৮)

আগের পর্বে পড়ুন— ভাষা আন্দোলনের পর্যায় বিশ্লেষণ বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন সংগঠিত হয় সাতচল্লিশে উপমহাদেশের তদানীন্তন রাজনৈতিক পটভূমিতে নানা প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মধ্য দিয়ে। প্রতিষ্ঠার পনের দিনের মধ্যেই (২৬/২৭ আগস্ট) সিদ্দিক বাজারস্থ লিলি কটেজে প্রথম রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে ১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় তমদ্দুন মজলিস আত্মপ্রকাশ করে। বিভিন্ন গবেষক ১৯৪৮….

ভাষা আন্দোলনের পর্যায় বিশ্লেষণ

আগের পর্বে পড়ুন— ভাষা আন্দোলন ও আত্মপরিচয়ের রাজনীতি ভাষা আন্দোলনের ঘটনা প্রবাহ আলোচনায় একটি প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধান আবশ্যক। কখন থেকে বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবি উত্থাপিত হয় বা এ সংক্রান্ত চিন্তার উন্মেষ ঘটে। সাংগঠনিকভাবে এ আন্দোলন শুরু হয় ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সাথে সাথেই। তবে এর মনস্তাত্ত্বিক পর্যায়টি গড়ে ওঠে অনেক পূর্বে। বাঙালির ভাষা অধিকার….

ভাষা আন্দোলন ও আত্মপরিচয়ের রাজনীতি

বাঙালির আত্মপরিচয় অনুসন্ধানে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের অবদান অবিস্মরণীয়। এই আন্দোলন শুধু মাতৃভাষার অধিকার আদায়ের আন্দোলন ছিল না, এটি ছিল নিজস্ব জাতিসত্তা, স্বাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষার আন্দোলন। যা জাতিসত্তার স্বরূপ নির্ধারণে বাঙালি সংস্কৃতির সীমা নির্ধারণ করে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ইতিহাস বিচ্ছিন্ন বা আকস্মিক কোনো ঘটনা নয় — এর মূল ইতিহাসের গভীরে গ্রোথিত। বাঙালির আত্মপরিচয়ের….

নিজেকে জানো

সক্রেটিস বলেছেন, ‘টু নো দাইসেলফ ইজ দ্যা বিগিনিং অব উইজডম’। এর অর্থ হলো, ‘নিজেকে জানার মধ্যে দিয়ে আরম্ভ হয় প্রজ্ঞার জগত’। এই জ্ঞানগর্ভের প্রাসঙ্গিকতা তখনো ছিল, এখনো আছে। যেহেতু বর্তমান যুগ পুঁজিবাদী যুগ, পুঁজিবাদ তার নিজ স্বার্থে সকল বস্তু এবং সম্পর্ক থেকে ঐতিহ্যগত মূল্য বাদ দিয়ে যোগ করেছে অর্থ মূল্য, ফলে প্রতিটি বস্তু পরিণত হয়েছে….

ফ্রেন্ডশিপ

বন্ধুত্ব একটি সর্ম্পক। একটি শক্তিশালী সর্ম্পক। কখনো পুরুষে পুরুষে, কখনো নারীতে নারীতে এবং কখনো পুরুষ নারী। নারী পুরুষের বন্ধুত্বের ক্ষেত্র দুটি: হয় সেক্সচুয়াল, নয় ইন্টেলেকচুয়াল। পুরুষ তার জীববিজ্ঞানের কারণে সেক্সচুয়াল সর্ম্পকে স্বাভাবকিভাবে আগ্রহী থাকে বেশি। নারীর প্রবণতা থাকে ইন্টেলেকচুয়াল সর্ম্পকে বেশি। নারীর যৌন আকাঙ্ক্ষা পুরুষের তুলনায় মোটেও কম নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রে উল্টো অনেক বেশি,….

error: Content is protected !!