আলোকচিত্র

মৃত্যুতেও থামেনি সমালোচনা

জাতিসংঘের একটি ফুড ক্যাম্পের পাশে একটি অসুস্থ শিশু পড়েছিল। শিশুটির ঠিক পেছনেই একটি শকুন অপেক্ষা করছে, কখন শিশুটি মরবে, কখন সে পাবে মাংসের স্বাদ! কি নিদারুণ দৃশ্য! এই ছবির সমমানের কোনো ছবি পৃথিবীতে আছে কিনা সন্দেহ। ১৯৯৩ সনে ছবিটি তুলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান ফটোসাংবাদিক কেভিন কার্টার। একই বছরের ২৬ মার্চ ছবিটি দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে ছাপা হয়।….

আজও শরণার্থী ‘আফগান গার্ল’

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের আলোকচিত্রী স্টিভ ম্যাককারি ১৯৮৪ সনে পাকিস্তানের পেশোয়ারের কাছাকাছি এক শরণার্থী শিবির থেকে কিশোরী শরবত গুলার ছবি তোলেন। পরের বছর ছবিটি ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ হওয়ার পরপরই আলোচনার শীর্ষে উঠে আসে এই কিশোরী। আর ছবিটি ওয়ে ওঠে বিশ্বের সবচেয়ে পরিচিত পোরট্রেটগুলোর একটি। গুলার পাথরের মতো চোখ দুটি ছিল বিস্ময়কর। সবুজ চোখে একই সঙ্গে ভয় ও….

টেসলার অপছন্দের ছবি

তার নামে যুক্তরাষ্ট্রে ১১২টি এবং অন্য ২৬টি দেশে আরো ১৯৬টি প্যাটেন্ট নিবন্ধিত আছে, এর মধ্যে ৩০টি শুধু ফ্রান্সেই নিবন্ধিত—এ থেকে অনুমান করা যায় নিকোলা টেসলা কত বড় মাপের বিজ্ঞানী ছিলেন। ঊনবিংশ শতাব্দীর আশির দশক থেকে এই সার্বীয়-মার্কিন ইলেক্ট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার একের পর এক যুগান্তকারী আবিষ্কার দিয়ে মানবসভ্যতাকে সমৃদ্ধ করা শুরু করেন। বিদ্যুৎ ছাড়াও মোটর,….

নিঃসঙ্গ বন্ধুর বৃষ্টিভেজা ছবি

পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি সময়ে সমাজবিমুখ, বিদ্রোহী, নিঃসঙ্গ ও অন্তর্মুখী তরুণদের আদর্শ হয়ে উঠেছিলেন মার্কিন অভিনেতা জেমস ডিন। পুরো নাম জেমস বায়রন ডিন। যখন তিনি অনুসরণীয় হয়ে উঠেছিলেন তখন অবশ্য তিনি বেঁচে নেই। মাত্র ২৪ বছর বয়সে ১৯৫৫ সনে তার মৃত্যু হয়। গাড়ির রেস ও রেসিং কার ছিল তার দুর্বলতা, তীব্র গতি ছিল তার নেশা। সেই….

পর্দার পেছনের হিটলারের ছবি

সময়টা ১৯২৫ সন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ। নয় মাস জেল খেটে এডল্ফ হিটলার ইতিমধ্যে বেশ আলোচিত ব্যক্তিত্ব। জেলে বসেই তিনি লিখে ফেলেছেন আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘মাই ক্যাম্ফ’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অপ্রতিদ্বন্দ্বী হিটলার তখন তৈরি হচ্ছেন। নিজেকে নিজে তিল তিল করে গড়ে তুলছেন। জার্মানির বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে জ্বালাময়ী ভাষণ দিচ্ছেন। সেই ভাষণ নাগরিকদের ওপর ভীষণ প্রভাব ফেলতো। হিটলার ভাষণ….

মনরোর উড়ন্ত স্কার্ট

পঞ্চাশের দশকে সাংস্কৃতিক প্রতীকে পরিণত হয়েছিলেন মার্কিন অভিনেত্রী, মডেল ও কণ্ঠশিল্পী মেরিলিন মনরো। বলা যায় প্রায় এক দশক মার্কিন সাংস্কৃতিক দুনিয়া শাসন করেছেন তিনি। ১৯৬২ সালে মৃত্যুর পর তার জনপ্রিয়তা আরো বেড়ে যায়—তিনি হয়ে ওঠেন ‘পপ কালচার’-এর সমার্থক। তাকে নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই সর্বস্তরের মানুষের। ষাট থেকে আশির দশক পর্যন্ত বিস্তৃত ‘সেক্সচুয়াল রেভুলেশন’ বা ‘যৌন….

বীরত্ব নিয়ে বিতর্ক

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় (১৯৪৫) রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে জাপানের ইও জিমা দ্বীপ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় মার্কিন সেনারা। দ্বীপ জয়ের পর দ্বীপের ৫৫৪ ফুট উচ্চতার পাহাড়চূড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ছয় মার্কিন মেরিন সদস্য। পতাকা উত্তোলনের প্রাণপণ চেষ্টার মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দি করেন ফটোসাংবাদিক জো রোজেনথাল। সেই ছবি সারা বিশ্বে ব্যাপক সাড়া ফেলে। ছবিটি রাতারাতি মার্কিন বাহিনীর….

দিন বদলের ছবি

ফটোসাংবাদিকের কাজ কি? সত্যটাকে মানুষের সামনে নান্দনিকভাবে তুলে ধরা। সেই সত্য সমাজকে নাড়া দিতে পারে, সমাজে পরিবর্তন আনতে পারে। তবে এই নাড়া দেয়া বা পরিবর্তন আনা ফটোসাংবাদিকের উদ্দেশ্য হতে পারে কিনা সে বিতর্ক বেশ পুরোনো। এই বিতর্কের সুরাহা হওয়ার নয়। মার্কিন ফটোসাংবাদিক উইলিয়াম ইউজিন স্মিথ চেয়েছেন কি চাননি তা অজানা, কিন্তু তার ছবি রগরগে সত্যকে….

এক নারীর নাৎসি-বিরোধী লড়াইয়ের ছবি

১৩ এপ্রিল, ১৯৮৫। সুইডেনের ভ্যাক্সো শহরে মিছিলের অনুমতি পায় ‘দ্য নরডিক রিয়াল্ম পার্টি’। ১৯৫৬ সালে সুইডেনে গড়ে ওঠা এটি ছিল একটি নব্য-নাৎসি বাহিনী। একই সময় একই স্থানে সমাবেশ করছিল সুইডেনের সমাজতান্ত্রিক দল ‘লেফ্ট পার্টি’। এই পার্টির নেতা লার্স ওয়ের্নার বক্তৃতা শেষ করলেই মিছিল শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয় নব্য-নাৎসিরা। কিন্তু তার আগেই এই দুই দলের সমর্থকদের….

যত বড় বিজ্ঞানী তত বড় জিভ!

ছবিটি বিশ্ববরেণ্য পদার্থবিদ অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের বলেই এতো বিখ্যাত। আপনার-আমার হলে কিবোর্ডের শিফ্ট বোতাম চেপে ডিলেট করে দেওয়া হতো। তার মানে ছবি সবসময় তার যোগ্যতার জন্যই খ্যাতি পায়—তা নয়। ছবিটির সঙ্গে কতটা প্রভাবশালী ব্যক্তির স্মৃতি জড়িয়ে আছে অনেক ক্ষেত্রে তার ওপরও ছবির টিকে থাকা নির্ভর করে। ছবিটি অনেকেই দেখেছি, আইনস্টাইনের জিভ বের করা অদ্ভুত ছবি। বিশ্বের….

error: Content is protected !!