Author Picture

সিদ্ধার্থ হকের একগুচ্ছ কবিতা

সিদ্ধার্থ হক

মৃত দেহের আক্ষেপ
~
মৃত দেহের আক্ষেপ নীল বাঁশ বাগানে ঘুরছে
— নীরব, অলীক, অবিনাশী।
বাঁশপাতা— বহু শেষ মুহূর্তের মনোবেদনা ও কৌতূহল—
শত প্রশ্নে, বিভ্রান্তিতে, ক্রমশ: কাঁপছে।
এই ঘূর্ণনের ফলে মুহ্যমান হয়ে গেছে তৃণ।
মধ্যাকর্ষণের বাঁশঝাড়, বিলাপধ্বনির মত ছায়া
অবলুপ্ত শরীরের শ্বাস হয়ে গেছে। বাতাসেরা
সাদা হয়ে ঘুরে যাচ্ছে, ঘুরে ঘুরে সাদা হচ্ছে আরও।
শীতল পাটিতে তুমি বসে আছো বাঁশ বাগানের
জোছনায়। মাটি ছেড়ে উঠে গেছ ধবল বাতাসে।
দেখছ ঝরছে পাতা, ঘুরছে, কাঁপছে। এর বেশি
আর কোনো অর্থ নেই এখন তোমার।
বিবর্ণ, নিঃশব্দ ছিল যারা এতকাল—
মাঠ থেকে ফিরে ওরা বসেছে তোমার চারপাশে।
ওদের এখন আর কোনো কাজ নেই
কেবল তোমাকে ঘিরে, গোল হয়ে বসে থাকা ছাড়া।
জোছনায় বসে আছে নিঃসঙ্গ বিষাদ, জনহীন ধোবিঘরে
এক জড়ি। কাঁটা ছেড়া হতে থাকা বাঁশঝাড় কেবলই ঘুরছে।
সারি সারি লাল তৃষ্ণা স্নায়ু খুড়ে ক্রমশ নামছে আরো নীচে।


শাসন ও ভয়
~
জন্ম থেকে শাসিত হয়েছ নানাভাবে।
বারবার গর্তে ফেলে দিয়েছে তোমাকে,
বহু হাত। পরিত্যাক্ত বালতির মত
কুয়ার অতলে, অন্ধকারে
বহু রাতদিন কেটে গেছে।
ভয়ের মৌলিক মুখ তখনি দেখেছ একা বসে।
আজ জানো, চিরস্থায়ী ভয় আছে তোমার ভিতরে।
হাঁটতে গিয়ে পিছনের দিকে চলে যাও।
অপ্রেমে লুকিয়ে থাকো, যে কোনো স্পর্শে দ্বিধা করো।
স্বপ্নে চিৎকার করে প্রায়শই জেগে ওঠো তুমি;
শয্যার উপরে একা হাটু মুড়ে বসে থেকে দেখো
মৃতেরা তোমার ঘরে অনায়াসে আসে।
অনেকের ভয় নেই, তারা দ্বিধাহীন ভাবে হাঁটে।
তাদের দ্বিধাহীনতা, তোমার দ্বিধাকে আরো অন্ধকার করে—
ভয় ও অনিশ্চয়তা তুমি পুনরায় টের পাও।
অতল জামার মত পরে আছো শাসন ও ভয়;
জামাগুলো ত্বকে মিশে গেছে সেই কবে।
ধীরে ধীরে জেনে গেছ মৌলিক ভয়গুলো শারীরিক নয়।
শাসনের স্মৃতিও শাসন। ফলে আজো
সারাদিন ভাবো বসে যা আছে তা হারিয়ে ফেলবে।
হারাবার ভয়ে সব আঁকড়ে ধরতে চাও,
আঙ্গুলের ফাঁক গলে কত কিহু ঝরে যায় বালির মতন।
গভীর সন্দেহ জাগে তোমার ভিতরে বারবার।
নিজের অজান্তে, এবং, অনিচ্ছা সত্ত্বেও, বহু কিছু
অপরিহার্যভাবে স্যাবোটাজ করে ফেল তুমি।


আবার আমার
~
আবার আমার কোনো এজেণ্ডা নাই।
শূন্যে সবুজের দোল খাওয়া দেখব সারাদিন।
অনেক আগের গান শুনব। ভাববো অতীত।
তুষারের মত মিহিভাবে আমাকে বেষ্টন করে
মানুষ হাঁটবে বিন্দু বিন্দু। ঠাণ্ডা কফি পান করব।
কনুই টেবিলে রেখে, সময় স্লো-মোশনে ঘুরতে থাকবে।
সবুজের বহু হাত অপলক প্রসারিত, কাঁচের বাইরে।
সামুদ্রিক রিকসাগুলি ভেসে যাচ্ছে। বিষন্ন প্যাডেল
ঘুরছে এতো ধীরে, মনে হচ্ছে, এখনই থেমে যাবে।
কিন্তু থামছে না। জীবনের প্রয়োজনে ক্লান্ত প্যাডেল ঘুরছে।
কার হোম-ডেলিভারি যেন ঠিকানা খুঁজছে।
জানা নাই ঠিকানা সে পায় কিনা খুঁজে, অবশেষে।
তোমাকে অনেক বই যুগিয়েছিলাম, মনে পড়ে।
তুমি তার পৃষ্ঠাগুলি ছিঁড়ে ছিঁড়ে উড়িয়ে দিয়েছ।
ছেঁড়া পৃষ্ঠাগুলি আজ, আনমনা সিএনজির মত
ঘুরছে উদ্দেশ্যহীনভাবে। বসে বসে দেখছি আমি
শাড়ি দিয়ে ঘেরা এক বাতাসের ঠ্যালা,
বহু সত্তা বুকে নিয়ে প্রবাহিত আছে।
অনেক আগের স্প্লিটিং-সন্ধ্যা মনে পড়ছে।
ঠিকানা খুঁজছে এক কোরিয়ার, বন্ধ করা গেট
থেকে গেটে, ঘুরে ঘুরে। তোমার দিনের ছায়া,
চুপ করে বসে আছে তোমার নিকটে।
তুমি ও তোমার আলো রাত্রির অপেক্ষা করছ।
অপেক্ষার চেয়ে বড় এজেণ্ডা তোমার আজ নাই।


ক্লান্তি
~
সকালে ঝাড়ুর শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। কারা এত
শব্দ করে, দিনের শুরুতে? কেউ যেন রাগ করে ঝাড়ু দিচ্ছে
ভোরের শরীর; ভোর এক অতি-প্রাকৃত উঠান।
উঠানের ঝাড়ুদার পরিচিত নয়।
পৃথিবীতে বহু কিছু অজানাই আছে।
ঝাড়ুর ক্লান্ত রিডমিক অবিরাম শব্দে ঘুম ভাঙে,
কিন্তু তবু সকালের ঝাড়ুদারের সাথে দেখা হয় না কখনো।
অপ্রাকৃত শব্দে শব্দে বহু জানা, অজানার সাথে মিশে যায়।
সব শব্দই ক্লান্তির উৎস, শুয়ে শুয়ে আমি ভাবি।
তাকে চিনতাম আমি প্রথমে। কিন্তু আজ আর চিনি না।
বহু দিন বহু রাত, অনেক সময়, চলে গেছে দূরে সমুদ্রের মত।
অনেক বাতাস বয়ে গেছে।
উড়ে চলে গেছে দীর্ঘ পাখি ডানা ঝাপ্টাতে ঝাপ্টাতে।
কুয়াশায় মিশে গেছে পরিচিত অনেক পুকুর।
পৃথিবীর নানা প্রান্তে ফিতা-বাঁধা বহু জুতা তারে ঝুলে আছে।
বহু লোক পাহাড়ের কিনাড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।
বহু ঘুঘু জন্ম-সত্তা ভুলে কবুতর হয়ে গেছে।
উঠানের ঝাড়ুদার যদিও চিনি না, তাকে তবু
চিনতাম নাকি? ছোট শহরের পথে
তার সাথে হেঁটেছি হয়ত।
আমাদের হাসতে দেখে, হাসি এক গভীর সততা,
অনেকেই চলে গেছে পাশ কাটিয়ে, কথা না বলে।
পৃথিবীতে অতীত, স্বপ্নের মত। তবু বহু
দীর্ঘ হাত হৃদয়ের মধ্যে পোতা আছে।
যে স্বপ্ন ভেঙে গেছে সেই স্বপ্নে ফিরে যাওয়া
অসম্ভব, তবু, দেখি, চিন্তা কোন নিয়ম মানেনা।
চিন্তার ইচ্ছার কাছে পরাজিত আমরা সকলে।
অনেক দরজা আজ বন্ধ হয়ে আছে মনে হয়।
ভোরের ঝাড়ুর শব্দে সেসব দরজাগুলি কাঁপে;
আর খুলে যেতে চায়। ঝাড়ুদার ভোর থেকে
দিকে দিকে দরজা খোলার ক্লান্ত আহ্বান পাঠায়।


ক্লান্তি ২
~
অতল ক্লান্তিতে এক গলে যাওয়া তরলতা আসে।
মনে হয় পানি হয়ে গেছি আমি; কোনো অন্ধকার
পাইপ থেকে, শরীরটা টপ টপ করে ঝরছে;
আমি এক ভিজে যাওয়া টিপসই, ভেজানো দলিল।
হাঁটতে গিয়ে মনে হয় ভেসে যাচ্ছি; আর
যে কোন মুহূর্তেই— হস্ত, পদ— দেহ থেকে খসে পড়বে।
কোথায় হাতের অবস্থান; আর, কোথায় মুখের, স্পষ্ট নয়।
আমি নই, মনে হয় আমার মতন অন্য কেউ এই আমি;
বসে আছে, শুয়ে পড়ছে, হাঁটছে বা ভাবছে হাঁটবে কিনা।
মাটিতে ছড়িয়ে পড়ছে, এ শরীর, ছোট এক খালের মতন।
নিজেকে সম্পূর্ণভাবে অনুভব করতে আর পারছে না সে।।
আংশিক বোধের মধ্যে আংশিক জীবন ভাসছে ডুবছে।
কেউ যেন তক্তা ফেলে, আমাকে কেচেছে রাতভর।
অতল ক্লান্তিতে চোখ বুজে থাকা প্রয়োজন হয়।
টের পাই, আমি নই, এক পানি চোখ বুজে আছে।
চোখ বুজে শুয়ে শুয়ে অনুভব করা যায় সব।
আমি আজো আছি কিন্তু আগেকার স্পৃহা আর নাই।
অন্য এক শান্ত শক্তি ভিতরে এসেছে। তাকে আমি
শক্তি বলব, নাকি জোর, নাকি স্পৃহা বুঝতে পারি না।
তরল শিমুল তুলা উড়ে যাবে, কোথায় কে জানে।
কাল সারারাত ভাল ঘুম হয়েছিল; তবু আমি আজ ভোরে,
সমুদ্রের তল-দেশে পদ্মাসনে বসে আছি।
পানিতে আলগাভাবে ভাসছে আমার যত অঙ্গ-প্রত্যংগ।
সমুদ্রের তলদেশে সব কিছু শ্লথ হয়ে গেছে।
তরল ক্লান্তির সেই মিষ্টতার সাথে সামুদ্রিক
নুন মিশে গেছে। নুনে এক শক্তি আছে।
মনে হচ্ছে ক্লান্তি কমে গেছে। পৃথিবীতে
ভেসে উঠতে ইচ্ছা করছে এখন আমার।


ক্লান্তি ৩
~
কান পেতে বসে থাকো, যতক্ষণ বোল্ডার্সের
স্বপ্ন শুনতে না পাও। পাথরের ফিসফিস কথাগুলি
গাছের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত আছে; তাকে শোনো।
হস্ত-পদহীন মানুষের শ্বাস ঐ শোনা যায়।
প্রত্যেকেই স্বপ্ন দেখছে, কথা বলছে
স্বপ্নের ভিতরে। বহুক্ষণ বসে থাকলে
তুমিও শুনতে পাবে, তার কিছু কিছু।
নিচু হয়ে কান পাতো রেল-লাইনে, বসে থাকো ততক্ষণ,
যতক্ষণে পৃথিবীর পায়ের শব্দ শুনতে পাও।
রেল-লাইনে কান পেতে শোনা যায়
মহাবিশ্বের কল্পনা, শেষহীনভাবে।
কান পেতে থাক ততক্ষণ,
যতখন নিজের স্বপ্ন না শুনতে পাও।
গভীর বেদনা গাঢ় রূপান্তর আনে।
নতুন চৈতন্য জন্ম নেয়, ক্লান্ত বেদনার অন্তস্থল হতে।
পুরাতন শুঁয়োপোকা থেকে
নব নব প্রজাপতি বের হয়ে আসে পৃথিবীতে।
কান পাতো, অরণ্যের স্বপ্ন শুনবে বলে।
ততক্ষণ বসে থাকো, যতক্ষণ ঘাসের স্বপ্ন না শোনো।
ঘাস চাপা দিয়ে বসে আছে ইট, তারও স্বপ্ন আছে;
তার স্বপ্নও শোনা প্রয়োজন। যে স্বপ্ন দেখতে দেখতে
ঘাসগুলি ধীরে ধীরে শাদা হয়ে যাচ্ছে, সে স্বপ্নই বা কেমন?
কান পেতে শুনতে থাকো যতক্ষন না ইট গলে যায়।
অতল ক্লান্তির মধ্যে স্বপ্নগুলি স্পষ্ট হয়ে আসে।
এখন তোমার আর অন্য কোনো কাজ নাই,
কান পেতে স্বপ্ন শোনা ছাড়া। ততক্ষন কান পেতে রাখো,
যতক্ষণে ভাঙা দালানের স্বপ্ন শোনা যায়।
কান পাতো, শুনতে পাচ্ছো,
বহু দূরে ডেজার্ট রোড গান করে?
মরুভূমি, প্রতিটি বালুর কনা, সমুদ্রের স্বপ্ন দেখে যায়।
সকল গহবর, শোনো, বাউল গানের স্বপ্ন ভাবে।
কান পেতে বসে থাকো তুমি—
সময় হয়েছে, আজ, শূন্যকে শোনার।


কেটে ফেলা ডালগুলি
~
কেটে ফেলা ডালগুলি সুসম্পন্নভাবে বেড়ে উঠছে।
ঘণ হয়ে এসেছে সবুজ। আমাদের ঘিরে আছে
পৃথিবীর উদ্ভিদ আর হাওয়া। বাতাসের চাপে আমি
হেলছি, দুলছি। আমার দুহাত শাদা মাছ হয়ে
স্পেসে সাঁতার কাটছে। বাতাসের ভিতরের স্রোতে,
টাল খেয়ে, চুপি চুপি, প্রবাহিত হচ্ছে মন, আনমনে।
হৃদয়ের মধ্য থেকে উঠে আসছে বাতাসের স্বর।
হাওয়ার গানের সুরে বোঝা যাচ্ছে কিছু কিছু হাওয়া ভবঘুরে;
অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে হতে
চলে যাচ্ছে আরেক ব্রহ্মাণ্ডে; আর
কিছু কিছু হাওয়া খুব গৃহী; দালানের চারপাশে হাঁটছে,
শব্দহীনভাবে ঘরে ঢুকে হাত দিয়ে স্পর্শ করছে মুখ।
একইভাবে মনে হয়, কিছু গাছ গৃহী;
আর কিছু গাছ ভবঘুরে। মনে হয় আম খুব গৃহী গাছ;
অথচ পাইন ভবঘুরে। বহু গাছ জলাশয়;
বহু গাছ মেঘের মতন। কিছু কিছু গাছ কোনো পুকুরের পাড়;
কোনো গাছ সমুদ্রের উপকূল।
যে কোনো অরণ্যই জলাশয়। যে কোনো সবুজ— গাঢ় পানি।
বাতাসের হাতগুলি সারাদিন অতিন্দ্রীয় টিউবয়েল থেকে
চেপে চেপে তুলে আনছে সীমাহীন পাখি।
তুমি কি আমার সাথে একমত এসব বিষয়ে?
হয়তো বা নও। না হওয়াই স্বাভাবিক। আমার ভিতর থেকে
বাস্তব ও অবাস্তবের সীমানা মুছে গেছে। কিন্তু
তোমার স্নায়ু হয়ত স্বাভাবিক মানুষের মতই
আজো আছে। কিম্বা নাই। তুমিও ভাবছ বসে,
দালানের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া গলিটা আসলে এক নদী।
সবুজের কুলকুল শত শব্দে দেখছি-এ গাছগুলি
ভার্টিকাল নদী; অন্তঃশীলা হাইড্রলিক্স,
সারাদিন পানি দেয় আমার মাথায়।

আরো পড়তে পারেন

রিয়াসাত আল ওয়াসিফের একগুচ্ছ কবিতা

রেট্রোসপেক্টিভ বই সাজাতে সাজাতে জনৈক কবির মনে হলো— এত এত বই কবে পড়ব! এই ফোকাস হারানো সময়ে মানুষ যেন গুড়ো গুড়ো কাচ। হঠাৎ তাঁর মনে হলো বই বাদ দিয়ে আজ বরং পাপগুলোকে একটু সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা যাক। কতদিন দেখেনি দেখতে চায়নি, দেখা হয় না, দেখা যায় না। যাপিত জীবনের কাদায় শুধু মুখ ঢেকে যায়। মুখ….

সাযযাদ আনসারীর একগুচ্ছ কবিতা

ঋতু রমনী অন্তহীন পথের মত ছিলো ঋতু রমনী চেনা পাতা ও পাখি থেকে অচেনা ফুলের পথে চলে গেল সে। কথা ছিলো তার সাথে রাগ-রাগিনীর কথা ছিলো অসংখ্য পত্র-পল্লবীর, কথা ছিলো আমাদের নাম উড়াবার কথা ছিলো কত কথা দেবার নেবার। এই খানে আমাদের মন অন্ধ অধীর এই খানে না বাঁধা ঘাট জীবন নদীর, এই খানে পথে….

আজাদুর রহমানের তিনটি কবিতা

দূরত্ব একটা ধারণা আমাদের মধ্যে কোন দূরত্ব নেই। তুমি যেভাবেই থাকো, শুয়ে-বসে-দাঁড়িয়ে সামনে-পিছনে-ডাইনে-বায়ে তোমার যেভাবে মন চায় এমনকি পরস্পর গভীর আলিঙ্গনেও। তুমি যেখানেই থাকো ঢাকা বগুড়া চট্রগ্রাম আমেরিকা কোস্টারিকা কিংবা পৃথিবীর যে কোণাতেই, আমাদের মধ্যে এতটুকু দূরত্ব নেই। দূরত্ব বলে আসলে কিছুই নেই এই যে ছায়াপথের পর সুদূরে জ্বলছে যে তারা সেখানে কেউ কারও দূরে….

error: Content is protected !!