Author Picture

গোলাপের রাজতোরণ (পর্ব-১)

বুলবুল সরওয়ার

জয়পুর-এয়ারপোর্ট শহর থেকে বেশ বাইরে-দক্ষিণেখাঁ-খাঁ মুরুভূমির মাঝে। সবুজ সাথীকে নিয়ে নেমে দাঁড়ালাম টারমাকে। প্রচন্ড গরমের ভাপ আগুনের হল্কার মত এসে লাগছে চোখে মুখে। মরুভূমির রুক্ষতা ছুঁলেই আমার মনে পড়ে উটের কথাপ্রকৃতির এই বিভৎস অথচ দারুণ দরকারী-প্রাণীটির কথা; ওরা কি আশ্চর্যভাবে মানিয়ে নেয় এই বালু আর গলা-শুকিয়ে-আসার সাথে! কুরবান সাঈদ বলেছেন: জীবনের রুক্ষতা, হৃদয়ের উষ্ণতা এবং নিষ্ঠুর জীবন যেখানে মিলিত হয় তারই নাম মরুভূমি; আর উট হচ্ছে এর জীবন্ত প্রতীকসিংহ জন্মায় সেখানে!
আমি সিংহের জন্মের ব্যাপারটা বুঝি না। সত্যি কি সে মরুভূমিতে জন্মায়? কি জানি, রয়েল বেঙ্গলের দেশে পশুরাজের অস্তিত্ব নেই। মরুভূমিও লাপাত্তা। নদীর-দেশের পর্যটক তাই সিংহ সম্পর্কে বেখবর।
না-না, তুমি এটা বলতে পারো না মামা, সবুজ প্রতিবাদে মুষ্টি পাকায়: তুমি হচ্ছ আমাদের ‘পন্ডিত-মামা’; সত্যজিতের ফেলুদা।

তাহলেতুই কি, ফটকে?
না-না, ফটকে হচ্ছে ওসাথী।
আরে মেয়েরা কি গোয়েন্দা-সহকারী হয় নাকি?
হবে না কেন? সেদিন না আব্বু আর তুমি জেমসবন্ড দেখলে- মুনরেকার না কি যেন নাম। সেখানে তো পাইলট মেয়েটাই বন্ডের সহকারী ছিলঠিক না?
ওরে বাবা, তুই দেখি সত্যিই জিনিয়াস। চল, বাসে উঠি।
আব্বু-আম্মু আসুক না।
আরে আসবে-আসবে; বাস আরও আছে না?
দুই পিচ্চিকে নিয়ে আমি লাউঞ্জে এসে বসলাম। সামনের লোকটাকে খুব চেনা চেনা মনে হচ্ছেকিন্তু মনে পড়ছে না।
আরে, উনিই তো মামা, আজহার উদ্দীন। ভারতীয় ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন।

‘রাজমন্দির’ ভারতের শ্রেষ্ঠ সিনেমা হলগুলোর মধ্যে একটি। হল তো নয়, যেন রাজ-প্রাসাদ। ভেতরে আছে পার্ক-ফোয়ারা-প্রেমকুঞ্জ, বসার ও আড্ডা দেবার নানা ব্যবস্থারোম সম্রাট নীরোর বিনোদনের মত করে!সাঁতার কাটার ক্ষুদে সুইমিং পুলও আছে। আছে মিনি চিড়িয়াখানা এবং বারান্দাজুড়ে কিংবদন্তী সব নায়ক-নায়ীকার লাস্যময়ী পোস্টারগায়ীকা-নায়ীকা নূরজাহান থেকে মাধুরী দীক্ষিত; দিলীপ কুমার থেকে শাহরুখ খান।

তার মানে, পাশের সুন্দরীটি সঙ্গীতা বিজলানীযার জন্য তার ঘর ভেঙেছে! পর্দায় যত সুন্দরী এরা, বাস্তবে কিন্তু তা নন। লজ্জার মাথা খেয়ে ভালো করে তাকালাম। মুসলমানী পোষাক পরলেও রেশমী-পর্দায়মুখের-রোশনাই বা বুকের-দীপ্তিকিছুই ঢাকে নি। কোমরের বাঁক এবং সুগেঠিত দেহবল্লরী ঠিকই ওড়না উপচিয়ে উঠেছে। মনকেপ্রশ্ন করলাম: কেন, ক্রিকেটারদের সাথেই নায়ীকাদের বার বার সম্পর্ক গড়ে ওঠে? সেই যে শর্মীলা ঠাকুরকে বিয়ে করলেন মনসুর আলী খান পতৌদী, সেই বোধহয় স্টারডম-স্পিড কাহিনীর শুরু! তবে এ বিষয়ে সবচেয়ে খ্যাতি বা কুখ্যাতি কড়িয়েছেন টিভি-স্টার নিনা গুপ্তাইন্ডিজ কিংবদন্তী-ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডসকে বিয়ে না-করেও সংসার গড়ে! আর রিনা রায়ের মত অসাধারণ পর্দা-কন্যা, পাকিস্তানী ক্রিকেটার মোহসীন খানকে বিয়ে করে ভেঙে দেন মহাভারতের কৃত্রিম-বর্ডার!
দুলাভাই এসেই হাঁক দেন: চলো-চলো, হোটেল খুঁজি।

চলুন।
আমাদের বাঙাল-বাতচিত শুনেই এক গাইড এগিয়ে এলো: স্যার, কত রেঞ্জের হোটেল চাইছেন?
তোমার লিমিট কদ্দুর?দুলাভাই মজা করে জবাব দেন।
বাজেট থেকে থ্রি স্টার পর্যন্ত, স্যার।
রেঞ্জ বলো।
ছ-শো রুপী থেকে দু-হাজার পর্যন্ত; চলবে, স্যার?
দুলাভাই তাকালেন আপার দিকে। আপা চেয়েছিলেন অন্যদিকে; তবু কিভাবে যেন টের পেয়েফিরে তাকালেন। মাঝারী কিছু নিলেই তো হয়,তাই না?
আমরা আজব এক হোটেলে উঠলামযার প্রতিটি রুমের ছাদে আয়না লাগানো।
এটা কি কেবল হানিমুনারদের জন্য নাকি?আমি গাইডেরকাছে জানতে চাই।
দুলাভাই চোখের ইঙ্গিতে ‘না’ করেন। ফিস ফিস করে বলেন, তোমার আপা ছাদ লক্ষ করেনি। কথা না বাড়িয়ে ঢুকে পড়ো।
ততক্ষণে সবুজ-সাথী ওয়াশ-রুম ঘুরে এসেছে। আমিও টাওয়েল কাঁধে লাইনে দাঁড়াই।
রাতে কি প্রোগ্রাম, শালা বাবু?
মন্দির দর্শন।
মানে? আপা লাফ দিয়ে উঠলেন। এটা কি বললি?
না-না আপা, হিন্দু মন্দির নয়‘রাজ মন্দির’সিনেমা হল।
আমি যাবো না।
সবুজ সাথী মা’র দু-হাত আকড়ে ধরলো: প্লিজ মা, চলোশাহরুখের ছবি। তুমি না তার পোস্টার কেন? আবার কাজলও আছে, তোমার আর নানুর বেস্ট চয়েজকালো-মেয়ে মর্জিনা।
আপা ফাঁদে আটকা পড়লেন।

‘রাজমন্দির’ ভারতের শ্রেষ্ঠ সিনেমা হলগুলোর মধ্যে একটি।

দুলাভাই ঝোপ বুঝে কোপ মারলেননা গেলে তো পুরো রাত ভানুমতি রেখার সাথেই কাটাতে হবে। স্বপ্ন না বদলালে তো শালা বাবু চিত্তির।
ও, সে-তো আবার বোরকাওয়ালীর স্বপ্নে বিভোর। চলো তাহলে। আচ্ছা, মহিলাকে তো নামতে দেথলাম না, কই গেল? আপা খোশ মেজাজেই সবাইকে কাছে টানলেন।
আমি আপন মনে ভাবি: ভারতীয় দম্পতিদের আপোষের কথা। হিন্দুরা তবু কোষ্ঠি-রাশি, গোষ্ঠি-পদবী মিলিয়ে নিতে চেষ্টা করেতবু কি মনের মিল হয়? বিচ্ছেদ, পরকীয়া, ব্রড-মাইন্ডিঙ, সোয়াপিং তো পুরো ভারতের নাগরিক বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে। যত দ্রুত এরা গরীবি হটিয়ে পুঁজিবাদে প্রবেশ করেছে, তার চেয়ে শত-গুণ দ্রুতিতে ধেয়েআসছে ওয়েস্টার্ন ডার্ক-লাইফ! বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলংকা, পাকিস্তানও এই আগ্রাসন থেকে রেহাই পাবে নাভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কারণেআপা দুলাভাই-ই তার জ্বলন্ত প্রমাণ। প্রতিদিন সকালে উঠে ভাবি: এই বুঝি টেবিলে দেখবো ডিভোর্সী নোট‘ভাই, বাচ্চা দুটোকে দেশে নিয়েযাস; আমি নিজের পথে চললাম’। আবার আশ্চর্য হয়ে লক্ষ করিশারিরীক সান্নিধ্য কত ব্যবধানকে ঘুচিয়ে ক্রোধকে পানি কিংবা মধু করে দেয়। শুধু একটা জিনিস ভারতীয় মুসলমানরা ইসলাম থেকে নেয়নিসে হচ্ছে বহুবিবাহ। বিশেষত নারীরা এ ব্যাপারে খুবই বিরোধী। অথচ নানা জরিপে বার-বারই উঠে আসছে যেপুরুষেরাআতি দ্রুত বহুগামীতার দিকে ধাবিত হচ্ছেসেসব হেলায় উপেক্ষা করেন আমাদের রমনীকুল!

‘রাজমন্দির’ ভারতের শ্রেষ্ঠ সিনেমা হলগুলোর মধ্যে একটি। হল তো নয়, যেন রাজ-প্রাসাদ। ভেতরে আছে পার্ক-ফোয়ারা-প্রেমকুঞ্জ, বসার ও আড্ডা দেবার নানা ব্যবস্থারোম সম্রাট নীরোর বিনোদনের মত করে!সাঁতার কাটার ক্ষুদে সুইমিং পুলও আছে। আছে মিনি চিড়িয়াখানা এবং বারান্দাজুড়ে কিংবদন্তী সব নায়ক-নায়ীকার লাস্যময়ী পোস্টারগায়ীকা-নায়ীকা নূরজাহান থেকে মাধুরী দীক্ষিত; দিলীপ কুমার থেকে শাহরুখ খান। আছে মুঘল-ই-আজমের অসম্ভব সুন্দর দৃশ্যাবলী; আছে দাদা সাহেব ফালকের তরুণ প্রতিচ্ছবি আর রাজ কাপুরের জন্য পুরো একটা কর্নারআলীশান-বারান্দাটা যেন ভারতীয় চলচিত্রের ইতিহাস-কোষ!
আমি মুগ্ধ হতে হতেস্মরণ করলাম আগের-বার পড়া সেই সব আশ্চর্য দেয়াল-বার্তা, যার কিছু কিছু এখনো মনে আছেএ প্রেক্ষাগৃহে বহু শ্রেষ্ঠ ফিল্মের চিত্রায়ন হয়েছে। আর, বোম্বের অনেক সুপারহিট ছবির প্রিমিয়ারও হয়েছে এই রাজমন্দিরে। উত্তর ও পশ্চিম ভারতের গৌরব এই রাজমন্দির!

আমার মনে পড়ে ঢাকার আনন্দ-রাজমনি-জোনাকী সিনেমার কথা; চট্টগ্রামের জলসা-আলমাস এবং খুলনার পিকচার-প্যালেস ও যশোরের মনিহারের কথাদেশ হিসেবে ছোট হলেও বাংলাদেশের মানুষের মন ছোট নয়। বিশেষত ‘মধুমিতা-মুভিজ’ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মতই আমাদের মনকে প্রসারিত করেছে ‘হেলেন অভ ট্রয়’ থেকে ‘চেঙ্গিস খান’, কিংবা ‘বেন হার’ থেকে ‘ক্লিওপেট্রার’ সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে।

বাইরে থেকেই বোঝা যায় হলটি কত ‘ক্ল্যাসিক’ঐতিহ্য ও আধুনিকতার দুর্দান্ত মিশ্রণ এর মুখাবয়বে। টিকেট কাটতে হলো একপাশের ছোট্ট গুমটি ঘরে। ঢুকেই মনে হলোহল নয়, বাগানে প্রবেশ করছি।
বিরাট ফোয়ারার চারপাশে অগুনিত গোলাপ, রজনীগন্ধ্যা এবং নাম না জানা রঙিন ফুল। তারই ফাঁকে ছোট ছোট বেঞ্চিতে তিলোত্তমা সুন্দরীরা জোড়া মিলিয়ে বাক-বাকুম করছে; হট-ফুড খাচ্ছে, প্রেম বিনিময় হচ্ছে চোখে-চোখে; ছুঁয়ে-ধরে। মনেই হচ্ছে না যে এটি কোনো প্রেক্ষাগৃহ।

আমার মনে পড়ে ঢাকার আনন্দ-রাজমনি-জোনাকী সিনেমার কথা; চট্টগ্রামের জলসা-আলমাস এবং খুলনার পিকচার-প্যালেস ও যশোরের মনিহারের কথাদেশ হিসেবে ছোট হলেও বাংলাদেশের মানুষের মন ছোট নয়। বিশেষত ‘মধুমিতা-মুভিজ’ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মতই আমাদের মনকে প্রসারিত করেছে ‘হেলেন অভ ট্রয়’ থেকে ‘চেঙ্গিস খান’, কিংবা ‘বেন হার’ থেকে ‘ক্লিওপেট্রার’ সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে।
দুলাভাই মুগ্ধ কণ্ঠে বললেন: ধন্যবাদ শালা বাবুসিনেমা যাই হোক, হল দেখে মন ভরে গেল।

ফুডকোর্টে কফি খেয়ে আমরা ঢুকলাম মূল প্রেক্ষাগৃহে। সিট পেয়েছি সোফায়দাম আড়াইগুন; কিন্তু দুলাভাই মহাখুশি। টাকা তার কাছে বিষয় নয়বিলাসীতা ও মর্যাদাই মূখ্য।
দেখুক না শালার ফকিন্নীর পুতেরা, আমরা কি পিছিয়ে আছি নাকি! পরিবারের সাথে আত্মীয়তার পর থেকেই তার মুখে আমি শুধু ভারত-বিরোধীতাই শুনে আসছি। অতচ তিনি দেরাদূনে ট্রেনিং-নেয়া মুক্তিযোদ্ধা! জিজ্ঞাসা করলেই বলতেনস্বাধীনতা তো কেনো চিড়ে-মুড়ির মোয়া না, শালা বাবুস্বাধীনতা মানে হলো অর্থনৈতিক মুক্তি; চিন্তা ও কর্মের স্বাবলম্বন…।

রাজমন্দিরের মত বাংলাদেশেরও কোন কোন হলে ‘বক্স-ব্যবস্থা’ আছে বটে কিন্তু এত রাজকীয় না। এখানে, সিটগুলো প্রায় শুইয়ে দেয়া যায়। সবুজ-সাথী আনন্দে ঝর্ণার মত লাফাচ্ছে। আমাদের দেশের মত জাতীয় পতাকার প্রদর্শনী নেই বরং ইকবালের তারানায়ে-হিন্দ্-এর সাথে দেখানো হলো সারা ভারতের অসংখ্য মনোমুগ্ধকর সংস্কৃতির রঙধনু। বরাবর-ক্রুদ্ধ দুলাভাই কখন যে শত্রু-ভাষায় গুনগুনিয়ে উঠেছেন সেই চিরায়ত সুরের সাথে, আমরা কেউই লক্ষ করিনি।থামতেই আপা বললেন: বেশ, তুমিও তাহলে গাইতে পারোজানা থাকলো! তাও উর্দু গান!
আরে, নূরজাহান-রুনা লায়লাকে কত গেয়েছি আর এখনো পাক সার জামিন শাদ-বাদ তো পুরোই মুখস্ত আছে!
দুলাভাই পাকিস্তান ও উর্দুকে দেখেন চরম বিদ্বেষের চোখে।কায়েদে আজমের সেই বিখ্যাত কটুক্তিযা তিনি বলেছিলেন ইংরেজীতেদুলাভাইদের মত হাজার মনকে বিষিয়ে দিয়ে বানালো ‘জন্মশত্রু’!

আরো পড়তে পারেন

আগ্নেয়গিরি থেকে পায়ে হেঁটে বেস-ক্যাম্পে ফেরা

ইথিওপিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে আছে ‘অ্যারতে-আলে’ নামে লাভা উৎক্ষেপণে প্রজ্বলিত একটি আগ্নেয়গিরি। আমরা বেশ কয়েকজন পর্যটক আজ জোট বেঁধে, একটি ট্যুর কোম্পানির গাইডের তত্ত্বাবধানে ওই আগ্নেয়গিরির পাশের একটি লাভা-হ্রদের পাড়ে ক্যাম্পিং করার উদ্যোগ নিয়েছি। ওখানে যেতে হলে প্রথমে একটি বেস-ক্যাম্পে এসে প্রস্তুতি নিয়ে ট্র্যাক করতে হয় ঘণ্টাকয়েক। বেস-ক্যাম্পে পৌঁছানোও ঝকমারি বিশেষ, আমরা ঘণ্টাকয়েক ল্যান্ডরাবারে প্রায়-দুর্গম এক….

মনে করি আসাম যাব

আফ্রিকার মাসাইমারা সাফারিতে যাওয়ার পর আর কোনো বড় সাফারিতে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। অপর্না সেনের ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস আইয়ার’ সিনেমাতে ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার চরিত্রে রাহুল বোসের মুখে কাজিরাঙার কথা শোনার পর এ রিজার্ভ ফরেস্টে সাফারি করার ইচ্ছা জেগেছিল। মনে হচ্ছিল বাড়ির খুব কাছের এ জায়গাটাতে যে কোনো সময়েই যাওয়া যায়, আমাদের উত্তর পূর্ব সীমান্ত পেরিয়ে আর….

শিল্পের দেশে সৌন্দর্যের দেশে

অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি ভেনিসে পা রেখেছিলাম এক রৌদ্রোজ্জ্বল গ্রীষ্মের দুপুরে। যাত্রীবোঝাই পাবলিক বাসে চেপে যাত্রা করলাম সেন্ট মার্কোসের উদ্দেশে। সেন্ট মার্কোসে অবস্থিত বিখ্যাত স্থাপত্য ক্যাথেড্রাল। ক্যাথেড্রালের চারদিকের দেয়াল সুসজ্জিত কারুকার্যে খচিত। চিত্রকর্ম ও অক্ষরে লিপিবদ্ধ বিভিন্ন কাহিনি মুগ্ধতা তৈরি করে। এখানেই ভেনিসের প্রাণভোমরা, সেই বিখ্যাত গ্র্যান্ড ক্যানেল যা যুক্ত করেছে শতাধিক জলরাশিকে। বিশাল খাল ভেনিসকে….

error: Content is protected !!