Author Picture

এয়া ও তাঁর কবি

ময়ুখ চৌধুরী


‘আমার ব্যথ্যতাগুলো সীমানায় আতঙ্ক এঁকে দেয়। এবং সেটা শুধু সে আমাকেই দেখায়। আমাকে কাঁটাতারের সত্যতা শেখায়।’

‘আমি সন্ত্রাসে বিশ্বাসী নই যেমনটি নই ক্রসফায়ারেও’, ফেলানী, তনু সাতখুন, বিশ্বজিৎ, সাগর-রুনি, হযর আলী, আয়েশা, হলি আর্টিজানকেও আমি মানি না। অথচ আমি এড়াতে পারছি কিনা তা নিয়েই আমার ঘুমের সঙ্গে যুদ্ধ।’

… এভাবেই সমালোচক মনের আর্তনাদে ফালা ফালা হয়েছে ‘এয়া’র কবি জুননু রাইন। ফলে, বাস্তবের উদ্ভট আধিপত্যের বিপরীতে তিনি দাঁড় করাতে চেয়েছেন প্রতিবাস্তবতা। তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন তাঁর অন্তর্লোক, যার অধিষ্ঠার্তী ‘দেবী’ এয়া; যদিও তিনি জানেন যে, মোসোপটেমীয় পুরাণের এয়া একজন দেবতা- বিশুদ্ধ জল আর জ্ঞানের দেবতা।

এভাবেই সমালোচক মনের আর্তনাদে ফালা ফালা হয়েছে ‘এয়া’র কবি জুননু রাইন। ফলে, বাস্তবের উদ্ভট আধিপত্যের বিপরীতে তিনি দাঁড় করাতে চেয়েছেন প্রতিবাস্তবতা। তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন তাঁর অন্তর্লোক, যার অধিষ্ঠার্তী ‘দেবী’ এয়া; যদিও তিনি জানেন যে, মোসোপটেমীয় পুরাণের এয়া একজন দেবতা- বিশুদ্ধ জল আর জ্ঞানের দেবতা।

জলের যে জীবনার্থ, প্রজ্ঞার যে প্রতিশ্রুতি, তা তিনি খুঁজে পেয়েছেন নিবৃত এক নারীর কাছ থেকে। এ সুবাধেই মর্ত্যমানবী এয়ার সঙ্গে পৌরাণিক এয়ার সমানতা। মহাপ্লাবনের পরিপ্রেক্ষিতে দেবতা এয়া বিশাল জলজান-প্রকল্পের মন্ত্রণা দিয়েছিলেন। আর, এ কালের এয়া সাদামাটা একজন তরুণের ঘুম কেড়ে নিয়ে তার ভেতরে একজন কবিকে জাগিয়ে তুলছেন। এয়া গড়ে তুলছেন একজন কবিকে, কবিও রচনা করে চলেছেন তাঁর দেবীকে। কখনো কখনো মনে হতে পারে, দু’জনে মিলে আসলে একজন; একই সত্তার দুই রকম অভিব্যক্তি মাত্র।

”তোমার আকাশ খুলে দাও, আমি একবার আমাকে ছুঁই।”

– এই কবি এয়াকে ছুঁতে পেরেছিলেন কিনা জানি না; তবে পাঠক হিসেবে আমার বিশ্বাস, এয়াকে ছুঁতে গিয়ে জুননু রাইন কবিতার ভাষাকে ছুঁয়ে ফেলেছেন, যা আরও বেশি দরকারি।

আরো পড়তে পারেন

কুদরত-ই-হুদার ‘জসীমউদদীন’ ও আমাদের জসীমউদদীন চর্চা

প্রাবন্ধিক ও সাহিত্য সমালোচক ড. কুদরত-ই-হুদা দীর্ঘসময় ধরে বাংলা সাহিত্যের তথা বাংলাদেশের সাহিত্যের পট পরিবর্তনে অগ্রণী ব্যাক্তিত্ব ও মেধাবী সাহিত্যিকদের জীবন ও কর্ম নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। অন্যান্য দিকপাল কবি সাহিত্যিকদের মধ্যে কবি জসীমউদদীনের জীবন ও কর্ম নিয়ে তাঁর আগ্রহের জায়গাটি যতটা না পেশাগত তার চেয়ে বেশী আবেগ তাড়িত। চিরায়ত বাংলার ধারক, কবি জসীমউদদীনের জন্মস্থান….

মুক্তিযুদ্ধ আমাদের চেতনার বাতিঘর

এমনটি হতে পারে এবং হয়েছে সে বিষয়ে বিদগ্ধ লেখক প্রশ্ন তুলেছেন এবং সংশ্লিষ্টদের কাজের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন। দেখুন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের চেতনার বাতিঘর। আমাদের অস্তিত্ব। সেই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সেভাবে কথা বলা যায় না; মুক্তিযুদ্ধের সময়কার কিংবা পরবর্তীকালে যেসব ষড়যন্ত্র হয়েছে কিংবা এখনও হচ্ছে তা নিয়ে কথা বলার মানুষের সত্যিকার অভাব রয়েছে। সেখানে মুক্তিযুদ্ধ পরিবারের সন্তান….

মুক্তিযুদ্ধ : স্বার্থের অভিঘাতে সাম্য বহুদূর

এই বইটি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে হলেও, একটু ভিন্ন ধরনের। মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ছিলেন, যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরোধী ছিলেন; তারাও মুক্তিযোদ্ধা। যারা নানাভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগীতা করেছেন, যে মা তার সন্তানকে যুদ্ধে যেতে বাঁধা দেননি… তারা সকলেই মুক্তিযোদ্ধা। (বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকে) মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও এর গোড়াপত্তন হয়েছিল অনেক আগেই। একুশের ভাষা আন্দোলনের মধ্য….

error: Content is protected !!